আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
252 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো হালাল চাকরিতেও প্রায়ই এই বিশেষ পরিস্থিতিগুলোর সম্মুখীন হতে হয়। এক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করতে হবে সেটি নির্দিষ্ট করে বললে উপকৃত হতাম।

অফিসে প্রায়ই একটি দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের সম্মুখীন হতে হয়। সেখানে তারা কিছু টাকা অসৎ উপায়ে উপার্জন করে যা আমি জানি এবং দেখা যায় আমাকেও সেখানে চুপ থেকে তাদের কাজে নিরবভাবে সায় দিতে হয়। অথবা প্রায়ই উচ্চপদস্থ অফিসারদের অন্যায় অর্ডার পালন করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কারনে কাওকে হয়রানি করা হচ্ছে, অথচ আমি জানি সে নির্দোষ। অথবা, আমি জানি কোনো একটি নিয়ম বহির্ভূত কাজ হচ্ছে এবং আমিও এর সাথে যুক্ত। এসকল ক্ষেত্রে কি করনীয়? নিচের কোন পন্থাটিতে যাব? অথবা এর বাইরে আর কোন পন্থায় গেলে ভালো হবে?

১.  দূর্নীতির টাকার ভাগ না নেওয়া, সিনিয়রদের অন্যায় অর্ডার নিরুপায়ভাবে ঘৃনার সাথে পালন করা, তবে নিজের দায়িত্ব ও কাজ সততার সাথে পালন করা।

২. প্রতিবাদ করা: এখানে হাত দিয়ে প্রতিবাদ করার তো সুযোগই নেই। আর মুখ দিয়েই বা সিনিয়রদের নামে প্রতিবাদ জানাবো কার কাছে? কেও তো একা কিছু করছে না, এটি একটি সিস্টেম যেখানে অনেক উপরমহল পর্যন্ত জড়িত আর সিস্টেম আমার একার পক্ষেও পরিবর্তন সম্ভব নয়। আর প্রশাসনের সিনিয়র স্যারের অর্ডার আমি চাইলেই এককভাবে নাকচ করেও দিতে পারি না।

৩. চাকরি ছেড়ে দেওয়া: চাকরি ছাড়তে সমস্যা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যেই হালাল চাকরিতেই যাই না কেন, এটা কি কখনো সম্ভব যেখানে সবাই ইসলামি বিধান মেনে চলবে, কাওকে অন্যায়ে জড়িত হতে দেখবো না, দূর্নীতিমুক্ত পরিবেশ থাকবে অথবা সিনিয়র অফিসাররা কোনো অন্যায় হুকুম দেবেন না? আর দিলে কি বারবার চাকরি পরিবর্তন করাটা কোনো স্থায়ী সমাধান হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1982

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু সিস্টেমকে পরিবর্তন করা আপনার একার পক্ষে সম্ভব নয়, তাই সকল প্রকার অন্যায় ও দুর্নীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করবেন। সিনিয়রদের অন্যায়কাজে নিজেকে শরীক করা জায়েয হবে না।এজন্য চাকুরী চলে গেলেও যেতে দিন।আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...