আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
187 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমি পরিবারের বড় মেয়ে,আমার আব্বু শারীরিক অসুস্থতার জন্য এখন তিনি পরিবারের ব্যয় বহন করতে পারেন না।  তাই আমার আম্মু কাজ করেন সাংসারিক খরচ চালানোর জন্য। এতে তার পর্দা করা ও কষ্টকর হয়। তাছাড়া শুধু তার একার আয়ে  আমার এবং আমার ছোট ভাইয়ের পড়াশুনা এবং সাংসারিক খরচ  বহন করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে আমি চেয়েছিলাম পড়াশোনা শেষ করে একটি চাকরি করে আমার পরিবারের পাশে  দাঁড়াতে। কিন্তু বর্তমানে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় ছবি দিতে হয়। ভাইবাতে মুখ খুলতে বলা হয়। চাকরি করতে গেলে সেখানে ছবি দিতে হবে, ভাইবার সময় মুখ ঢেকে  রাখলে চাকরি হবে না। পরিবারের সকলেই বলেন তোমাকে আমাদের পরিবারের অবস্থা বুঝতে হবে। তারা চান আমি চাকরি করি। কিন্তু পর্দার খেলাফ করে আমি কোনো কাজ করতে চাই না। পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার কথা পরিবারে বলেছি  কিন্তু তারা বলেন অনার্স শেষ করতে হবে। অনার্স কমপ্লিট করতে হলে ভাইভাতে আমাকে মুখ খুলে যেতে হবে  যেটা আমার জন্য ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক। আমার ফার্স্ট ইয়ারের পরীক্ষার সময় ম্যাম আমাকে মুখ খুলতে বাধ্য করেন হলের স্যার এবং শিক্ষার্থীদের সামনে।পারিবারিক কারণে পড়াশোনাটা ছেড়ে দিতে পারছি না  আবার এই  পরিবেশটাও আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি যদি পড়াশোনা ছেড়ে দেই। তাহলে বাবা মার অবাধ্য হওয়ার জন্য কি পাপ হবে ? আমি চেয়েছিলাম পর্দা করে কাজ করতে যেহেতু মা কে কাজ করতে হচ্ছে তাই। কিন্তু তেমন কোনো পরিবেশ আমি পাইনি। ইসলামী বিধি অনুযায়ী আমার কি করা উচিত ?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে শিক্ষাগ্রহণের নিয়ত রাখেন,তাই আপনি পরীক্ষার হলে মুখ খোলা রাখতে পারবেন। তবে নিচক চাকুরীর উদ্দেশ্যে শিক্ষা গ্রহণের নিয়ত থাকলে আপনি মুখ খুলতে পারবেন না। হ্যা যদি আপনার আর্থিক অবস্থা নিতান্তই দুর্বল থাকে এবং আপনি ছাড়া আপনার মাতাপিতার ভরণপোষণের অন্য কেউ না থাকে,তাহলে আপনি চাকুরীর নিয়তে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবেন এবং মুখ খুলতেও পারবেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/11336


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...