পরামর্শ ঃ আপনিই বললেন যে, দ্বীনের বুঝ নেই, মুখে দাড়ি নেই, ছালাত তো বোন সবাই কম বেশি পড়ে। দ্বীনদারের চিহ্ন ই হলো মুখে দাড়ি থাকবে। বাবা মার দেখা শোনা করা, দায়িত্ববান এইগুলা জন্মগত বৈশিষ্ট। দ্বীন এইগুলা থেকে ভিন্ন সাবজেক্ট এবং গুরুত্বপূর্ন। হে আমিও একমত যে, কাউকে বিয়ের পর নিজের মত মানিয়ে নেয়া যায় নাহ, এটা ধোকা মার্কা কথা। আপনার মেন্টালিটি যেমন ঠিক তেমন কাউকে খুজুন।
ছেলেটির দ্বীনের বুঝ নেই, বিয়ের পর যদি পর্দা করতে না দেয়? কি করবেন তখন?
একজন দ্বীনদারকে যদি বিয়ে করেন তাহলে নিশ্চিত থাকবেন বিয়ের আগেই যে পর্দায় ঝামেলা হবে নাহ। কনফিউজ জিনিস এড়িয়ে চলুন, সবাই রাজি হওয়া আর আপনার রাজির মধ্যে তফাত আছে, কারন সংসার টা আপনি করবেন, তারা নয় বোন।
সাধারন ভাবেই চিন্তা করুন, আপনি কোথায় যেতে চান? জান্নাতে? আপনার কি মনে হয় দ্বীনের বুঝ কম কেউ আপনাকে জান্নাতের পথে নিয়ে যাবে? আপনার থেকে ভালো ইল্ম ওয়ালা কাউকে খুজুন, এতে আপনার ভুল গুলি বিয়ের পর সে ধরিয়ে দিতে পারবে, আপনার সন্তানদের ইসলামিক বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারবেন।
যার দ্বীনের বুঝ নেই বিয়ের পর যদি সন্তান হয়, তারপর যদি ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করাতে চায়, আপনি চান মাদ্রাসায়, এসব নিয়ে ঝামেলা হবে। আরো অনেক কিছুই হবে।
আপনার ঈমান দুর্বল মনে হয়, আপনার লিখাগুলি পড়ে যা মনে হলো আমার, ঈমান শক্ত হলে কখনোই দাড়ি নেই ছেলেকে বিয়ের চিন্তাও কোনো দ্বীনি বোন করবে না, আমি নিশ্চিত।
নিজের ঈমান বাড়ান, আপনি যেমন হবেন, আপনি পাবেন ও ঠিক তেমন কাউকে। আশা করি পরামর্শ গুলি কাজে লাগবে।