নবীজী রোযা রেখেছেন সোমবারে ১২ ই রবিউল আওয়াল নয় তাছাড়া বলা হয় এটা সেওর ও না তারিখ টা তাহলে রোযা রাখতে বলা হচ্ছে কেনো

Question

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
মুহতারাম,ঈদে মিলাদনন্নাবী উপলক্ষে দুটি মত রয়েছে ।একদিন উলামা বলেন পালন করতে হবে অপরপক্ষ বলেন পালন করলে বিদয়াত হবে।বিদয়াত মেনেই আসছি।কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যারা বিদয়াত বলেন তারা রোযা রাখতে উৎসাহিত করছেন ১২ ই রবিউল আউয়ালে। ।কিন্তু আমরা জানি নীবীজী সোমবারে রোযা রেখেছেন তার ওই দিন জন্ম হয়েছিলো তাই শুকরিয়ার জন্য। তিনি তো রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে জন্মদিন উপলক্ষে রোযা রাখেননি।এখন একদল মিলাদ করছে, জসনে জুলুস করছে আর আরেকদল রোযা রাখা শুরু করেছে।১২ তারিখ রবিউল আউয়াল মাসে রোখা রাখার বিধান টা আর কখনো শুনিনি তাই কুরআন সুন্নাহ মুতাবেক এর উত্তর দিলে উপকৃত হবো।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।

জবা

ঈদ অর্থ আনন্দ।মিলাদ অর্থ জন্ম।ঈদে মীলাদুন্নবী অর্থ নবী সাঃ এর জন্ম উপলক্ষ্যে ঈদ উৎসব।

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্মদিনকে উপলক্ষ্য করে কোনো প্রকার উৎসব বা অনুষ্টানের আয়োজন করা  না রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জমানায় প্রচলিত ছিলো,না সাহাবা ও তাবেঈন বা তাদের পরবর্তী যুগে প্রচলিত।বরং ইসলামি স্বর্ণযুগের অনেক পর বাদশা মুজাফফর উদ্দীন খৃষ্টানদের বড়দিনের আদলে তাদের অনুসরণ করে মুসলমানদের জন্য ঈদে মীলাদুন্নবীর প্রচলন করার অপচেষ্টা করেন।কিন্তু ইরাকের তৎকালিন জনগণ বাদশার ভন্ডামিকে খুবই শক্তভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4952

যা ইসলামের প্রাথমিক যুগে নেই,সেগুলোর প্রচলন বিদআত।হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত

عن أمِّ المؤمنين أم عبدالله عائشةَ رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رَدٌّ))؛ [رواه البخاري ومسلم]، وفي رواية لمسلم: ((من عمِل عملًا ليس عليه أمرنا فهو رَدٌّ)).

মর্মার্থ-দ্বীনে ইসলামে নতুন কিছু আবিস্কার করা,সংযোজিত করার নামই হল বিদআত।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

ঈদে মীলাদুন্নবী সম্পূর্ণ বিদ'আত। তাই এটাকে পরিত্যাগ করতে হবে।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।