بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/4725/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান অনুযায়ী যেসব ভিডিও দেখা জায়েজ নয়, সে সব ভিডিও দেখা, লাইক করা, সেসব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা কোনোটিই
বৈধ নয়। তা থেকে
উপার্জনও বৈধ নয়।
অন্যায়
কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা
করাও বৈধ নয়।
তাই কোনো
নাজায়েজ ভিডিও লাইক,কমেন্ট,শেয়ার,সেই চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করলে ব্যক্তি
গোনাহগার হবে। তা থেকে উপার্জিত অর্থ হালাল হবেনা।
আল্লাহ
তায়ালা বলেন
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى
الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ
الْعِقَابِ [٥:٢]
অর্থ: সৎকর্ম
ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা
করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু
হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ
عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ
হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে।
{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
আর যদি
এমন নাজায়েজ ভিডিও না হয়,তাহলে নিম্নের
শর্তের ভিত্তিতে লাইক কমেন্ট,শেয়ার,সাবস্ক্রাইব করে টাকা ইনকাম করা জায়েজ
আছে।
★★আমাদের জানতে হবে, ইউটিউব এর মাধ্যমে যে টাকা আয় করা হয় তার সোর্স কী, কেন আমাকে গুগল টাকা দিচ্ছে!
মূলতঃ গুগলের
একটি বিশেষ সার্ভিস–গুগল এডসেন্স। এর মাধ্যমে
তারা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন অর্থের বিনিময়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সম্প্রচার
করে। আর ওখান থেকে একটা নির্ধারিত একটা অংশ তারা ইউটিউবারদের দিয়ে থাকে।
সুতরাং
বিজ্ঞাপনগুলো যদি অশ্লীল ও হারাম পণ্যের হয় তাহলে তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ হালাল হবে না।
বরং, হারাম অর্থ হওয়ার পাশাপাশি
হারামের প্রচার ও সহযোগিতা করার গোনাহ হবে।
মহান আল্লাহ
বলেন,
إِنَّ
الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ آمَنُوْا
لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ-
‘যারা মুমিনদের
মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য ইহকালে ও পরকালে রয়েছে
যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’। (নূর ১৯)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার
তিনটি প্রশ্নের উত্তর একত্রে দেওয়া হলো: লাইক কমেন্টের অর্থ হল, সাহায্য সহযোগিতা করা। আর
ইসলাম বিরোধী কাজে সাহায্য করা হারাম ও নাজায়েয। যেই আইডিতে
বা পেজে আপনি লাইক/কমেন্ট করছেন যদি তার/তাদের স্ট্যাটাস বা ভিডিওতে
গান বেপর্দা নারীর ছবি, বাদ্য বাজনা ইত্যাদী হারাম বিষয়াদী থাকে তাহলে আপনার জন্য ঐসকল আইডিতে বা
পেজে লাইক কমেন্ট করা জায়েয হবে না। হারাম কাজ করা যেমন হারাম তাতে লাইক
দেওয়ার অর্থ হারাম সমর্থন করা। অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়।
সুতরাং যে কাজ করতে গিয়ে এভাবে আপনি গুনাহের সম্মুখীন
হবেন, সেই কাজ জায়েজ হবেনা। তবে যদি উপরে উল্লেখিত
হারাম বিষয়গুলি না থাকে তাহলে লাইক/ কমেন্ট করতে কোন সমস্যা নেই।