আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in সালাত(Prayer) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

সম্মানিত শাইখ!

আমার প্রশ্ন হলো-
চার রাকাত সুন্নত নামাজের প্রথম রাকাতে ভুলবশত সুরা নাস পড়ে ফেললে পরবর্তী তিন রাকাতেও কি সুরা নাস পড়তে হবে?

চার রাকাত সুন্নত নামাজের প্রথম রাকাতে ভুলবশত সুরা নাস পড়ে ফেললে পরবর্তী তিন রাকাতেও কি সুরা নাস পড়তে হবে?

চার রাকাত সুন্নত নামাজের প্রথম রাকাতে ভুলবশত সুরা নাস পড়ে ফেললে পরবর্তী তিন রাকাতেও কি সুরা নাস পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://ifatwa.info/48500/  নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

নামাযের মধ্যে পঠিত সূরার সমূহের ধারাবাহিকতা (কুরআনে বিদ্যমান বিন্যাস) রক্ষা করা ওয়াজিব। তবে কোনো কারণে যদি উক্ত ওয়াজিব তরক হয়ে যায় তবে সেজাদায়ে সাহু আসবে না, এবং নামাযকে দোহরাতেও হবে না। বরং নামায আদায় হয়ে যাবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২০৩)

ইচ্ছাকৃতভাবে ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে ক্বেরাত পড়া মাকরুহ। তবে অনিচ্ছায় হলে মাকরুহ হবে না। হ্যাঁ এ দুই রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহা তেলাওয়াত করা ওয়াজিব এবং সাথে আরও একটি সূরা মিলানো ওয়াজিব।

(বিঃদ্রঃ  ফরয ছেড়ে দিলে নামায হয় না কিন্তু ওয়াজিব ছেড়ে দিলে সেজদায়ে সাহুর সাথে নামায আদায় হয়ে যাবে)

ফরয নামাযের শেষ দুই রা'কাতে তেলাওয়াত করা সুন্নাত। চায় সূরায়ে ফাতেহা হোক বা কুরআনের অন্য কোনো সূরা হোক। কেউ ইচ্ছা করলে শেষ দুই রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে অন্য যেকোনো সূরাকেও মিলাতে পারে। এমনকি সারা কুরআনও পড়তে পারে। এতে কোনো সমস্যা নাই। তবে শুধুমাত্র সূরায়ে ফাতেহা পড়া মুস্তাহাব। সূরায়ে ফাতেহা ব্যতীত অন্য সূরা পড়ে নিলেও এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া;৪/৫০ ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;৭/৪১২)

https://ifatwa.info/47339/  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

নামাযে কিরাত পড়া ফরয।সূরা ফাতেহা ওয়াজিব এবং সূরা মিলানো ওয়াজিব। বড় একটি আয়াত এবং ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ মিলানো ওয়াজিব।

যখন কেউ সূরা ফাতেহা পড়ার পর বড় একটি আয়াত বা ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ পড়ে নেবে, তার নামায হয়ে যাবে। কিন্তু যদি বড় একটি আয়াত বা ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ না হয়,তাহলে তাকে সাহু সিজদা দিতে হবে।

নামাজে সুরা পড়ার ক্ষেত্রে মৌলিক কয়েকটি কথা স্মরণ রাখা উচিত। ১) যেন কমপক্ষে তিন আয়াত পরিমাণ তেলাওয়াত করা হয়। তিন আয়াতের সীমা হলো- কমপক্ষে ৩০ হরফ। ২) এক সুরা পড়ার পর মাঝখানে এক সুরা বাদ দিয়ে পরের সুরা পড়া মাকরুহ। তবে দুই সুরা বাদ দিয়ে পড়লে কোনো সমস্যা নেই। ৩) প্রথম রাকাতে যে সুরা পড়বে, পরের রাকাতে পরের কোনো সুরা পড়বে, আগের কোনো সুরা পড়া মাকরুহ। এতে কোরআনের তারতিব পাল্টে যায়। তবে ভুলে এমনটি করলে সমস্যা নেই।

৪) বড় সুরা মাঝখান থেকে কিছু অংশ পড়া, আর পরের রাকাতে আরেক সুরার মাঝখান থেকে পড়াও অনুত্তম। ৫) প্রথম রাকাআতে বড় সুরা পড়লে তার পরের রাকাআতে তুলনামূলক ছোট সুরা পড়া উত্তম। তবে এসব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলেও সালাত শুদ্ধ হবে। কেননা, কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِতোমার কোরআনের যেখান থেকে সুবিধা হয় পড়।’ (সুরা মুজাম্মিল: ২০)

ফরজ, নফল সব নামাজেই অবশিষ্ট রাকাতগুলোতে পুনরায় সুরা নাস পড়বে। (হালবি কাবির, পৃ. ৪৯৪, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/৩২০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

মূলকথা হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে উপরোক্ত ভুলগুলো করা মাকরুহ। অনিচ্ছাকৃতভাবে হলে সমস্যা নেই। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত প্রথম রাকাতে ভুলে সুরা নাস পড়লেও সমস্যা নেই বা গুনাহ নেই। যেহেতু ভুলে হয়েছে। এমন ভুল হলে করণীয় হলো- পরবর্তী রাকাতগুলোতেও সুরা নাসই পড়বে। (হালবি কাবির, পৃ. ৪৯৪; ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ৩/৩২০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 163 views
...