আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আসসালমুআলাইকুম উস্তায ,,,আমার হায়েজ থেকে পবিত্র হয় হওয়ার ১০ দিন পরে আবার রক্ত মত কিছু বের হওয়া শুরু হয় ।আমি ডাক্তারের কাছে যাই উনি আমাকে বলেন, আমি একটা ওষুধ খাচ্ছিলাম এই ওষুধের সাইড-ইফেক্ট হিসেবে আমার হায়েজ অনিয়মিত হয়ে গেছে,এখন আমার প্রশ্ন আমি কি সালাত আদায় করব ,নাকি আমি একজন ইস্তেহাজা রোগী হয়ে গেছি।  আমি এই অবস্থায় এখনো নামাজ পড়ছি, আমি বুঝতে পারছি না আমি কি করবো আমাকে একটু উত্তরটা তাড়াতাড়ি দিলে খুব আমার জন্য ভালো,সহজ হতো

"নিচে হায়েজ এর প্রথম তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত বিবরণ দেয়া হলো:

""আমার হায়েজ শুরু হয় ৩ (সেপ্টেম্বর )তারিখ এবং তারপর ৯ দিন থাকে অর্থাৎ ১২ তারিখ  জোহরের সময় আমি পবিত্র হয়ে এবং সালাত আদায় করি এবং ২২ তারিখে যোহরের জোহরের সময় আমি আবার এই মানে রক্তের মত কিছু একটা দেখতে পাই। (যা ডক্টর এটাকে হায়েজ বলেছে এবং আমার ওষুধ খাওয়ার জন্য এরকম হচ্ছে এটা বলেছে,), আমার এটা চলমান আছে,, এখন আমার প্রশ্ন আমি কি একজন মুস্তাহা যা আর যেহেতু আজকে আমার আজ(২৬ সেপ্টেম্বর )থেকে পবিত্র হওয়ার ১৪ দিন যদি এটা ১৫ দিন পার হয়ে যায় তখন কি আমি এটাকে হায়েজ ধরবো,,"

"আর ইস্তেহাজা রোগের জন্য কি ওয়াক্ত শুরু হলেই অজু করতে হবে ,যদি আমি ওয়াক্তের আগে অজু করে ওই ওয়াক্তের জন্য বসে থাকি আর শুধু ওই ওয়াক্তেরই নামাজ পড়ি তাহলে কি ওয়াক্ত শুরুর একটু আগে ওযু করতে পারব,, উল্লেখ্য যে যদি ফজরের পরে  জিকির করে  বসে  থাকি ইশরাকের সালাতের জন্য ।তবে কি আবার অজু করতে হবে,,,,

আবার অনেক সময় ডক্টরের কাছে যেতে হয়। যেমন: সকাল 11 টার দিকে ডাক্তারের কাছে গেলে অনেক সময় আসতে আসতে অনেক দেরি হয়ে যায়। অনেক সময় জোহরের ওয়াক্ত প্রায় শেষ হয়ে যায় । এমন অবস্থায় কি একজন ইস্তেহাজা রোগী ওযু করে যেতে পারবে শুধু যোহরের সালাত পড়ার জন্য কারণ একজন পর্দাশীল নারীর জন্য বাইরে অজু করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।

1 Answer

0 votes
by (589,470 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন। এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474

(وَمِنْهَا) النِّصَابُ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَثَلَاثُ لَيَالٍ فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ. هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا. كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ - 
হায়েযের সর্বনিম্ন মেয়াদ ৩ দিন ৩ রাত। তিন দিনের কম রক্তস্রাব হলে সেটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ ১০ দিন১০ রাত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৬)

واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔
দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৫)
:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে
 দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে। (তাতারখানিয়া-১/৩২১)
وأقل الطہر بین الحیضتین أو النفاس والحیض خمسة عشر یوماً ولیالیہا إجماعاً (درمختار: ۱/۴۷۷، ط: زکریا دیوبند) 
والناقص عن أقلہ والزائد علی أکثرہ أو أکثر النفاس أو علی العادة وجاوز أکثرہما ․․․․․․ استحاضة ۔ (المصدر السابق)
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমার থেকে কম বা বেশি,নেফাসের 
সর্বোচ্চ সীমার থেকে বেশি ইস্তেহাজা।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এখনো ১৫ দিন আপনি পবিত্র থাকেননি, তাই এটা আপনার ইস্তেহাযা। পূর্বের আদত অনুযায়ী প্রতি মাসের ঐ দিন সমূহকে হায়েয গণনা করবেন।তারপর অন্যান্য দিনগুলিকে ইস্তেহাযা গণনা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,470 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...