জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ
আপন পোশাক পবিত্র করুন। (সূরা মুদ্দাসসির ০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "
আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বিড়ালের পটি (পেশাব পায়খানা) নাজাসাতে গালিযা। আর এ ধরণের নাজাসাত শরীরে বা অন্য কোথাও লাগলে গোসল ওয়াজিব হয় না। বরং ওই নাজাসাত এমনভাবে দূর করা ওয়াজিব হয় যাতে তার কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট না থাকে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
গোসল এর পর বা যে কোন সময় যদি বিড়াল এর পটি পরিষ্কার করেন, তাহলে পুরো শরীর নাপাক হবেনা।
শুধু হাতের যেই স্থানে বিড়ালের পেশাব,পায়খানা লাগবে,সেই স্থান নাপাক হবে। পানি দিয়ে ঐ নাপাকি এমনভাবে পাক করা ওয়াজিব হয় যাতে তার কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট না থাকে।
বিড়াল এর পটি পরিষ্কার করার পর গোসল দিয়ে সালাত আদায় করতে হবেনা। শরীরের কোন জায়গায় বিড়াল এর পটি লাগলে ঐ নাপাকি এমনভাবে পাক করা ওয়াজিব হয় যাতে তার কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট না থাকে।
এক্ষেত্রে পায়খানা লাগলে সেই চিহ্ন দূর করে ৩ বার ধুয়ে ফেললেই হবে।
আর পেশাব লাগলে ৩ বার ধুয়ে প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে নিলেই হবে।