আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in সালাত(Prayer) by (18 points)
আসসালা-মু আলাইকুম।

নামাজের মধ্যে "আল্লাহু আকবার"এ "আকবার" এর আলিফের মধ্যে এক আলিফ টান দিয়ে পড়লে কি নামাজ হবে? অর্থাৎ "আল্লাহু আ-কবার" পড়লে নামাজে সমস্যা হবে কি না?

আল্লাহু এর আলিফে টান দিলে নামাজ কি হবে? যেমন:
আ-ল্লাহু আকবার পড়লে কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-

আল্লাহু আকবার-এর মাঝে আল্লাহ শব্দের আলিফকে টেনে পড়লে উক্ত বাক্যের অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। আর নামাজে অর্থের পরিবর্তন হয়ে গেলে নামাজ ভেঙ্গে যায়।

সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহ শব্দের আলিফকে টেনে পড়ে তাহলে তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে। পুনরায় শুদ্ধ করে তাকে নামাজ পড়ে নিতে হবে। (রদ্দুল মুহতার ১/৪৮০; আলবাহরুর রায়েক ১/৩১৪)

কোনো কোনো মুসল্লি ও ইমামকে নামাজের মধ্যে তাকবির বলার সময় ‘আল্লাহু আকবার’-এর (বা) টেনে পড়তে শোনা যায়। এটা একটা বড় ভুল। কারণ (বা) এ ‘মদ’ করলে অর্থাৎ টেনে দীর্ঘ করে পড়লে তার অর্থে চরম বিকৃতি ঘটে। বিনা মদে ‘আকবার’ অর্থ ‘সবচেয়ে বড়’। আর মদ সহকারে ‘আকবা-র’ শয়তানের বাচ্চার নাম। এ ভুলটি যদি তাকবিরে তাহরিমার মধ্যে হয় তাহলে নামাজ আরম্ভই হবে না। আর নামাজের ভেতরের কোনো তাকবিরে হলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। তদ্রূপ ‘আল্লাহু আকবার’ এর প্রথম অথবা দ্বিতীয় ‘আ’-কে টেনে দীর্ঘ করে পড়লে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। কেননা সেক্ষেত্রেও তাকবিরের অর্থ ও মর্ম ভীষণভাবে পাল্টে যায়। সেক্ষেত্রে তা প্রশ্নবোধক বাক্যে পরিণত হয়, যা আল্লাহতায়ালার বড়ত্ব ও মহত্ত্বে সংশয় প্রকাশ করে। -(মারাকিল ফালাহ : ২২৩)

সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে নামাজ ফাসেদ হবে। উক্ত সালাত কাযা করতে হবে। কারণ, "আল্লাহ" শব্দের হামজা টেনে পড়লে যেমন ইসতেফহাম বা প্রশ্নবোধক অর্থ আসায় সালাত বাতিল হয়। অনুরূপ ভাবে "আকবার" শব্দের হামজাহ টেনে পড়লে "আল্লাহু আকবার" শব্দের শানের বিপরিত উচ্চারণেও সালাত বাতিল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (18 points)
জাঝা-কাল্লাহ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...