ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহু আকবার-এর মাঝে আল্লাহ শব্দের আলিফকে টেনে পড়লে উক্ত বাক্যের অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। আর নামাজে অর্থের পরিবর্তন হয়ে গেলে নামাজ ভেঙ্গে যায়।
সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহ শব্দের আলিফকে টেনে পড়ে তাহলে তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে। পুনরায় শুদ্ধ করে তাকে নামাজ পড়ে নিতে হবে। (রদ্দুল মুহতার ১/৪৮০; আলবাহরুর রায়েক ১/৩১৪)
কোনো কোনো মুসল্লি ও ইমামকে নামাজের মধ্যে তাকবির বলার সময় ‘আল্লাহু আকবার’-এর (বা) টেনে পড়তে শোনা যায়। এটা একটা বড় ভুল। কারণ (বা) এ ‘মদ’ করলে অর্থাৎ টেনে দীর্ঘ করে পড়লে তার অর্থে চরম বিকৃতি ঘটে। বিনা মদে ‘আকবার’ অর্থ ‘সবচেয়ে বড়’। আর মদ সহকারে ‘আকবা-র’ শয়তানের বাচ্চার নাম। এ ভুলটি যদি তাকবিরে তাহরিমার মধ্যে হয় তাহলে নামাজ আরম্ভই হবে না। আর নামাজের ভেতরের কোনো তাকবিরে হলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। তদ্রূপ ‘আল্লাহু আকবার’ এর প্রথম অথবা দ্বিতীয় ‘আ’-কে টেনে দীর্ঘ করে পড়লে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। কেননা সেক্ষেত্রেও তাকবিরের অর্থ ও মর্ম ভীষণভাবে পাল্টে যায়। সেক্ষেত্রে তা প্রশ্নবোধক বাক্যে পরিণত হয়, যা আল্লাহতায়ালার বড়ত্ব ও মহত্ত্বে সংশয় প্রকাশ করে। -(মারাকিল ফালাহ : ২২৩)
সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে নামাজ ফাসেদ হবে। উক্ত সালাত কাযা করতে হবে। কারণ, "আল্লাহ" শব্দের হামজা টেনে পড়লে যেমন ইসতেফহাম বা প্রশ্নবোধক অর্থ আসায় সালাত বাতিল হয়। অনুরূপ ভাবে "আকবার" শব্দের হামজাহ টেনে পড়লে "আল্লাহু আকবার" শব্দের শানের বিপরিত উচ্চারণেও সালাত বাতিল হবে।