আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
360 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করলে ভালো হয়। অন্যদিকে প্রতিমাসে একাধিকবার আমাদের মুফতি সাহেবগন জুমের মাধ্যমে সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন। সেই ক্লাসগুলোতেও জয়েন করার জন্য অনুরোধ করা গেল। ক্লাসের সিডিউল: fb.com/iomedu.org
by (11 points)
1. এই মানসিক কষ্ট থেকে মুক্তির পথ একটাই, আল্লাহর কাছে খাস দিলে তওবা করেন, নামাজ পড়েন, ইন-শা-আল্লাহ আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করবেন। আর যেসব মেয়েরা এই ভুল পথে আছে তাদেরকে সতর্ক করতে থাকুন।

ভুল পথ বলার কারন হলো, দেখুন ইসলামে কোনো ছেলের সাথে কথা বলাই জায়েজ নেই, একজন অপরিচিত ছেলেকে কেন তার দ্বীনের পথে আনতে হবে? অই ছেলেকে দ্বীনের পথে আনার জন্য তো দ্বীনি ভাই রাই আছে। মেয়ে হয়ে কেনো ছেলের সাথে কথা বলতে হবে। এইগুলা অতিরিক্ত আবেগ এবং পথভ্রষ্টটা, যা জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। তাই যেসব মেয়েরা এসব পথে আছে আপনার দায়িত্ব হলো আপনার মত ভুল যেনো আর কেউ না করে।

২। হে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করবেন। নিচের কোর'আয়ানের আয়াত আর হাদিস শুনেন,

বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ; আল্লাহ্র অনুগ্রহ থেকে হতাশ হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (সুরাহঃ আয যুমার - আয়াত ৩৯)

(১) ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, কিছু লোক ছিল, যারা অন্যায় হত্যা করেছিল এবং অনেক করেছিল। আরও কিছু লোক ছিল, যারা ব্যভিচার করেছিল এবং অনেক করেছিল। তারা এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আরজ করল: আপনি যে ধর্মের দাওয়াত দেন, তা তো খুবই উত্তম, কিন্তু চিন্তার বিষয় হল এই যে, আমরা অনেক জঘন্য গোনাহ করে ফেলেছি। আমরা যদি ইসলাম গ্রহণ করি, তবে আমাদের তওবা কবুল হবে কি? এর পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচ্য আয়াত অবতীর্ণ হয়৷ [বুখারী: ৪৮১০, মুসলিম: ১২২]


৩। এই সিদ্ধান্ত আরো বড় ধরনের শয়তানের ধোকা, আপনি তো দেখছি ওয়াসওয়াসার পেশেন্ট, যা মনে হচ্ছে এবং শয়তানের ধোকায় পড়ে আছেন।

বিয়ে অবশ্যই করবেন, কারন যারা খাস দিলে তওবা করে আল্লাহ তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং যেই গুনাহ গুলি সে করেছিলো সেই গুনাহ গুলিকে কনভার্ট করে ছওয়াব হিসেবে লিখে দেন, মানেহ সুবহানাল্লাহ আল্লাহ কতো মহান দেখুন, আশা করি খুশি হবেন এটা শুনে। তবে বিয়ের পর নিজের গুনাহ কাউকে বলবেন নাহ, স্বামীকেও না, কারন আল্লাহ যেই গুনাহ গোপন রেখেছেন তা প্রকাশ করতে হয়না, প্রকাশ করলে পরকালে শাস্তি পেতে পারেন।

৪। না বললে ইন-শা-আল্লাহ পাপ হবে নাহ, বরং না বলাটাই উত্তম হবে। তবে অবশ্যই আপনার এই কাজের জন্য খাস দিলে তওবা করতে হবে এবং যাকে বিয়ে করবেন তার পরিপূর্ন আনুগত্য করবেন, তাহলে আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দিবেন ইন-শা-আল্লাহ।

৫। যখন আপনি আওয়াল ওয়াক্তে ৫ ওয়াক্ত ছলাত আদায় করবেন, নিজের লজ্জা স্থানের পরিপূর্ন হেজাফত করবেন, খাস পর্দা করবেন, রোজা রাখবেন, ইসলামিক স্টাডি করবেন আরো, যদি দেখেন এইগুলা ঠিক মতো হচ্ছে তখন বুঝে নিবেন আপনি পবিত্র অবস্থায় আছেন ইন-শা-আল্লাহ। কারন যারা ৫ ওয়াক্ত ছলাত পড়ে এবং অজু করে উত্তম ভাবে তাদের গুনাহ জরে পড়ে যায়।

৬। আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন বলেই তো গুনাহ করার পর আপনার অনুশোচনা হচ্ছে, এটাই সাইন। আর গুনাহ করার আগে আপনার মনে কি বাধা আসেনি যে অই ছেলের সাথে এই কাজ করোনা, মেসেজ করিও নাহ, এসেছিলো?

হে এইগুলাই আল্লাহর পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু আপনি যিনাহে লিপ্ত হয়েছে, আল্লাহ তো আর এসে আপনাকে হেফাজত করবেন নাহ তাই নাহ, আপনার মনে খারাপ কাজের প্রতি উনি ঘৃনা জন্মিয়ে দিবেন, এটাই বাধা বা হেফাজত।
by (0 points)
apu you tube e comment dekhun doya kore

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা যুমার-৫৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু তাওবাহ করে নিয়েছেন, তাই আল্লাহ অবশ্যই আপনাকে ক্ষমা করবেন। এই বিষয় আর কাউকেই জানাবেন না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 122 views
0 votes
1 answer 140 views
...