আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
895 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব, লাইক,কমেন্ট, ভিডিও দেখে এমনকি শেয়ার করে টাকা ইনকাম করা  যায়। সেক্ষেত্রে আমার টাকা ইনকাম কি হালাল হবে?
এখানে বলা জরুরি যে,ইউটিউবাররা বা কি সাইট তো কিসের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে।অবশ্যই এড প্রচার,স্পন্সর এবং আরো কিছু করে।বেশিরভাগ টাকাই আসে এড থেকে।তারা কোথায় থেকে টাকা আনলো সেটা কি আমার দেখার দরকার আছে? আমাকে কাজ দিবে লাইক শেয়ার সাবস্ক্রাইব করার আমি সেটা সেটা করব তাহলে কি হারাম হবে।অনেকে ১০০০ সাবস্ক্রাইব আর ওয়াচ টাইম বাড়ানোর জন্য অর্থাৎ৪০০০ ঘন্টা করার জন্য সেটা করে থাকে নিজের টাকা দিয়ে প্রচারের জন্য বা ইনকামের জন্য।তখন পর্যন্ত তো তারা এড থেকে ইনকাম করে না।

উদাহারণস্বরুপ বিষয়টা  হলো কেউ একজন বাসা তৈরি করবে।আর সেখানে খারাপ বা হারাম কিছুর কাজ বা অফিসও করতে পারে এমনকি ভালো কিছুও করতে পারে।অথবা বাসা তৈরির যে টাকা সেটা হারাম উপাযে ইনকাম করা।সেক্ষেত্রে কি শ্রমিকের ইনকামও কি হারাম হবে। আমার কাজ আর বিষয়টি তো একই মনে হচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (676,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  যেসব ভিডিও দেখা জায়েজ নয়,সে সব ভিডিও দেখা,লাইক করা,সেসব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা কোনোটিই বৈধ নয়।
তা থেকে উপার্জনও বৈধ নয়।   

অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়। 
তাই কোনো নাজায়েজ ভিডিও লাইক,কমেন্ট,শেয়ার,সেই চ্যানেল সাবস্ক্রাইব  করলে ব্যক্তি  গোনাহগার হবে।
তা থেকে উপার্জিত অর্থ হালাল হবেনা।

আল্লাহ তায়ালা বলেন  

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
 
আর যদি এমন নাজায়েজ ভিডিও না হয়,তাহলে নিম্নের শর্তের ভিত্তিতে  লাইক কমেন্ট,শেয়ার,সাবস্ক্রাইব করে টাকা ইনকাম করা জায়েজ আছে। 
   
★★আমাদের জানতে হবে, ইউটিউব এর মাধ্যমে  যে টাকা আয় করা হয় তার সোর্স কী, কেন আমাকে গুগল টাকা দিচ্ছে!

মূলতঃ গুগলের একটি বিশেষ সার্ভিস–গুগল এডসেন্স। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন অর্থের বিনিময়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করে। আর ওখান থেকে একটা নির্ধারিত একটা অংশ তারা ইউটিউবারদের দিয়ে থাকে।

সুতরাং বিজ্ঞাপনগুলো যদি অশ্লীল ও হারাম পণ্যের হয় তাহলে তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ হালাল হবে না। বরং, হারাম অর্থ হওয়ার পাশাপাশি হারামের প্রচার ও সহযোগিতা করার গোনাহ হবে।

মহান আল্লাহ বলেন,
 إِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ آمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ-  
‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য ইহকালে ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’।  (নূর ১৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ, উস্তায আমরা যদি শরিয়ত সম্মত নয় এমন চ্যানেল বাদে বাকি চ্যানেল এর কাজ করি তাহলে কি তাতে কোনো দোষ আছে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...