ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) আকিক পাথরের ব্যবহারকে সুন্নাহ বলা যাবে না।তবে এটা এমনিতে ব্যবহার করতে কোনো বাধা নেই।দুয়েকটি বর্ণনায় আকিক পাথরের কথা পাওয়া গেলেও ঐ সব বর্ণনা নিতান্তই দুর্বল।
فتوی نمبر : 144106200782
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن
(২) আকিক পাথরের আংটি বা অন্য কোন আংটিতে কিছু লিখা যাবে। তবে কুরআনের আয়াত না লিখাই উচিৎ। কেননা নতুবা বাথরুমে যেতে সর্বদা খুলে যেতে হবে।
(৩) রুপার আংটি পরিধান করাই সুন্নাহ।ডান আঙ্গুলে পরিধান করাই সুন্নাহ।
৪) তাবিজ ব্যবহার বৈধ। তাবিজে কুরআন হাদীসের বানী বা মর্মার্থ ব্যাবহার করা যাবে।
(৫) তাবিজে আরবি ছাড়া অন্য কোন ভাষা ব্যাবহার করা যাবে। তবে কুরআন হাদীসের মর্মার্থ হতে হবে।
(৬) তাবিজে নকশা ব্যাবহার করা যাবে। তবে এগুলো কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।বরং বুজুর্গানে কেরামের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্ণিত হয়েছে।
(৭) সংখ্যা পদ্ধতিতে তাবিজ লেখার বিষয়টাও পূর্বে বর্ণিত ৬ নং প্রশ্নের মত।
(৮)মুদাব্বিরি বলতে তিনি যিনি ঝাড়ফুঁক করে চিকিৎসা করেন।
(৯) মুদাব্বির হতে হলে তাকে চিল্লা/ যাকাত দিতে হয়। প্রাথমিক ৪০/৮১ দীনের। এর পরে বিভিন্ন আয়াত, দুয়া, সুরার উপরে জাকাত/চিল্লা দেয়।
এগুলোর কোনোটাই কুরআন হাদীসে আসেনি।
(১০)এইসব তবদীর গুলো পূর্ববর্তী নেককার লোকদের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্ণিত। কুরআন হাদীসে এগুলো আসেনি।
(১১)মুদাব্বিরি লাইনে মুয়াক্কেল বলতে আমরা জানিনা।
(১২) মুদাব্বিরি বা কবিরাজি লাইনে তুলা রাশি বা আল্লাহর নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা থাকে কিছু জন। যাদের হাতে কিছু পরে ফুঁ দিলে একাই হাত চলতে থাকে। এবং এদের দিয়ে আয়না দেখে। আয়নাতে অনেক কিছুই দেখা যায়।
এইগুলো শরীয়ত সম্মত নয়। এবং এগুলো করাও বৈধ নয়।