আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
156 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (18 points)
reshown by
আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ তুমি ঈমানদার লোক ব্যতীত অন্য কারো সঙ্গী হয়ো না এবং আল্লাহভীরু মুত্তাকী লোক ছাড়া কেউ যেন তোমার খাদ্য না খায়। (সুনানে আত-তিরমিযি,২৩৯৫)


এখানে, 'আল্লাহভীরু মুত্তাকী লোক ছাড়া কেউ যেন তোমার খাদ্য না খায়।'-বলতে কি বুঝানো হয়েছে? বিধর্মীদের খাদ্য দেওয়া যাবে না? আর যদি আমার হতে খায় আর আমার সমস্যা না থাকে তবে?

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, 
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، - أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ تُصَاحِبْ إِلاَّ مُؤْمِنًا وَلاَ يَأْكُلْ طَعَامَكَ إِلاَّ تَقِيٌّ "
তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ তুমি ঈমানদার লোক ব্যতীত অন্য কারো সঙ্গী হয়ো না এবং আল্লাহভীরু মুত্তাকী লোক ছাড়া কেউ যেন তোমার খাদ্য না খায়। (সুনানে আত-তিরমিযি,২৩৯৫)


আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে ভিন্ন শব্দে বর্ণিত রয়েছে,
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «مَثَلُ الْمُؤْمِنِ وَمَثَلُ الْإِيمَانِ كَمَثَلِ الْفَرَسِ فِي آخِيَّتِهِ يَجُولُ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى آخِيَّتِهِ، وَإِنَّ الْمُؤْمِنَ يَسْهُو، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى الْإِيمَانِ، فَأَطْعِمُوا طَعَامَكُمُ الْأَتْقِيَاءَ، وَأَوْلُوا مَعْرُوفَكُمُ الْمُؤْمِنِينَ» ". رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " شُعَبِ الْإِيمَانِ " وَأَبُو نُعَيْمٍ فِي " الْحِلْيَةِ 
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানদার ব্যক্তি ও ঈমানের দৃষ্টান্ত হলো খুঁটিতে বাঁধা ঘোড়ার ন্যায়। তা চক্কর কাটতে থাকে। অবশেষে খুঁটির দিকে ফিরে আসে। অনুরূপভাবে কোন মু’মিন (কখনো কখনো) ভুল-ভ্রান্তিতে লিপ্ত হয়, আবার ঈমানের দিকে প্রত্যাবর্তন করে। অতএব তোমাদের খানা-খাদ্য (খাদ্যবস্তু) পরহেজগার লোকেদেরকে খাওয়াও এবং তোমাদের দান-খয়রাত ঈমানদারদেরকে প্রদান করো।
(মিশকাত-৪২৫০,শু‘আবুল ঈমান ১০৯৬৪, হিলইয়াতুল আওলিয়া ৮/১৭৯, য‘ঈফ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১৮৩১, তাহক্বীক মুসনাদে আহমাদ ১১৫৪৩)


মুল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
وَأَطْعِمُوا (طَعَامَكُمُ الْأَتْقِيَاءَ) : وَإِنَّمَا خَصَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الْأَتْقِيَاءَ بِالْإِطْعَامِ ; لِأَنَّ الطَّعَامَ يَصِيرُ جُزْءًا
لِبَدَنٍ فَيَتَقَوَّى بِهِ عَلَى الطَّاعَةِ ; فَيَدْعُو لَكَ، وَيُسْتَجَابُ دُعَاؤُهُ فِي حَقِّكَ. وَرُوِيَ: " «لَا تَأْكُلْ إِلَّا طَعَامَ تَقِيٍّ، وَلَا يَأْكُلْ طَعَامَكَ إِلَّا تَقِيٌّ»  "،
আল্লাহভীরু মুত্তাকী লোকদেরকে হাদীসে বিশেষভাবে খাওয়ানোর কথা এজন্য বলা হয়েছে যে, আল্লাহভীরু মুত্তাকী লোকরা আপনার খানা খেয়ে তারা আরো বেশী বেশী আল্লাহর ইবাদত করবে, এবং তারা আপনার জন্য দু'আ করলে সেই দু'আ কবুল হওয়ার বেশী সম্ভাবনা রয়েছে।

এই হাদীসের এ অর্থ নয় যে, ফাসিক বা কাফিরদেরকে খানা খাওয়ানো নাজায়েয বা হারাম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (18 points)
এর অর্থ কি এই যে আল্লাহভীরু মুত্তাকিদের খানা খাওয়ালে কাফির ফাসিকদের খাওয়ানোর চেয়ে বেশি সওয়াব পাব? রাসুল(স.) কি এখানে মুত্তাকিদের খানা খাওয়ানোকে উৎসাহিত করেছেন? 
by (588,600 points)
জ্বী, উৎসাহিত করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...