আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামুআলাইকুম।

আর গুনাহের কাজ করবো না এই মর্মে কেউ যদি আল্লাহর সাথে আল্লাহর নামে কসম করে,এ

বং পরবর্তীতে পুণরায় সেই গুনাহ করে কসম রাখেনা এবং একইভাবে পুণরায় কসম করে আবারো ভেংগে ফেলে, তাহলে এটা কি কবিরা গুনাহ হবে?

আল্লাহর নামে কসম করে এমন ভেংগে গেলে বা কসম না রাখিলে তা ক্ষমার যোগ্য হবে কি?

বান্দা পুণরায় দৃঢ় ভাবে যদি ক্ষমা চায় তাহলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন কি?

এক্ষেত্রে কি করা উচিত ক্ষমা লাভের উদ্দেশ্যে?

1 Answer

0 votes
by (590,820 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহর নাম বা জাত দ্বারা কোনো জিনিস করার বা না করার কসম করলে, কসম হয়ে যায়।যখন কেউ অাল্লাহ নাম উচ্ছারণ করে কসম করে ফেলবে,তখন আল্লাহর নামের সম্মানার্থে সেই কসমকে পূর্ণ করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়।যদি সে কসম কে ভঙ্গ করে ফেলে,তাহলে তখন কসম ভঙ্গ করে আল্লাহর নামের বেহুরমতি করার শাস্তি স্বরূপ তাকে কাফফারা দিতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1808

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3101


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
'আর গুনাহের কাজ করবো না' এই মর্মে কেউ যদি আল্লাহর সাথে আল্লাহর নামে কসম করে,এবং পরবর্তীতে পুণরায় সেই গুনাহ করে কসম রাখেনা এবং একইভাবে পুণরায় কসম করে আবারো ভেংগে ফেলে, তাহলে এতেকরে কবিরা গুনাহ হবে।এবং কাফফারাও আসবে।যতবার কসম করা হবে, এবং কসমের পর কসমকে ভঙ্গ করা হবে, ততবারই কাফফারা দিতে হবে।

আল্লাহর নামে কসম করে কসমকে ভঙ্গ করলে বা কসম না রাখিলে,অবশ্যই গোনাহ হবে। এজন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বান্দা পুণরায় দৃঢ় ভাবে যদি আল্লাহর ক্ষমা চায়, তাহলে আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,820 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (7 points)
ধন্যবাদ।

আর যদি পুর্ববর্তী রমজান মাসের ভাংতি রোজা রাখার বাকি থাকে তাহলে এক্ষেত্রে এই 3 টা রোজা কবুল হবে কি? 
by (7 points)
ধন্যবাদ।

আর যদি পুর্ববর্তী রমজান মাসের ভাংতি রোজা রাখার বাকি থাকে তাহলে এক্ষেত্রে এই 3 টা রোজা কবুল হবে কি?

জাযাকাল্লাহ্ খাইরান।
by (590,820 points)
পূর্ববর্তী রমজান মাসের রোযা থাকলে সেই রোযা কে প্রথমেই আদায় করে নেওয়া উচিৎ। তবে এটা আদায় না করে অন্য কোনো নফল রোযা রাখলে সেটাও আদায় হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...