1. এই মানসিক কষ্ট থেকে মুক্তির পথ একটাই, আল্লাহর কাছে খাস দিলে তওবা করেন, নামাজ পড়েন, ইন-শা-আল্লাহ আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করবেন। আর যেসব মেয়েরা এই ভুল পথে আছে তাদেরকে সতর্ক করতে থাকুন।ভুল পথ বলার কারন হলো, দেখুন ইসলামে কোনো ছেলের সাথে কথা বলাই জায়েজ নেই, একজন অপরিচিত ছেলেকে কেন তার দ্বীনের পথে আনতে হবে? অই ছেলেকে দ্বীনের পথে আনার জন্য তো দ্বীনি ভাই রাই আছে। মেয়ে হয়ে কেনো ছেলের সাথে কথা বলতে হবে। এইগুলা অতিরিক্ত আবেগ এবং পথভ্রষ্টটা, যা জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। তাই যেসব মেয়েরা এসব পথে আছে আপনার দায়িত্ব হলো আপনার মত ভুল যেনো আর কেউ না করে।
২। হে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করবেন। নিচের কোর'আয়ানের আয়াত আর হাদিস শুনেন,
বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ; আল্লাহ্র অনুগ্রহ থেকে হতাশ হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (সুরাহঃ আয যুমার - আয়াত ৩৯)
(১) ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, কিছু লোক ছিল, যারা অন্যায় হত্যা করেছিল এবং অনেক করেছিল। আরও কিছু লোক ছিল, যারা ব্যভিচার করেছিল এবং অনেক করেছিল। তারা এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আরজ করল: আপনি যে ধর্মের দাওয়াত দেন, তা তো খুবই উত্তম, কিন্তু চিন্তার বিষয় হল এই যে, আমরা অনেক জঘন্য গোনাহ করে ফেলেছি। আমরা যদি ইসলাম গ্রহণ করি, তবে আমাদের তওবা কবুল হবে কি? এর পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচ্য আয়াত অবতীর্ণ হয়৷ [বুখারী: ৪৮১০, মুসলিম: ১২২]
৩। এই সিদ্ধান্ত আরো বড় ধরনের শয়তানের ধোকা, আপনি তো দেখছি ওয়াসওয়াসার পেশেন্ট, যা মনে হচ্ছে এবং শয়তানের ধোকায় পড়ে আছেন।
বিয়ে অবশ্যই করবেন, কারন যারা খাস দিলে তওবা করে আল্লাহ তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং যেই গুনাহ গুলি সে করেছিলো সেই গুনাহ গুলিকে কনভার্ট করে ছওয়াব হিসেবে লিখে দেন, মানেহ সুবহানাল্লাহ আল্লাহ কতো মহান দেখুন, আশা করি খুশি হবেন এটা শুনে। তবে বিয়ের পর নিজের গুনাহ কাউকে বলবেন নাহ, স্বামীকেও না, কারন আল্লাহ যেই গুনাহ গোপন রেখেছেন তা প্রকাশ করতে হয়না, প্রকাশ করলে পরকালে শাস্তি পেতে পারেন।৪। না বললে ইন-শা-আল্লাহ পাপ হবে নাহ, বরং না বলাটাই উত্তম হবে। তবে অবশ্যই আপনার এই কাজের জন্য খাস দিলে তওবা করতে হবে এবং যাকে বিয়ে করবেন তার পরিপূর্ন আনুগত্য করবেন, তাহলে আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দিবেন ইন-শা-আল্লাহ।
৫। যখন আপনি আওয়াল ওয়াক্তে ৫ ওয়াক্ত ছলাত আদায় করবেন, নিজের লজ্জা স্থানের পরিপূর্ন হেজাফত করবেন, খাস পর্দা করবেন, রোজা রাখবেন, ইসলামিক স্টাডি করবেন আরো, যদি দেখেন এইগুলা ঠিক মতো হচ্ছে তখন বুঝে নিবেন আপনি পবিত্র অবস্থায় আছেন ইন-শা-আল্লাহ। কারন যারা ৫ ওয়াক্ত ছলাত পড়ে এবং অজু করে উত্তম ভাবে তাদের গুনাহ জরে পড়ে যায়।৬। আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন বলেই তো গুনাহ করার পর আপনার অনুশোচনা হচ্ছে, এটাই সাইন। আর গুনাহ করার আগে আপনার মনে কি বাধা আসেনি যে অই ছেলের সাথে এই কাজ করোনা, মেসেজ করিও নাহ, এসেছিলো?
হে এইগুলাই আল্লাহর পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু আপনি যিনাহে লিপ্ত হয়েছে, আল্লাহ তো আর এসে আপনাকে হেফাজত করবেন নাহ তাই নাহ, আপনার মনে খারাপ কাজের প্রতি উনি ঘৃনা জন্মিয়ে দিবেন, এটাই বাধা বা হেফাজত।