আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
874 views
in পবিত্রতা (Purity) by (8 points)
বাথরুমের দরজায় দোআ লিখলে কি কোনো প্রবলেম হবে? কারন দরজা অফ করলে বাথরুমের ভিতরে দোআর কাগজটা থেকে যায়। যেমন আমি যদি লিখি বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়াঃ গুফরা নাকা। সাধারণত মনে রাখার জন্য এইভাবে লিখে রাখলে কি কোনো গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


বাথরুম প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার দোয়া পড়া সুন্নাত।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
   
عن أنس بن مالك رضي الله عنه قال كان النبي صلي الله عليه وسلم إذا دخل الخلاء قال اللهم إني أعوذ بك من الخبث والخبائث. ( صحيح البخاري ت-رقم6322-ج16/68)

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ছাঃ) যখন টয়লেটে প্রবেশ করতেন তখন 
اللهم إني أعوذ بك من الخبث والخبائث
পড়তেন।

শরীয়তের বিধান হলো  টয়লেটে কুরআনের আয়াত,হাদীস,আল্লাহ রাসুলের নাম ইত্যাদি নিয়ে যাওয়া মাকরুহে তাহরিমি।      
(জামিউল ফাতওয়া ৩/১১০) 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
وعن أنس رضي الله عنه قال : كان رسول الله صلي الله عليه وسلم إذا دخل الخلاء نزع خاتمه. (سنن الترمذي -طبعة بشار -ومعها حواشي - رقم1746 ج 3 / ص 281) 

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ছাঃ) যখন টয়লেটে প্রবেশ করতেন তখন আংটি খুলে রাখতেন।

(عن أنس رضي الله عنه قال: كان النبي صلي الله عليه وسلم ) : شرح الحديث من المرقات: (عن أنس قال: كان النبي صلي الله عليه وسلم ) (إذا دخل الخلاء) : أي: أراد دخوله (نزع) : أي: أخرج من أصبعه (خاتمه) : بفتح التاء، وقيل بكسرها لأن نقشه، محمد رسول الله صلي الله عليه وسلم ، وفيه دليل على وجوب تنحية المستنجي اسم الله واسم رسوله والقرآن كذا قاله الطيبي. قال الأبهري: ويعم الرسل. وقال ابن حجر: استفيد منه أنه يندب لمريد التبرز أن ينحي كل ما عليه معظم من اسم الله تعالى أو نبي أو ملك فإن خالف كره اهـ. وهو الموافق لمذهبنا (رواه أبو داود، والنسائي، والترمذي، وقال: هذا حديث حسن صحيح غريب)

সারমর্মঃঃ আল্লাহ অথবা রাসুল সাঃ এর নাম,কুরআন সম্বলিত কোনো কিছু নিয়ে টয়লেট যাওয়া যাবেনা।
বাহিরে রেখে আসতে হবে।
অন্যথায় এর খেলাফ করলে মাকরূহ হবে।       
۔
عَنْ أَنَسٍ قَالَ كَانَ النَّبِي صلي الله عليه وسلم 
 إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ وَضَعَ خَاتَمَهُ.

 আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ছাঃ) যখন টয়লেটে প্রবেশ করতেন তখন আংটি খুলে রাখতেন।
(আবুদাঊদ হা/১৯; তিরমিযী হা/১৭৪৬; নাসাঈ হা/৫২১৩; মিশকাত হা/৩৪৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩১৬, ২/৬২।)

আর একথা স্পষ্ট যে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আংটিতে আল্লাহ, রাসুল সাঃ এর নাম এর নকশা করা ছিলো।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عن أنس بن مالك رضي الله عنه ، أن النبي صلي الله عليه وسلم صنع خاتما من ورق ، فنقش فيه محمد رسول الله صلي الله عليه وسلم ، ثم قال: لا تنقشوا عليه.هذا حديث حسن صحيح ومعنى قوله: لا تنقشوا عليه ، نهى أن ينقش أحد على خاتمه محمد رسول الله . (سنن الترمذي -طبعة بشار -ومعها حواشي –رقم 1745- ج3 / ص281)
সারমর্মঃ  রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আংটিতে    محمد رسول الله লিখিত নকশা করা ছিলো।

لمافی الھندیۃ(۵۰/۱):ویکرہ ان یدخل فی الخلاء ومعہ خاتم علیہ اسم اﷲ تعالیٰ أو شییٔ من القرآن۔
টয়লেটে আল্লাহত নাম,কুরআনের আয়াত সম্বলিত আংটি নিয়ে প্রবেশ করা মাকরুহ। 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু ""দরজা অফ করলে বাথরুমের ভিতরে দোআর কাগজটা থেকে যায়""
তাই বাথরুমে সেই দোয়া যাওয়ার কারনে এটি মাকরুহে তাহরিমি হবে।
,
সুতরাং এমনটি করা যাবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম। 
আমার বাথরুমের দরজার বাহিরের দিকে দু'আ স্টিকার লাগানো। দরজা খুলার সময় তা বাথরুমের ভেতরে যায়। দরজা বন্ধ থাকলে স্টিকারগুলোও বাইরে থাকে। এটাও কি মাকরুহ তাহরিমি হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...