জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ইশার নামাযের সময় পশ্চিমাকাশের লালিমা দূরিভূত হয়ে যে সাদা আভা দেখা দেয় তা দূরিভূত হবার পর থেকে নিয়ে রাতের তিন ভাগের এক ভাগের মাঝে পড়া মুস্তাহাব।
তিনভাগ অতিক্রান্ত হবার পর থেকে নিয়ে অর্ধেক রাত পর্যন্ত পড়া জায়েজ। এতে মাকরুহ হবেনা।
আর অর্ধেক রাত থেকে নিয়ে সুবহে সাদিক পর্যন্ত পড়া মাকরূহের সাথে জায়েজ। অর্থাৎ নামায আদায় হয়ে যাবে। বাকি বিলম্ব করার কারণে মাকরূহ হবে। {হেদায়া-১/৫০-৫১, শরহে নুকায়া-১/৫৩-৫৫, কাবীরী-২২৯-২৩৫. তামহীদ-৮/৯২}
★সুবহে সাদিক তথা তাহাজ্জুদ,সাহরীর শেষ সময় পর্যন্ত দেড়ি করে ইশার নামাজ পড়া জায়েয আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ , أَنَّهُ قَالَ لِأَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: مَا إِفْرَاطُ صَلَاةِ الْعِشَاءِ؟ قَالَ: «طُلُوعُ الْفَجْرِ»
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল, ইশার নামাযের সময় কখন শেষ হয়? তখন তিনি বলেন, ফজরের সময় হলে। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৯৫৯, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৭৬২}
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইশার নামাজ যে সময়ে পড়া হয়েছে,তাতে কোনো সমস্যাই হয়নি।
,
শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা ঠিক আছে।
,
আরো জানুনঃ