ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
«الْعَدَالَةُ: وَقَدِ اخْتَلَفُوا فِي هَذَا الشَّرْطِ، فَاعْتَبَرَهَا قَوْمٌ، وَقَالُوا: لَيْسَ لِلْفَاسِقِ أَنْ يَأْمُرَ وَيَنْهَى، وَاسْتَدَلُّوا بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنْسَوْنَ أَنْفُسَكُمْ} (١) . وقَوْله تَعَالَى: {كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللَّهِ أَنْ تَقُولُوا مَا لَا تَفْعَلُونَ} (٢) . وَقَال آخَرُونَ: لَا تُشْتَرَطُ فِي الأَْمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ الْعِصْمَةُ مِنَ الْمَعَاصِي كُلِّهَا، وَإِلَاّ كَانَ خَرْقًا لِلإِْجْمَاعِ، وَلِهَذَا قَال سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ: إِذَا لَمْ يَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ إِلَاّ مَنْ لَا يَكُونُ فِيهِ شَيْءٌ لَمْ يَأْمُرْ أَحَدٌ بِشَيْءٍ. وَقَدْ ذُكِرَ ذَلِكَ عِنْدَ مَالِكٍ فَأَعْجَبَهُ.
وَاسْتَدَل أَصْحَابُ هَذَا الرَّأْيِ بِأَنَّ لِشَارِبِ الْخَمْرِ أَنْ يُجَاهِدَ فِي سَبِيل اللَّهِ، وَكَذَلِكَ ظَالِمُ الْيَتِيمِ، وَلَمْ يَمْنَعُوا مِنْ ذَلِكَ لَا فِي عَهْدِ الرَّسُول صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا بَعْدَهُ.» - «الموسوعة الفقهية الكويتية» (6/ 249)
মর্মার্থ- ভালো কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধ করার জন্য কি বেগুনাহ বা আদিল হওয়া শর্ত? এসম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে, একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, ফাসিক বা গোনাহগার কখনো কাউকে সৎ কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধ করতে পারবে না। তাদের দলীল সুরায়ে বাকারার ৪৪ নং আয়াত। “তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না” এবং সূরায়ে সফের ৩ নং আয়াত “তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।”
অন্যদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, সৎ কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধ করার জন্য সকল প্রকার গোনাহ থেকে পরিত্রাণ হওয়া জরুরী নয়। জরুরী বলাটা ইজমায়ে উম্মতের খেলাফ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/15704
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাউকে ভালো কাজের আদেশ দিয়ে সর্বদা নিজের আ'মলে নিয়ে আসা প্রত্যেক দাঈর একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। হ্যা, বিশেষ কোনো প্রয়োজনে উক্ত ভালো কাজ নিজে ভুলে গেলে বা আ'মলে নিয়ে না আসলে কোনো গোনাহ হবে না।তবে যিনি দাওয়াত দিবেন উনার উচিৎ,তিনি যেন ঐ কাজ নিজের আমলে পরিণত করার নিয়তে অন্যকে দাওয়াত দেন।
সুতরাং
পাপে লিপ্ত থেকেও পাপকে পাপ বলা আর ভালো কাজকে সাপোর্ট করাই তো উচিৎ ও কাম্য।