আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
892 views
in সালাত(Prayer) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ শায়খ,
১. কেউ যদি ৪ রাকাত ফরজ নামাজে শেষের দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার পর ভুল করে বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম পড়ে ফেলে, তাহলে তো বিনা ওজরে এক রুকন থেকে আরেক রুকনে যেতে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময়ের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে না এতে কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে?  
২. আর যদি সুরাও মিলিয়ে ফেলে সেক্ষেত্রে? এক্ষেত্রে তো বেশি সময় অতিবাহিত হচ্ছে।

 ৩. দরুদ শরীফ কতটুকু পড়ে থেমে গেলে সাহু সিজদা দিতে হবে না?

1 Answer

0 votes
by (697,200 points)
edited by
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

আল্লাহ তা'আলা নামাযে কুরআনে কারিম তেলাওয়াতের কথা বলেছেন। উসূলে ফিকহের নীতি অনুযায়ী যে কোনো আদেশ কে একবার বাস্তবায়ন করে নিলে সেই আদেশকে পালন করা হয়ে যায়।

সে হিসেবে নামাযে প্রথম রা'কাতে কুরআন তেলাওয়াত করে নিলেই আল্লাহ তা'আলার আদেশ

ﻓَﺎﻗْﺮَﺅُﻭﺍ ﻣَﺎ ﺗَﻴَﺴَّﺮَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ
কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু(নামাযে) আবৃত্তি কর। (সূরা মুযযাম্মিল-২০)

কে - মান্য করা হয়ে যাবে।
কিন্তু যেহেতু প্রথম বৈঠকের পূর্বের রা'কাত গুলো সাদৃশ্যপূর্ণ,তাই ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকাতে মতলকে তেলাওয়াত তথা কুরআনের যে কোনো অংশ থেকে শুধুমাত্র কিছু তেলাওয়াত করে নেয়া ফরয।এক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই।

হ্যা এ দুই রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহা তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।এবং সাথে আরও একটি সূরা মিলানো ওয়াজিব।

(বিঃদ্রঃ  ফরয ছেড়ে দিলে নামায হয় না কিন্তু ওয়াজিব ছেড়ে দিলে সেজদায়ে সাহুর সাথে নামায আদায় হয়ে যাবে)

শেষ দুই রা'কাতে তেলাওয়াত করা সুন্নাত।চায় সূরায়ে ফাতেহা হোক বা কুরআনের অন্য কোনো সূরা হোক।কেউ ইচ্ছা করলে শেষ দুই রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে অন্য যেকোনো সূরাকেও মিলাতে পারে।এমনকি সারা কুরআনও পড়তে পারে।এতে কোনো সমস্যা নাই।

তবে শুধুমাত্র সূরায়ে ফাতেহা পড়া মুস্তাহাব।সূরায়ে ফাতেহা ব্যতীত অন্য সূরা পড়ে নিলেও এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না।

আহসানুল ফাতাওয়া;৪/৫০

(৩)

প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর দুরুদ শরীফ কতটুকু পড়লে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে?

এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরাম থেকে প্রথমত দুইটি মতামত পাওয়া যায়।

(ক)যতটুকু ক্বেরাত পড়লে নামায সহীহ হয় সেই পরিমাণ দুরুদ শরীফ পড়লে সেজদায়ে সাহু চলে আসবে।(১৮/৩০ অক্ষর)

(খ) এক রুকুন পরিমাণ সময় দেড়ী করে দুরুদ শরীফ পড়লে সেজদায় সাহু চলে আসবে।

এ দুই মতামতের মধ্যে দ্বিতীয় মতটাই গ্রহণযোগ্য।তথা এক রুকুন পরিমাণ দেড়ী হয়ে গেলে সেজদায় সাহু ওয়াজিব হয়ে যাবে।

এক রুকুন এর পরিমাণ নির্ধারণে মতপার্থক্য রয়েছে,এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।

যথাঃ-
(১)

তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম।(৪২ অক্ষর)

(২)

আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদ।(১৮ অক্ষর)

(৩)

আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদি ওয়া আ'লা আলি মুহাম্মাদ।

সাহাবাইন রাহ থেকে চতুর্থ আরেকটি মতামত পাওয়া যায়,সেটি হল সম্পূর্ণ দুরুদ শরীফ।

গ্রহণযোগ্য মতটা কোনটা?সে সম্পর্কে বলা যায় যে,

وَاخْتَلَفُوا فِي قَدْرِ الزِّيَادَةِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: يَجِبُ عَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ بِقَوْلِهِ: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا يَجِبُ عَلَيْهِ حَتَّى يَقُولَ: وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ

প্রথম বৈঠকে তাশাহুদের পর দুরুদ শরীফ কতটুকু পড়লে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে?সে সম্পর্কে মতপার্থক্য রয়েছে-কেউ কেউ বলেন,আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদ পর্যন্ত পড়ে নিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।আবার কেউ কেউ বলেন,ওয়া আ'লা আ'লি মুহাম্মাদ পর্যন্ত পড়লে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।তবে প্রথম কথাই বিশুদ্ধ।

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৭

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদ পর্যন্ত পড়ে নিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়ে যাবে।

কিতাবুল ফাতাওয়া-২/৪৩৮

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, IOM.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
Ma ShaAllah ustad, jazakallohu khoiron kasiron
by
মাশাআল্লাহ, জাযাকাল্লাহ খাইরান।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 52 views
0 votes
1 answer 80 views
...