মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلاَ يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ-
‘হে মুমিনগণ! তোমরা অধিক ধারণা থেকে বেঁচে থাক, কারণ কোন কোন ধারণা পাপ এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান কর না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা কর না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করতে ভালবাসে? বস্ত্ততঃ তোমরা একে ঘৃণাই কর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তওবা কবুলকারী, কৃপাণিধান’ (হুজুরাত ৪৩/১২)।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূল (ছাঃ) বলেন,
إِنَّ حُسْنَ الظَّنِّ مِنْ حُسْنِ الْعِبَادَةِ
‘নিশ্চয়ই সুন্দর ধারণা সুন্দর ইবাদতের অংশ’।
(আহমাদ হা/ ৮১৭৬; আবুদাউদ হা/ ৪৯৯৩, সনদ হাসান।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
إِذَا قَالَ الرَّجُلُ هَلَكَ النَّاسُ فَهُوَ أَهْلَكُهُمْ
‘তুমি যখন কাউকে বলতে শোন যে, সে বলল, লোকেরা ধ্বংস হয়ে গেল, তবে জেনে রেখ সেই সর্বাধিক ধ্বংসপ্রাপ্ত’।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কুরআন কারীমে গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করা হতে নিষেধ করা হয়েছে,এবং হাদীস শরীফে মুসলমানদের ব্যপারে ভালো ধারণা রাখার আদেশ করা হয়েছে।
এই জন্য যতক্ষন পর্যন্ত কোনো মুসলমানের ব্যপারে নিশ্চিত ভাবে অথবা বিভিন্ন সাক্ষী ইত্যাদির ভিত্তিতে জানা না যায় যে তার ইনকাম হারাম,সেক্ষেত্রে তার দাওয়াত অথবা হাদিয়া গ্রহন করা জায়েজ আছে। তাহকিক করা জরুরী নয়।
অবশ্য যদি কোনো ব্যাক্তি সতর্কতা ও তাকওয়ার উপর আমল করতে গিয়ে তাহকিক ছাড়া না খায়,তাহলে এটি অধিক উত্তম।
তবে তাহকিকের জন্যেও হিকমত অবলম্বন করা উচিত। এমন ভাবে তাহকিক করতে হবে,যাতে করে উপস্থিত লোকদের সন্দেহ না হয় যে তার কামাই এর উপর সন্দেহ করা হচ্ছে।