আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
প্রিয় শায়েখ খুব জরুরী ভিত্তিতে জানতে চাইছি,
১. আমি মাফ চেয়ে নিচ্ছি , হুজুর স্ত্রীর ওপর যখনই রাগ হয় তখনই গালি দিয়ে ফেলি , ( খুব বাজে গালি দিয়েছি  মা তুলে গালি দিয়েছি) এই সব গালি দিয়েছি এর জন্য কি তালাক হবে?
২. যখন রাগ হয় তখন মনে মনে তালাক এর ভাবনা হয়, দিয়ে তালাকের ভাবনা তাকে পাত্তা না দিয়ে মনে মনে ভাবছি আমার তো সেই উদ্দেশ্য নেই । তাই গালি দিয়ে ফেলি।  এর জন্য কি তালাক হবে?
৩. স্ত্রী কে রেগে যদি মনে তালাকের ভাবনা থাকে দিয়ে গালি দেই তাহলে কী তালাক হবে??

৪. মুখ বদ্ধ অবস্থায় মুখের ভিতর এ একটা এমনি কথা বলছি জিব নড়িয়ে। আর সেই সময় মনে মনে তালাক বলা হচ্ছে। এর জন্য কি তালাক হবে? তালাক শব্দ টার জন্য জিহ্ববা নড়েনি।  উচ্চরণ ও হচ্ছে না .। হুজুর তালাক হবে নাকি?

৫. বিয়ের পূর্বে বলেছিলাম , " বউ এইরকম করলে ডিভোর্স দিবো"

 বা  "ডিভোর্স দিতে একবার ও ভাববো না। "
( হুজুর এক্ষেত্রে কি তালাক হবে? যেহেতু এটা ভবিষ্যত্ সূচক বাক্য। এই প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী কোনো তালাক হবে?
সম্মানিত মুফতী সাহেব মজিবুর রহমান মেহেরবানী করে জবাব দিবেন । মুফতি সাহেব খুব চিন্তায় আছি , একটু বিষয় টা দেখেন। খুব উপকৃত হবো।
by (10 points)
ভাই, প্রশ্ন করার সময়েও কিছু আদবের বিষয় আছে। গালি তো গালি। এগুলো লিখার কি দরকার? এগুলো লিখে কেন আরো গুনাহ বাড়াচ্ছেন? একজন আলেমের কাছে প্রশ্ন করছেন সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আদবের সহিত প্রশ্ন করা উচিত।

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. মুমিন অশ্লীল কথাও বলে না, গালিও দেয় না। এ স্বভাব মুমিনের সাথে যায় না। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ، وَلَا اللَّعَّانِ، وَلَا بِالْفَاحِشِ، وَلَا بِالْبَذِيءِ.

মুমিন (অন্যের) দোষ চর্চাকারী হয় না, লানতকারী, অশ্লীল ও গালিগালাজকারী হয় না (বাজে কথা বলে না)। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯৭৭

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا: إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ، وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ.

চারটি (মন্দ) স্বভাব আছে, এগুলো যার মাঝে থাকবে সে খালেছ মুনাফিক বলে গণ্য হবে। আর যার মাঝে এই চার স্বভাবের কোনো একটি থাকল, তার মাঝে মুনাফেকির একটি স্বভাব থাকল; যতক্ষণ না সে তা বর্জন করে।

১. আমানত রাখলে খেয়ানত করে।

২. কথা বলে তো মিথ্যা বলে।

৩. প্রতিশ্রুতি দিলে ভঙ্গ করে।

 ৪. তর্কের সময় গালাগালি করে। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৪)

২-৫. আপনি ওয়াসওয়াসার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে আমার মনে হয়। পূর্বেল্লিখিত কোন ছুরতেই তালাক হবে না। তবে আপনার প্রতি রিকুয়েস্ট থাকবে যে, আপনি উপরে উল্লেখিত কোর্সটি যতদ্রুত সম্ভব কমপ্লিট করে নিবেন। কোর্স সম্পূর্ণ করার পূর্বে আপনি কোন প্রশ্ন না করলে ভালো হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (2 points)
৫. বিয়ের পূর্বে বলেছিলাম , " বউ এইরকম করলে ডিভোর্স দিবো"

 বা  "ডিভোর্স দিতে একবার ও ভাববো না। "
( হুজুর এক্ষেত্রে কি তালাক হবে? যেহেতু এটা ভবিষ্যত্ সূচক বাক্য। এই প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী কোনো তালাক হবে?
সম্মানিত মুফতী সাহেব মজিবুর রহমান মেহেরবানী করে জবাব দিবেন । মুফতি সাহেব খুব চিন্তায় আছি , একটু বিষয় টা দেখেন। খুব উপকৃত হবো।

Plz হুজুর এইটুকু বলেন কোনো তালাক হবে না তো?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...