আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আশা করি ভালো আছেন। আমি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে হালাল পন্থায় আয় করতে চাই। তবে ইসলামি হালাল হারামের মাসলা মাসায়েল জানি না। ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজে হালাল পন্থায় অর্থ উপার্জন করার যায়, তাই জানতে চাই। প্রশ্ন গুলো ভালো করে পড়ে উত্তর দিলে উপকৃত হবো।
ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন ওয়েব ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, ইমেইল সিগনেচার, ইথিক্যাল হ্যাকিং। এ ধরনের কাজ প্রতিটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
(১) এ ধরনের কাজ করার সময় কি কি বিষয় লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে, যাতে আয় হালাল হয়? কোরআন হাদীসের আলোকে বললে উপকৃত হতাম।
(২) কোনো ক্লায়েন্ট বা গ্রাহকের কাজ করার আগে কি জেনে নিতে হবে যে গ্রাহকের আয় হারাম নাকি হালাল বা গ্রাহক কাজটা কি জন্য করাচ্ছে? কোরআন হাদীসের আলোকে বললে উপকৃত হতাম।
(৩) ইমেইল সিগনেচার করার কাজটি মূলত হলো একজন ব্যক্তির বা কোম্পানির বিভিন্ন তথ্য ছবিসহ ডিজাইন করে দেয়া। কোম্পানির ক্ষেত্রে হয়তো কোম্পানির লোগো থাকতে পার। এখানে আমার কোন ক্লায়েন্ট যদি মহিলা হয় এবং তার ছবি ইমেইল সিগনেচারের ঐ ডিজাইন এ করে দিলে আমার আয় কি হারাম হয়ে যাবে? এভাবে কোনো মহিলার ছবিসহ তার সকল তথ্য( তার অন্যন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লিংক) এগুলো ডিজাইন করে ইমেইল সিগনেচার করে দিলে পরবর্তীতে কি আমার গুনাহে জারিয়াহ হতে থাকবে?
(৪) বিভিন্ন কাপড়ের ই কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এখানে মূলত বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হচ্ছে। এ সকলই ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাপড় গুলো ওয়েস্টান বা অন্য রকম হতে পারে যেমন ওই দেশের দেশীয় পোশাক, এখন সেসব প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে দেয়ার বিধান কি? যেমন: ইথিক্যাল হ্যাকিং, ডাটা এন্ট্রি, ইমেইল সিগনেচার।
৫) ইথিক্যাল হ্যাকিং মানে কোন ওয়েবসাইটের সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করা। এখন কেউ চাইলে কি যেকোন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করতে পারবে? এখানে ইসলামি দিক দিয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে? কিভাবে কাজ করলে টাকাগুলো হালাল হবে?
৬) ডাটা এন্ট্রিতে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির হয়ে কাজ করলে কি আয় হারাম হবে? এভাবে কাজ করলে কি গুনাহ হতে পারে?
জাযাকাল্লাহু খাইরান