শরীয়তের বিধান অনুযায়ী যেসব ভিডিও দেখা জায়েজ নয়,সে সব ভিডিও আপলোড দেওয়া,তা থেকে ইনকাম করা, সেসব ভিডিও আপলোড করে ইউটিউব থেকে রিওয়ার্ড হিসেবে ভিডিও ক্রিয়েটরদের প্লে বাটন নেওয়া কোনোটাই জায়েজ নেই।
অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়।
তাই কোনো নাজায়েজ ভিডিও আপলোড করে ইউটিউব থেকে রিওয়ার্ড হিসেবে ভিডিও ক্রিয়েটরদের প্লে বাটন নেওয়া জায়েজ নেই।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★যেসব ভিডিও দেখা জায়েজ,সেসব ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ভিডিও ক্রিয়েটরদের প্লে বাটন নেওয়া জায়েয আছে।
যদি নাজায়েজ ভিডিও না হয়,তাহলে নিম্নের শর্তের ভিত্তিতে টাকা ইনকাম করা জায়েজ আছে।
★আমাদের জানতে হবে, ইউটিউব এর মাধ্যমে যে টাকা আয় করা হয় তার সোর্স কী, কেন আমাকে গুগল টাকা দিচ্ছে!
মূলতঃ গুগলের একটি বিশেষ সার্ভিস–গুগল এডসেন্স। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন অর্থের বিনিময়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করে। আর ওখান থেকে একটা নির্ধারিত একটা অংশ তারা ইউটিউবারদের দিয়ে থাকে।
সুতরাং বিজ্ঞাপনগুলো যদি অশ্লীল ও হারাম পণ্যের হয় তাহলে তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ হালাল হবে না। বরং, হারাম অর্থ হওয়ার পাশাপাশি হারামের প্রচার ও সহযোগিতা করার গোনাহ হবে।
মহান আল্লাহ বলেন,
إِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ آمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ-
‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য ইহকালে ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’। (নূর ১৯)
,
নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত
ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ
নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)
YouTube এ football নিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করলে এই ইনকাম হালাল হবেনা। বরং হারাম হবে।
এক্ষেত্রে স্ত্রী যদি সন্তুষ্টি চিত্তে দেনমোহর এর টাকার দাবি ছেড়ে দেন এতে স্বামীর উপর দেনমোহর এর টাকা মওকুফ হবে।
প্রতিদিন ২ রাকাত ছলাতুল হাজত পড়ে মহান আল্লাহর কাছে নিজের আশা পূরনের দোয়া করবেন। নিম্নোক্ত দোয়া বেশি বেশি পাঠ করবেন।
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি লিমা- আনযালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির।
অর্থ : হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি সেটার মুখাপেক্ষী। (সুরা আল-কাসাস, আয়াত : ২৪)
বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবেন,নিম্নোক্ত তাসবিহ বেশি বেশি পাঠ করবেন
يَا وَهَّابُ
উচ্চারণ : ‘ইয়া ওয়াহহাবু’
অর্থ : কোনোরূপ প্রতিদান ব্যতীত অধিক দানকারী।
ফেরাউনের রোষানলে পড়ে মুসা আলাইহিস সালাম মিশর থেকে দূরে চলে যান। মাদায়িন শহরে গিয়ে পৌঁছান তিনি। সেখানে তার কোনো আশ্রয়ের কিংবা জীবিকার কোনো সংস্থান ছিল না। সেই ঘটনা কোরআনে উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তিনি মাদইয়ান অভিমুখে রওয়ানা হলেন; তখন বললেন, আশা করা করছি— আমার পালনকর্তা আমাকে সরল পথ দেখাবেন। যখন তিনি মাদইয়ানের কূপের ধারে পৌঁছলেন, তখন কূপের কাছে একদল লোককে পেলেন— যারা পশুদের পানি পান করানোর কাজে ব্যস্ত। এবং তাদের পেছনে দুইজন নারীকে দেখলেন— তারা তাদের পশুগুলোকে আগলিয়ে রাখছে। তিনি বললেন, তোমাদের কী ব্যাপার? তারা বললেন, রাখালরা ওদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না গেলে— আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না। আর আমাদের বাবা অশীতিপর বৃদ্ধ।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২২-২৩)
এরপরের আয়াতেই মুসা (আ.) কাজ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়ার বিনীত নিবেদন এসেছে। আল্লাহ তাআলা মুসা আলাইহিস সালামের সেই আহ্বান এভাবে তুলে ধরেন, ‘অতঃপর মুসা তাদের (দুই নারীর) জন্তুদের পানি পান করালেন। এরপর তিনি ছায়ার দিকে ফিরে গেলেন এবং বললেন, ‘হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ অবতীর্ণ করবে, আমি সেটার মুখাপেক্ষী।” (সুরা কাসাস, আয়াত : ২৪)
অর্থাৎ আমার আশ্রয়, কাজ ও কর্মসংস্থান দরকার। আর তুমি আমার জন্য যে কাজ বা জীবিকার ব্যবস্থা করবে, আমি তোমার ব্যবস্থা করা সে কাজের বা জীবিকার মুখাপেক্ষী।
নিজেকে ছোট মনে করতে হবে,আল্লাহ ও রাসুলের নিষেধাজ্ঞার বিষয় ও আযাবের বিষয় স্বরন করে এসব থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
নারীদের মাহরাম পুরুষ।
১-বাপ, দাদা, নানা ও তাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
২-সহোদর ভাই, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই।
৩-শ্বশুর, আপন দাদা শ্বশুর ও নানা শ্বশুর এবং তাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
৪-আপন ছেলে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে এবং তাদের ঔরষজাত পুত্র সন্তান এবং কন্যা সন্তানদের স্বামী।
৫-স্বামীর অন্য স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র।
৬-ভাতিজা, ভাগিনা তথা সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই ও বোনের ছেলে ও তাদের অধঃস্থন কোন ছেলে।
৭-আপন চাচা অর্থাৎ বাপের সহোদর, বৈপিত্রেয় ও বৈমাত্রেয় ভাই।
৮-আপন মামা তথা মায়ের সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই।
৯-দুধ সম্পর্কীয় ছেলে, উক্ত ছেলের ছেলে, দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের ছেলে ও তাদের ঔরষজাত যে কোন পুত্র সন্তান এবং দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের স্বামী।
১০-দুধ সম্পর্কীয় বাপ, চাচা, মামা, দাদা, নানা ও তাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
১১-দুধ সম্পর্কীয় ভাই, দুধ ভাইয়ের ছেলে, দুধ বোনের ছেলে এবং তাদের ঔরষজাত যে কোন পুত্র সন্তান।
১২-শরীয়ত অনুমোদিত বৈধ স্বামী।
১৩-যৌন শক্তিহীন এমন বৃদ্ধ, যার মাঝে মহিলাদের প্রতি কোন আকর্ষণ নেই আবার মহিলাদেরও তার প্রতি কোন আকর্ষণ নেই আবার মহিলাদেরও তার প্রতি কোন আকর্ষণ নেই।
১৪-অপ্রাপ্ত বয়স্ক এমন বালক যার মাঝে এখনো যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি।
নারীরা উপরোক্ত ১৪ শ্রেণীর পুরুষদের সাথে দেখা দিতে পারবে। উপরোক্ত ১৪ শ্রেণীর পুরুষ ব্যাতিত দুনিয়ার অন্য কোনো পুরুষ এর সাথে দেখা দিতে পারবেনা।