আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in পবিত্রতা (Purity) by (42 points)

আসসালামু আলাইকুম 
 

১) স্বপ্নদোষ হলে আমি সবসময় প্রথম বারে বাথরুমে গিয়ে ফরয গোসল করে ফেলি। কিন্তুু গতকালকে স্বপ্নদোষ হওয়ার পর আমি প্যান্ট বদলে পরে গোসল করি। যেহেতু অন্যে বারের তুলনায় কিছুটা ভিন্নতা ছিল এবার তাই মনে করতে পারছিনা ফরয গোসল করছিলাম নাকি। নামায কি সকল ওয়াক্তের আবার দোহরাতে হবে? নাকি নিজেকে পবিত্র হিসেবে ধরে নিব? এখন কি করণীয়?

 

আর পরবর্তীতে এভাবে ফরয গোসল করছিলাম নাকি ভুলে গেলে কি করণীয়? 

 

২) ফরয গোসল করতে যদি কখনো ১ ওয়াক্ত চলমান থাকা অবস্থায় ঢুকি আর বের হলে অন্য ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেছে দেখি তাহলে ওযু কোন ওয়াক্তের করা হয়েছে? বা নিষিদ্ধ সময় যদি ফরয গোসল করি তাহলে কোন ওয়াক্তের অজু হয়েছে, গোসল শেষে বের হয়ে যে ওয়াক্ত চলতেছে সেই ওয়াক্তের ধরবো?  

 

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (676,360 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর ফরজ গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।     

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)
,
ফরজ গোসলের নিয়ম সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
ফরজ গোসলে কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া,আর সমস্ত শরীরে পানি ঢেলে দেয়া ফরজ।

প্রশ্নে উল্লেখিত গোসলে আপনি কি কুলি করেছিলেন? নাকি পানি দিয়েছিলেন?
শরীরে নাপাকি লাগা স্থান ভালোভাবে (ডলে) ধুয়েছিলেন?

যদি গোসলের উপরোক্ত ফরজ গুলি আদায় করে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার ফরজ গোসল আদায় হয়েছে।
আপনাকে কোনো ওয়াক্তের নামাজ দোহরাতে হবেনা।
আপনি নিজেকে পূর্ণ পবিত্র হিসেবে ধরে নিবেন।

আর যদি আপনি গোসলের উপরোক্ত ফরজ গুলি আদায় না করে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার ফরজ গোসল আদায় হয়নি।
পুনরায় ফরজ গোসল করে এসে সকল ওয়াক্তের নামাজ আপনাকে দোহরাতে হবে।

শুধু কুলি ও নাকে পানি দেয়া বাদ থাকলে পুরো গোসল না করে শুধুমাত্র শুধু কুলি ও নাকে পানি দেয়াই যথেষ্ট হবে।

(০২)
নিষিদ্ধ সময় ওযু করা হলে সেই অযু পরের ওয়াক্তের জন্য ধরা হবেনা।

পরের ওয়াক্ত আসার পর সম্পূর্ণ অযু করলেই কেবল তাহা মা'যুরের জন্য পরের ওয়াক্তের অযু বলে সাব্যস্ত হবে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পরের ওয়াক্তের মধ্যে সম্পূর্ণ গোসল বা গোসলের পর অযু না করে থাকলে পুনরায় পরের ওয়াক্তের জন্য অযু করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
শায়েখ একটি ছোট্ট বিষয় জানতে চাই,

স্ত্রীর তালা* চাওয়ার জবাবে স্বামী যদি ধমক দেওয়ার জন্য বলে "ধূুর/ধুর যা/ধুর হ" এতে কি তালাক হবে? আর স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে "তুমি আমার কেও না" এতে কি সমস্যা হবে?
by (676,360 points)
আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...