ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহর ফরয হুকুমকে ঠিক ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে এবং নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বাঁচতে যত বিষয় সম্পর্কে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম শিক্ষা ফরয।যেমন,নামায আল্লাহর ফরয বিধান,নামায পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত।তাই পবিত্রতার ইলম অর্জন ফরয।ঠিকতেমনি কেরাত ফরয, তাই কেরাত শিক্ষা ফরয।ঈমান আনয়নের জন্য শিরক মুক্ত হয়ে মনেপ্রাণেএকমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করা ও তার বিধি-বিধান কে মান্য ফরয।তাই এ সম্পর্কীয় ইলম অর্জন ফরয।এবং রোযা আল্লাহর ফরয বিধান।রোযা রাখতে হলে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।অর্থাৎ যতটুকু ইলম হলে রোযাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।ইত্যাদি ইত্যাদি। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1893
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যে বোন হেদায়াতুন্নাহুতে পড়তেছে, সে অবশ্যই ফরয সমপরিমাণ ইলম শিক্ষা করে নিয়েছে। সুতরাং তারপর অতিরিক্ত না পড়লে গোনাহ হবে না। হ্যা, উত্তম হল, দ্বীনি শিক্ষাকে জারি রাখা। কেননা শিক্ষার কোনো শেষ নাই।
(২)
গ্রামের বাড়ীতে যদি আপনাদের ঘর বাড়ি না থাকে, তাহলে আপনাকে কসর পড়তে হবে।নতুবা পূর্ণ নামাযই পড়তে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/107
প্রত্যেক চার রাকাতি নামাযকে দুই রাকাত করে সফরে পড়তে হয়। তবে তিন রাকাতি কোনো ফরয বা ওয়াজিব নামাযকে তিন রাকাত করেই পড়তে হবে। কসরের সময় সূরায়ে ফাতেহার সাথে একটি সূরা মিলিয়ে দুই রাকাত পড়তে হবে।
সুন্নত নামাযে কসর নাই।সুতরাং তাহাজ্জুদ নামায স্বাভাবিক ভাবে যেভাবে বাড়িতে পড়েন,সেভাবেই পড়তে হবে।
আপনারা যদি নিজস্বভাবে দাদুর বাসা থেকে দূরে কোথাও বাড়িঘর করে নেন, তাহলে দাদুর বাসায় গেলে কসর পড়তে হবে। আর যদি দূরে অস্থায়ী ভাবে থাকেন, তাহলে দাদুর বাসায় পূর্ণ নামায পড়তে হবে।