আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তায। সালাফদের থেকে কি ইলম নেয়া যাবেনা?  আমি যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস শাইখ নাসিরুদ্দিন আলবানীর কিছু কিতাব সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তার নামে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা পড়লাম কিছু আর্টিকেলে। শাইখ সুয়াইব আরনাউত উনার ব্যাপারে নাকি ভিন্ন মত পোষণ করেছেন উনার তাহকীকে নকাই ভুল আছে। আল্লাহ তা'আলা উনাদের ভুল গুলো ক্ষমা করুন।। কিন্তু আমি রিয়াদুস সলিহিন এর ২রকম কিতাব দেখেছি একটি শুধুমাত্র শাইখ শুয়াইব এর তাহকীককৃত অপরটি উভয়ের তাহকীককৃত।। এখন আমার জন্য কোনটা উত্তম হবে।।
by (11 points)
আপনি শায়েখ বিন বায (রহ) (সৌদির গ্রেন্ড মুফতি ছিলেন) - উনি আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আলবানী (রহ) উনাদের থেকে থেকে বিশুদ্ধ মত গুলাই নিতে পারেন, ভুল ভাই সবার ই কম বেশি রয়েছে। কনফিউজের কিছু নেই ইনশা-আল্লাহ, যা কোর'আন হাদিসের সাথে যায় তা ই গ্রহন করবেন। কোনো আলেমের প্রতিই বিদ্বেষ রাখিয়েন না, নিজের অবস্থা নিয়ে সব সময় ফিকির করবেন আর আপনার পরিবার কে নিয়ে, বাকিদের নিয়ে সারাদিন চিন্তা করেও লাভ নেই মূলত, এটাই বাস্তব কথা ভাই।

কাউকে হেয় করা, কমেন্ট এ গালি দেয়া, তর্ক করা, অহেতুক বিষয় নিয়ে পড়ে থাকা এসব এরিয়ে চলবেন, ফেসবুকে যা হয় বা যেসব ইস্লামিক বিষয় ফেসবুকে ভাইরাল হয় বক্তাদের কেন্দ্র করে তা অধিকাংশই এভয়েড করবেন। দিন শেষে আপনার নিজের কোনো ফায়দা নেই। সব মাঝহাব কে সম্মান করবেন, ৪ মাঝহাবের যেই টা কোর'আন হাদিসের সাথে মিলবে তা ই গ্রহন করবেন।

আমাদের দেশে ফেসবুকে যারা আলেমদের গালিগালাজ করে, বা যেই বক্তাই গালিগালাজ করে, এদের এভয়েড করবেন।
by (7 points)
আলহামদুলিল্লাহ আমি কোনো শাইখদের প্রতি বিদ্বেষপোষণ করিনা।। জানার জন্যই উস্তাযকে প্রশ্ন করা যে উনার কিতাব নেয়া যাবে কিনা যেখানে শাইখ শুয়াইব উনার ব্যাপারে ভিন্ন মত দিয়েছেন।। আসলে জানাটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু আমার এই বিষয় জ্ঞান নেই তাই উস্তাযের কাছে বিষয়টি জানতে চাচ্ছিলাম।

1 Answer

0 votes
by (566,670 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/47559/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
(আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯।  মিশকাত ২৪২।)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: مَنْ تَقَوَّلَ عَلَيَّ مَا لَمْ أَقُلْ، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَمَنِ اسْتَشَارَهُ أَخُوهُ الْمُسْلِمُ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِغَيْرِ رُشْدٍ فَقَدْ خَانَهُ وَمَنْ أُفْتِيَ فُتْيَا بِغَيْرِ ثَبْتٍ، فَإِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যা বলিনি তা যে ব্যক্তি আমার প্রতি আরোপ করবে সে যেন দোযখে তার স্থান করে নিলো। কোন ব্যক্তির নিকট তার কোন মুসলিম ভাই পরামর্শ চাইলো কিন্তু সে তাকে ভ্রান্ত পরামর্শ দিলো। সে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। আর যে ব্যক্তি দলীল-প্রমাণ ছাড়াই ফতোয়া দিলো, তার এই ফতোয়াদানের পাপ তার উপরই বর্তাবে। 
(মুসলিম. আল আদাবুল মুফরাদ ২৫৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সালাফদের থেকে ইলম নেয়া যাবে।
তবে মাসয়ালা নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

কেননা এক্ষেত্রে নিজ মাযহাবের মাসয়ালার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে মতবিরোধ পাবেন।

আপনি কোন শায়েখ/মুফতী সাহেব ফতোয়া নিয়েছেন,সেটি দেখতে হবে।
তিনি আপনার মাযহাবের না হলে এক্ষেত্রে ভূল আপনার।
,
কেননা আপনি অন্য মতালম্বী আলেম থেকে ফতোয়া নিয়েছেন।
যাহা মুকাল্লিদের জন্য কাম্য নয়।
,
আপনি যদি ২ জন মুফতীর মধ্যে দুই জনই নিজ মাযহাব অনুসারী, এমন ২ জন থেকেই ফতোয়া নেন,তাহলে দেখবেন  কার ফতোয়াতে দলিল রয়েছে,দলিল অনুযায়ী যিনি কথা বলবেন,তার কথা মানবেন।
,
যার ফতোয়াতে দলিল নেই,তার কথা আপনি মানবেননা।
,
যদি নিজ মাযহাবের স্কলার থেকেই ফতোয়া নেন,আর দলিল ভিত্তিক ফতোয়া নেয়ার পরেও ফতোয়া প্রদানে মুফতি সাহেবের  ভুল হলে সেই অনুযায়ী আপনি না জেনে আমল করলে প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

গুনাহ সেই ফতোয়া প্রদানকারীরই হবে।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রিয়াদুস সলিহিন উভয় কিতাব থেকেই ফায়েদা নিতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...