জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
ইবরাহিম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
أَنَّ عَلْقَمَةَ رَعَفَ فِي الصَّلاَةِ، فَأَخَذَ بِيَدِ رَجُلٍ فَقَدَّمَهُ، ثُمَّ ذَهَبَ، فَتَوَضَّأَ، ثُمَّ جَاءَ فَبَنَى عَلَى مَا بَقِيَ مِنْ صَلاَتِهِ
অর্থাৎ, আলকামার নামাজে নাক থেকে রক্ত বের হয়েছে, তখন তিনি এক ব্যক্তির হাত ধরে ইমামতির স্থানে দাঁড় করিয়ে দিলেন এবং তিনি বের হয়ে গিয়ে অযু করে আসলেন। তারপর বাকি নামাজে বেনা করছেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫৬)
আমর ইবনুল হারেস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নামাজরত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত বের হলে কী করণীয় এ সম্পর্কে উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. বলেন, يَنْفَتِلُ فَيَتَوَضَّأُ، ثُمَّ يَرْجِعُ فَيُصَلِّي সে অযুর জন্য বের হয়ে যাবে এবং অযু করে আসবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫০)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইমাম সাহেব নিজ নামাজ ভেঙ্গে যাওয়া মাত্র তার পিছন থেকে একজনকে এনে তার স্থলাভিষিক্ত বানিয়ে দিয়ে যাবে।
সেই স্থলাভিষিক্ত ব্যাক্তি বাকি নামাজের ইমামতি করাবেন।
(০২)
সেই ব্যাক্তি যদি সুন্নাত তরিকায় সেজদাহ দিয়ে থাকেন,অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যদি ঢিলেঢালা না হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে সে সালাম ফিরানোর আগেই ছুটে যাওয়া ফরজ ও ওয়াজিব কাজ গুলি আদায় করবেন।
আর যদি সেই ব্যাক্তি সুন্নাত তরিকায় সেজদাহ না দিয়ে থাকেন,অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যদি ঢিলেঢালা হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে পুনরায় উক্ত নামাজের কাজা করবেন।
(০৩)
জানাজার নামাজের মধ্যে রুকু সেজদাহ নেই,তাই এক কাতার আর অপর কাতারের মাঝে সর্বনিম্ন এতটুকু দূরত্ব হওয়া যথেষ্ট যে একজনের শরীরের সাথে অপরের শরীরের যেনো স্পর্শ না হয়।