ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، - أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ تُصَاحِبْ إِلاَّ مُؤْمِنًا وَلاَ يَأْكُلْ طَعَامَكَ إِلاَّ تَقِيٌّ "
তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ তুমি ঈমানদার লোক ব্যতীত অন্য কারো সঙ্গী হয়ো না এবং আল্লাহভীরু মুত্তাকী লোক ছাড়া কেউ যেন তোমার খাদ্য না খায়। (সুনানে আত-তিরমিযি,২৩৯৫)
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে ভিন্ন শব্দে বর্ণিত রয়েছে,
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «مَثَلُ الْمُؤْمِنِ وَمَثَلُ الْإِيمَانِ كَمَثَلِ الْفَرَسِ فِي آخِيَّتِهِ يَجُولُ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى آخِيَّتِهِ، وَإِنَّ الْمُؤْمِنَ يَسْهُو، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى الْإِيمَانِ، فَأَطْعِمُوا طَعَامَكُمُ الْأَتْقِيَاءَ، وَأَوْلُوا مَعْرُوفَكُمُ الْمُؤْمِنِينَ» ". رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " شُعَبِ الْإِيمَانِ " وَأَبُو نُعَيْمٍ فِي " الْحِلْيَةِ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানদার ব্যক্তি ও ঈমানের দৃষ্টান্ত হলো খুঁটিতে বাঁধা ঘোড়ার ন্যায়। তা চক্কর কাটতে থাকে। অবশেষে খুঁটির দিকে ফিরে আসে। অনুরূপভাবে কোন মু’মিন (কখনো কখনো) ভুল-ভ্রান্তিতে লিপ্ত হয়, আবার ঈমানের দিকে প্রত্যাবর্তন করে। অতএব তোমাদের খানা-খাদ্য (খাদ্যবস্তু) পরহেজগার লোকেদেরকে খাওয়াও এবং তোমাদের দান-খয়রাত ঈমানদারদেরকে প্রদান করো।
(মিশকাত-৪২৫০,শু‘আবুল ঈমান ১০৯৬৪, হিলইয়াতুল আওলিয়া ৮/১৭৯, য‘ঈফ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১৮৩১, তাহক্বীক মুসনাদে আহমাদ ১১৫৪৩)
মুল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
وَأَطْعِمُوا (طَعَامَكُمُ الْأَتْقِيَاءَ) : وَإِنَّمَا خَصَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الْأَتْقِيَاءَ بِالْإِطْعَامِ ; لِأَنَّ الطَّعَامَ يَصِيرُ جُزْءًا
لِبَدَنٍ فَيَتَقَوَّى بِهِ عَلَى الطَّاعَةِ ; فَيَدْعُو لَكَ، وَيُسْتَجَابُ دُعَاؤُهُ فِي حَقِّكَ. وَرُوِيَ: " «لَا تَأْكُلْ إِلَّا طَعَامَ تَقِيٍّ، وَلَا يَأْكُلْ طَعَامَكَ إِلَّا تَقِيٌّ» "،
আল্লাহভীরু মুত্তাকী লোকদেরকে হাদীসে বিশেষভাবে খাওয়ানোর কথা এজন্য বলা হয়েছে যে, আল্লাহভীরু মুত্তাকী লোকরা আপনার খানা খেয়ে তারা আরো বেশী বেশী আল্লাহর ইবাদত করবে, এবং তারা আপনার জন্য দু'আ করলে সেই দু'আ কবুল হওয়ার বেশী সম্ভাবনা রয়েছে।
এই হাদীসের এ অর্থ নয় যে, ফাসিক বা কাফিরদেরকে খানা খাওয়ানো নাজায়েয বা হারাম।