আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ,
বিয়ের জন্য এমন কারো প্রস্তাব এসেছে যার দ্বীনের বুঝ তেমন নেই,সালাত আদায় করেন কিন্তু ফজর মিস হয়ে যায়,সুন্নাতি দাড়ি নেই, ফরযে আইন ইলম নেই। কিন্তু চরিত্র ভালো, দায়িত্ববান, বাবা মায়ের দেখাশোনা করেন, স্ত্রী পর্দায় থাকতে চাইলে আপত্তি নেই, তাকে দ্বীন পালনে কোন বাধা দিবেন না, এব্যপারে সম্মান করেন।

বাসায় সবাই বলছে বিয়ের পর বাকিটা নিজের মত বানিয়ে নিতে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি মানুষকে নিজের মত বানিয়ে নেয়া যায় না। আমি মানা করে দিয়েছি কিন্তু আমার এবং তার পরিবারে ভীষণ আগ্রহই আবার ভাবাচ্ছে আমাকে।

আমি ডিভোর্সি,উনিও। আমার আম্মু নেই, আমার বিয়ের হলে হয়তো আব্বু ও নিজেকে নিয়ে ভাববেন। তাই সব মিলিয়ে বুঝতে পারছিনা কি করা উচিত। আমি জানি বিয়েতে রাজি হলে আব্বু খুব খুশি হবেন, কিন্তু দ্বীনের ক্ষেত্রে আমি ছাড় দিতেও  রাজি না। আমাকে একটু পরামর্শ দিয়ে সাহায্য  করুন উস্তাদ মিন ফাদ্বলিক

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত পাত্রের চরিত্র ভালো, দায়িত্ববান, বাবা মায়ের দেখাশোনা করেন, স্ত্রী পর্দায় থাকতে চাইলে আপত্তি নেই, তাকে দ্বীন পালনে কোন বাধা দিবেন না, এব্যপারে সম্মান করেন।

সুতরাং এক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় গুলি ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে সমস্যা না থাকলে উক্ত বিবাহে রাজি হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 
,
এক্ষেত্রে বিবাহের পর ফরজ ইলম অর্জন, দাড়ি রাখা ও নামাজে নিয়মিত হওয়ার জন্য আপনি মেহনত করবেন,দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত করে দিবেন,তাতে ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
পরামর্শ ঃ আপনিই বললেন যে, দ্বীনের বুঝ নেই, মুখে দাড়ি নেই, ছালাত তো বোন সবাই কম বেশি পড়ে। দ্বীনদারের চিহ্ন ই হলো মুখে দাড়ি থাকবে। বাবা মার দেখা শোনা করা, দায়িত্ববান এইগুলা জন্মগত বৈশিষ্ট। দ্বীন এইগুলা থেকে ভিন্ন সাবজেক্ট এবং গুরুত্বপূর্ন। হে আমিও একমত যে, কাউকে বিয়ের পর নিজের মত মানিয়ে নেয়া যায় নাহ, এটা ধোকা মার্কা কথা। আপনার মেন্টালিটি যেমন ঠিক তেমন কাউকে খুজুন।

ছেলেটির দ্বীনের বুঝ নেই, বিয়ের পর যদি পর্দা করতে না দেয়? কি করবেন তখন?
একজন দ্বীনদারকে যদি বিয়ে করেন তাহলে নিশ্চিত থাকবেন বিয়ের আগেই যে পর্দায় ঝামেলা হবে নাহ। কনফিউজ জিনিস এড়িয়ে চলুন, সবাই রাজি হওয়া আর আপনার রাজির মধ্যে তফাত আছে, কারন সংসার টা আপনি করবেন, তারা নয় বোন।

সাধারন ভাবেই চিন্তা করুন, আপনি কোথায় যেতে চান? জান্নাতে? আপনার কি মনে হয় দ্বীনের বুঝ কম কেউ আপনাকে জান্নাতের পথে নিয়ে যাবে? আপনার থেকে ভালো ইল্ম ওয়ালা কাউকে খুজুন, এতে আপনার ভুল গুলি বিয়ের পর সে ধরিয়ে দিতে পারবে, আপনার সন্তানদের ইসলামিক বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারবেন।

যার দ্বীনের বুঝ নেই বিয়ের পর যদি সন্তান হয়, তারপর যদি ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করাতে চায়, আপনি চান মাদ্রাসায়, এসব নিয়ে ঝামেলা হবে। আরো অনেক কিছুই হবে।

আপনার ঈমান দুর্বল মনে হয়, আপনার লিখাগুলি পড়ে যা মনে হলো আমার, ঈমান শক্ত হলে কখনোই দাড়ি নেই ছেলেকে বিয়ের চিন্তাও কোনো দ্বীনি বোন করবে না, আমি নিশ্চিত।

নিজের ঈমান বাড়ান, আপনি যেমন হবেন, আপনি পাবেন ও ঠিক তেমন কাউকে। আশা করি পরামর্শ গুলি কাজে লাগবে।
by (11 points)
জাযাকুমুল্লাহ খইরন আপনাদের উত্তম পরামর্শের জন্য।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...