আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)

ফেসবুক নিউজফিডে অনেক একাডেমিতে দেখি লাইক ফলোয়ার বাড়ানোর কন্টেস্ট করে। তাদের সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইক ফলো দিতে বলে এবং কন্টেস্ট শেষে পুরস্কৃত করে।
১.এটা জায়েজ কি?

অনেক বোনের পোস্টে দেখি নিজের পেজে লাইক দিতে বলে এর বিনিময়ে তিনিও অন্যদের পেজে লাইক ফলো দেন।
২.এভাবে লাইক ফলো দেওয়া জায়েজ কি?

একটা কোর্সে  স্কলারশিপে এডমিট হয়েছি। এডমিট হওয়ার পূর্বে তাদের দেওয়া শর্তগুলোর মধ্যে একটা শর্ত ছিল তাদের সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক ফলো দিতে হবে এবং টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন হতে হবে। কোর্স চলাকালীন তাদের একাডেমি থেকে দেওয়া প্রফাইল টেলিগ্রামে দিতে হবে।
৩. এমনটা করা জায়েজ কি?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_231003_041329_826.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/4725/   নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,  শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  যেসব ভিডিও দেখা জায়েজ নয়, সে সব ভিডিও দেখা, লাইক করা, সেসব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা কোনোটিই বৈধ নয়। তা থেকে উপার্জনও বৈধ নয়।  

অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়।

তাই কোনো নাজায়েজ ভিডিও লাইক,কমেন্ট,শেয়ার,সেই চ্যানেল সাবস্ক্রাইব  করলে ব্যক্তি  গোনাহগার হবে। তা থেকে উপার্জিত অর্থ হালাল হবেনা।

আল্লাহ তায়ালা বলেন 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]

 অর্থ: সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আর যদি এমন নাজায়েজ ভিডিও না হয়,তাহলে নিম্নের শর্তের ভিত্তিতে  লাইক কমেন্ট,শেয়ার,সাবস্ক্রাইব করে টাকা ইনকাম করা জায়েজ আছে।   

★★আমাদের জানতে হবে, ইউটিউব এর মাধ্যমে  যে টাকা আয় করা হয় তার সোর্স কী, কেন আমাকে গুগল টাকা দিচ্ছে!

মূলতঃ গুগলের একটি বিশেষ সার্ভিসগুগল এডসেন্স। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন অর্থের বিনিময়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করে। আর ওখান থেকে একটা নির্ধারিত একটা অংশ তারা ইউটিউবারদের দিয়ে থাকে।

সুতরাং বিজ্ঞাপনগুলো যদি অশ্লীল ও হারাম পণ্যের হয় তাহলে তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ হালাল হবে না। বরং, হারাম অর্থ হওয়ার পাশাপাশি হারামের প্রচার ও সহযোগিতা করার গোনাহ হবে।

মহান আল্লাহ বলেন,

 إِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ آمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ

‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য ইহকালে ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’।  (নূর ১৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

আপনার তিনটি প্রশ্নের উত্তর একত্রে দেওয়া হলো: লাইক কমেন্টের অর্থ হল, সাহায্য সহযোগিতা করা। আর ইসলাম বিরোধী কাজে সাহায্য করা হারাম ও নাজায়েয। যেই আইডিতে বা পেজে আপনি লাইক/কমেন্ট করছেন যদি তার/তাদের স্ট্যাটাস বা ভিডিওতে গান বেপর্দা নারীর ছবি, বাদ্য বাজনা ইত্যাদী হারাম বিষয়াদী থাকে তাহলে আপনার জন্য ঐসকল আইডিতে বা পেজে লাইক কমেন্ট করা জায়েয হবে না। হারাম কাজ করা যেমন হারাম তাতে লাইক দেওয়ার অর্থ হারাম সমর্থন করা। অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়।

 সুতরাং যে কাজ করতে গিয়ে এভাবে আপনি গুনাহের সম্মুখীন হবেন, সেই কাজ জায়েজ হবেনা। তবে যদি উপরে উল্লেখিত হারাম বিষয়গুলি না থাকে তাহলে লাইক/ কমেন্ট করতে কোন সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...