আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম
কোনো মানুষ যদি এমন পরিস্থিতি করে তুলে যে আপনার জিদ,রাগ উঠতে বাধ্য তখন ব্যবহার টা খারাপ হয়ে যায় না চাইলেও, তখন আসলে কি করনীয়?তখন কতটুকু গুনাহ হয় খারাপ ব্যবহার করার জন্য? এই পরিস্থিতিতে কি করা যায়?

একটা ঘটনা দিয়ে বুঝাচ্ছি।

আজ সকালে অফিস টাইম ছিল সকাল ৯ টা থেকেএবং জরুরি মিটিং ছিল।৮.৪০ এর দিকে বাসা থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠার পর দেখলাম আমার গাড়ির সামনে আরেকটা গাড়ি দিয়ে রং পাকিং করা।যার ফলে আমার গাড়ি বের করা সম্ভব হচ্ছেনা কোনভাবেই।পরবর্তীতে উনাকে কল দিয়েও পাত্তা পাওয়া যাচ্ছেনা।এর ফলে অফিসের দেরি হচ্ছে,কল দিলেও ধরেনা।একবার ধরে বলে আসতেছি।এই বলে আর ধরে না।পরবর্তীতে উনি ২০/২৫ মিনিট পর কল ধরে এবং আসে। যার ফলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।কারন আমার অলরেডি অফিসে লেট হয়ে গেছে অনেক।তখন খারাপ ব্যবহার হয়ে যায় উনাকে দেখে।এই অবস্থায় আসলে কি করা যায়?নিজেকে কিভাবে কন্ট্রোল করা যাবে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি হলে এবং না চাইতেও খারাপ ব্যবহার করে ফেললে কি করনীয় হবে তখন জানাবেন দয়া করে।

অফিসেও যাওয়া যাচ্ছেনা,অন্য উপায় ও পাচ্ছিলাম না।তার উপর উনি রেসপন্স করছিল না সেজন্য ব্যবহার খারাপ হয়ে যায়।পরে অবশ্য সরি বলেছি।কিন্তু এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন আমাদের মাঝেমধ্যেই পড়তে হয়।তখন আসলে কি করব।

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


রাগ সম্পর্কে মুসলিম শরীফের এক হাদিসে আছে, 
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে রাগের সময় নিজেকে সামলে নিতে পারে, সেই প্রকৃত বাহাদুর। আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাগ দেখানোর সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আল্লাহতায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত করবেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এ থেকে বাঁচার পথ বাতলে দিয়েছেন- 
إِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْكُتْ.
কেউ যখন রেগে যায় সে যেন চুপ হয়ে যায়। (যাতে গালিগালাজ, মন্দ কথা থেকে বাঁচতে পারে।) -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২১৩৬

,
এক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যখন তোমাদের কারও রাগ আসে, তখন সে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন বসে পড়ে। তাতে যদি রাগ দমে না যায়, তাহলে সে যেন শোয়ে পড়ে। ’ -তিরমিজি

আবু দাউদ শরীফের একটি হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাগ আসে শয়তানের কাছ থেকে। শয়তান আগুনের তৈরি। আর আগুন নেভাতে লাগে পানি। তাই যখন তোমরা রেগে যাবে, তখন অজু করে নেবে। ’
,
★সুতরাং রাগ উঠলে রাসুল সাঃ এর নির্দেশ মানতে হবে।
আর আল্লাহ তায়ালার রাগ কমানোর জন্য দোয়া করতে হবে,ধৈর্য ধারনের চেষ্টা করতে হবে।  
,
আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এহেন পরিস্থিতিতে গালি দেয়া যাবেনা। 
রাগ কন্ট্রোল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে,উক্ত স্থান দ্রুত ত্যাগ করতে হবে।

যেহেতু এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন মাঝেমধ্যেই হতে হয়,তাই বাসা হতে শেষ মুহুর্তে বের না হয়ে, লেট না করে খানিকটা সময় হাতে রেখে বের হওয়ার পরামর্শ থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...