আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
432 views
in পবিত্রতা (Purity) by (25 points)

আসসালামু আলাইকুম

১)

আমার পস্রাবে সমস্যা আছে । পস্রাব ক্লিয়ার হতে অনেক সময় লাগে আবার মাঝে মাঝে লাগেনা।

অনেক সময় পস্রাব করে ইস্তেঞ্জা করার পর একদম পরিষ্কার হয় এবং এর পর আবার কিছুক্ষন অপেক্ষা করি যদি আবার বের হয় । যদি দেখি আর বের হয়না তাহলে টয়লেট থেকে বের হয়ে যাই । এবং আবার ২-৩ মিঃ পর চেক করি টয়লেটে গিয়ে  । আর যদি দেখি বের হচ্ছে তাহলে আবার ইস্তেঞ্জা করি (বের হলে খুবই অল্প বের হয় , বেশির ভাগ সময় টের পাওয়া যায়না তবে টয়লেটে গিয়ে চেক করলে দেখা মিলে)।

কিন্তু যখন বাহিরে থাকি তখন টয়লেটে গিয়ে ২য় বার আবার চেক করা সম্ভব হয়না । তখন যদি একবার ক্লিয়ার দেখে ওজু করে নামাজে যাই এবং এই ক্ষেত্রে নামাজের ভিতরে আবার পস্রাব বের হওয়া ,না হওয়া ২টারই সম্ভাবনা থাকে তাহলে কি করা উচিৎ। নামাজ কি হবে ?

২)

ক) ইস্তেঞ্জার জন্য কি শুধু টিস্যু যথেষ্ট নাকি পানিও ব্যাবহার করতে হবে ?

খ) যদি মুত্র নালির ছিদ্র পথের আসেপাশে পস্রাব লাগে তাহলে কি শুধু টিস্যু যথেষ্ট নাকি পানিও ব্যাবহার করতে হবে ?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
কাপড়ে যদি পেশাব লেগেই যাবে,তাহলে
শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে যদি উক্ত পেশাবের পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে।

صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। 

{সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

আরো জানুনঃ 
,
নামাজের ভিতর যদি পেশাব বের হয়,তাহলে তো নামাজ ভেঙ্গে যাবে,নতুন করে পরিস্কার হয়ে,অজু করে আসতে হবে।
,
সুতরাং আপনার এই সমস্যা যদি খুবই বেশি হয়,তাহলে নামাজ পড়ার আগ মূহুর্তেই পেশাব করবেননা।
নামাজে যেনো এই সমস্যা না হয়,এর জন্য যাহা কিছু করার প্রয়োজন, তাহাই করতে হবে। 
যদি দাড়িয়ে নামাজ পড়লেই এই সমস্যা হয়,তাহলে বসে থেকেও নামাজ পড়া যাবে।
,
তবে এর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

(০২)

(ক)
এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।  
কারন হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}

টিস্যু ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(খ)
যদি মুত্রনালীর ছিদ্রের আশেপাশে পেশাব লাগে, 
এক্ষেত্রে এক দিরহাম সমপরিমাণ হলে পানি দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।
তার চেয়ে কম হলে সেটি পানি দিয়ে না ধুলেও নামাজ হয়ে যাবে।
(জামিউল ফাতওয়া ৩/১৯৬)
,
عن معمر عن قتادة في رجل يصيب جسده البول او الدم وهو متوضئ قال يغسل أثر البول والدم ولا يتوضأ (مصنف عبد الرزاق - رقم86- ج1 / 28)
সারমর্মঃ  হযরত কাতাদা রাঃ থেকে বর্ণিত, শরীরে পেশাব রক্ত লাগলে সেই জায়গা ধুতে হবে,,,

হেদায়া ১/২৩৩ তে এসেছে
فإن أصابه بول فیبس لم یجز حتی یغسله
যদি পেশাব লাগে,এবং শুখিয়ে যায়,তাহলে না ধুলে জায়েজ হবেনা।
,


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...