আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
611 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমি একটা মাসআলা শুনেছি যে তিলাওয়াতে সিজদাহ উযূ ছাড়া পড়া যাবে। এটা কি সঠিক?

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
তিলাওয়াতে সিজদা আদায় করা ওয়াজিব।সুতরাং এ সিজদা আদায় না করলে কবীরা গোনাহ হয়।

তিলাওয়াতে সিজদা আদায় করারর নিয়ম ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো-

এক. হাত না উঠিয়ে দাঁড়ানো থেকে আল্লাহু আকবার বলে সোজা সিজদায় চলে যেতে হবে।

দুই. সিজদায় সুবহানা রাব্বিয়াল আলা তিনবার পড়ে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়াতে হবে।

তিন. সিজদা মাত্র একটি হবে।

চার. এতে তাশাহ্হুদ নেই, সালামও নেই।

পাঁচ. তিলাওয়াতে সেজদার জন্য হাত উঠাতে বা হাত বাঁধতে হবে না এবং দুটি সেজদাও করতে হবে না।

ছয়. নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যেসব শর্ত আছে
যেমন-অজু থাকা, জায়গা পাক, শরীর পাক, কাপড় পাক এবং কেবলামুখি হওয়া ; ইত্যাদি তিলাওয়াতের সিজদার জন্যও এসব শর্ত প্রযোজ্য।

কখন আদায় করতে হবে?

০১. নামাজের মধ্যে হলে ততক্ষনাৎ আদায় করা ওয়াজিব। আদ্দুরুল মখতার ২খন্ড১১০পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে-
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻼَﻫَﺎ ﻓِﻲ اﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺳَﺠَﺪَﻫَﺎ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻻَ ﺧَﺎﺭِﺟَﻬَﺎ
(অর্থাৎ- যদি নামাজে তেলাওয়াতে সিজদা পাঠ করা হয় তাহলে নামাজেই সিজদা করতে হবে।নামাজ শেষ করে করলে আদায় হবে না।)

নামাজে আদায় করার পদ্ধতি হলো, যদি সূরার শেষাংশে সেজদায়ে তিলাওয়াত হয়, তাহলে নামাজের মধ্যেই উক্ত আয়াতের পর তিন আয়াত পড়ার পূর্বে আদায় করতে হবে এবং করাই ওয়াজিব। মধ্যাংশে হলে উক্ত আয়াতের পর তিন আয়াত থেকে একটু বেশীও পড়া যাবে।

০২. নামাজের বাইরে তিলাওয়াতে সেজদা পড়লে তৎক্ষণাৎ আদায় করা ওয়াজিব নয় বরং যে কোনো সময় আদায় করা যাবে তবে তারাতারি আদায় করে নেওয়া উত্তম। বেশী দেরী করা যাবে না, কেননা ভুলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে গোনাহগার হবে। এ প্রসঙ্গে ফাতওয়ায়ে শামীতে বর্ণিত আছে-
لمافي الدرالمختار
ﻭَﻫِﻲَ ﻋَﻠَﻰ اﻟﺘَّﺮَاﺧِﻲ) ﻋَﻠَﻰ اﻟْﻤُﺨْﺘَﺎﺭِ ﻭَﻳُﻜْﺮَﻩُ ﺗَﺄْﺧِﻴﺮُﻫَﺎ ﺗَﻨْﺰِﻳﻬًﺎ،
و في رد المحتار
تحت قوله “على المختار ”
ِّ اﻹِْﺟْﻤَﺎﻉَ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻮْ ﺗَﺮَاﺧَﻰ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﺩَاءً ﻣَﻊَ ﺃَﻥَّ اﻟْﻤُﺮَﺟَّﺢَ ﺃَﻧَّﻪُ ﻋَﻠَﻰ اﻟْﻔَﻮْﺭِ ﻭَﻳَﺄْﺛَﻢُ ﺑِﺘَﺄْﺧِﻴﺮِﻩِ
(অর্থাৎ-দেরীতে তেলাওয়াতে সিজদা আদায় করলে আদায়-ই হবে,(ক্বাযা হবে না) যদিও ততক্ষনাৎ আদায় করা উত্তম,এবং বেশী দেরী করা মাকরুহে তানযিহি ও গোনাহ।)
সবাই বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করুন।
প্রভূর দরবারে তাওবার মাধ্যমে বিপদ থেকে মুক্তির জন্য বেশি বেশি চোখের পানি ছেড়ে দোয়া করুন। আরো জানুন- 1329


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...