আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো হালাল চাকরিতেও প্রায়ই এই বিশেষ পরিস্থিতিগুলোর সম্মুখীন হতে হয়। এক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করতে হবে সেটি নির্দিষ্ট করে বললে উপকৃত হতাম।
অফিসে প্রায়ই একটি দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের সম্মুখীন হতে হয়। সেখানে তারা কিছু টাকা অসৎ উপায়ে উপার্জন করে যা আমি জানি এবং দেখা যায় আমাকেও সেখানে চুপ থেকে তাদের কাজে নিরবভাবে সায় দিতে হয়। অথবা প্রায়ই উচ্চপদস্থ অফিসারদের অন্যায় অর্ডার পালন করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কারনে কাওকে হয়রানি করা হচ্ছে, অথচ আমি জানি সে নির্দোষ। অথবা, আমি জানি কোনো একটি নিয়ম বহির্ভূত কাজ হচ্ছে এবং আমিও এর সাথে যুক্ত। এসকল ক্ষেত্রে কি করনীয়? নিচের কোন পন্থাটিতে যাব? অথবা এর বাইরে আর কোন পন্থায় গেলে ভালো হবে?
১. দূর্নীতির টাকার ভাগ না নেওয়া, সিনিয়রদের অন্যায় অর্ডার নিরুপায়ভাবে ঘৃনার সাথে পালন করা, তবে নিজের দায়িত্ব ও কাজ সততার সাথে পালন করা।
২. প্রতিবাদ করা: এখানে হাত দিয়ে প্রতিবাদ করার তো সুযোগই নেই। আর মুখ দিয়েই বা সিনিয়রদের নামে প্রতিবাদ জানাবো কার কাছে? কেও তো একা কিছু করছে না, এটি একটি সিস্টেম যেখানে অনেক উপরমহল পর্যন্ত জড়িত আর সিস্টেম আমার একার পক্ষেও পরিবর্তন সম্ভব নয়। আর প্রশাসনের সিনিয়র স্যারের অর্ডার আমি চাইলেই এককভাবে নাকচ করেও দিতে পারি না।
৩. চাকরি ছেড়ে দেওয়া: চাকরি ছাড়তে সমস্যা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যেই হালাল চাকরিতেই যাই না কেন, এটা কি কখনো সম্ভব যেখানে সবাই ইসলামি বিধান মেনে চলবে, কাওকে অন্যায়ে জড়িত হতে দেখবো না, দূর্নীতিমুক্ত পরিবেশ থাকবে অথবা সিনিয়র অফিসাররা কোনো অন্যায় হুকুম দেবেন না? আর দিলে কি বারবার চাকরি পরিবর্তন করাটা কোনো স্থায়ী সমাধান হবে?