আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
আমি ও আমার স্বামী দুইজনেই ছাত্রবস্থায় বিয়ে করেছি। আমার স্বামী আমাকে অনেক ভালোবাসত। পরে আসতে আসতে সে রাগান্বিত হয়ে যেতো আর আমাকে বিভিন্ন কারণে বকাবকি করতো। তখন আমিও রেগে যেতাম।আমি আমার মায়ের সাথে ফোনে কথা বলতাম আর সে ভাবতো আমি তার ও তার পরিবার সম্পর্কে খারাপ কথা বলি। পরে সে গোপনে অডিও করে বাইরে কাজে যেতো। একদিন আমাকে সে নিজেই বলে যে তুমি তোমার মায়ের সাথে এসব আমার নামে বলেছ কেন আমি গোপনে শুনলাম। পরে আমি অনুতপ্ত হই।
কিন্তু আমার স্বামীর অনেক রাগ হয় মাঝেমধ্যে রেগে আমার জামা ছিড়ে দেয়। আমাকে দুই তিনদিন চর দিয়েছে। চর দিয়ে আবার সে নিজেও নিজেকে আঘাত করে কষ্ট পাই।অনুতপ্ত হই। একদিন আমাকে লাথি দিয়েছে আর আমিও তাকে চুল ধরে জামা ছিড়ে দিয়েছি। তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছি।তাকে গালি দিয়েছি।আমিও রাগ করে ঘর থেকে বের হয়ে যায় অনেকবার।তাকে তুই তকারি করি।কিন্তু পরে দুইজনাই আবার ঠান্ডা হয়ে যায় আর ভালোবাসা আমাদের মধ্যেই থাকে।কাউকে জানায়নি আমরা।

পরে আমি আমার বাবার বাসায় আসি।কিন্তু সে ফোনে আমাকে কোন একটা বিষয় নিয়ে বকাবকি করলে আমি কান্না করি পরে আমি আমার মাকে সব ঘটনা বলি।আমার স্বামী অনেক অনুতপ্ত হয় আর কান্নাকাটি করে। ভুল স্বীকার করে। পরে আমার স্বামী ও তার বাবা মা আমাকে নিতে আসলে দুইপক্ষের মধ্যে কথা হতে আমরা একে অপরকে দোষ দিতে থাকি এবং আমার স্বামী তার বাবা মাকে নিয়ে আমাদের বাসা থেকে চলে যায় রাগ করে। এতে আমার বাবা অনেক রাগান্বিত হয়ে আমার শ্বশুরকে বলে আপনার ছেলেকে কেস দিব।

পরে স্বামীর সাথে আমার ফোনে কথা হয়।সে আর আমি দুইজন দুইজনকেই মাফ করে দিই।সেও অনেক অনুতপ্ত হই আর আমিও। কিন্তু আমার বাবা মা ওই ছেলের সাথে আর সংসার করাতে দিতে চাইনা। পরে আমার ফ্যামিলির অন্যান্য মানুষজনদের বিষয়টা জানে। পরে আমার মা ছেলের ফ্যামিলির মানুষদের ও জানায়।আমি নিষেধ করেছিলাম মাকে কিন্তু সবাইকে জানায়।ফলে দুইপরিবারের মধ্যে একটা তিক্ততা দ্বন্দ লেগে যায়। এইদিকে আমার মা বাবা আমার স্বামীর সাথে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ করে দিতে বলে। আমার স্বামী বারবার আমাকে কল দেওয়ার চেষ্টা করে কথা বলার চেষ্টা করে কিন্তু আমি আর তার সাথে কন্টাক করিনা।

পরবর্তীতে স্বামীর বাবা মা ও এই সম্পর্কে আর মেনে নিবেনা আর এদিকে আমার বাবা মা ও আর সম্পর্ক করাতে চাইনা তাই আমি আর যোগাযোগ করিনা। কিন্তু আমার স্বামী একাই চাই আমার সাথে সংসার করতে।এই অবস্থায় ও আমি তিন/চার মাস থেকে যোগাযোগ করিনা।

এখন আমার স্বামীর পরিবার তালাকের কথা বলেছে।
কিন্তু আমার স্বামী বারবার আমার সাথে কন্টাক করার চেষ্টা করছে কিন্তু আমি বাবা মার হুকুমে কথা বলছিনা। কারণ আমার বাবা মা চাইছেনা আবার ওদিকে স্বামীর পরিবার ও চাইনা। তাহলে আমার সম্মান নাই ওদের ফ্যামিলিতে।


প্রশ্ন: উপরিউল্লেখিত সিচুয়েশনে আমাকে আমার স্বামী ডির্ভোস দিবে। আমি রাজি কিনা জানতে চাই। আমি না চাইলে সে হয়তো দিবেনা। কিন্তু আমি সবকিছু মিলে চুপ করে মৌন সম্মতি রাখছি ডির্ভোস দেক।কারণ আমার বাবা মা ও পুরো ফ্যামিলি জেনে গেছে তাই তারা পাঠাবেনা।অন্যদিকে অপমানিত হয়ে ছেলের পরিবারও মেনে নিচ্ছেনা। শুধু ছেলে চাইছে।
সব ঘটনা পড়ে হুজুর এটা কি মনে হচ্ছে আমি জান্নাতের সুঘ্রাণ না পাওয়া নারী হয়ে যাচ্ছি কি?

1 Answer

0 votes
by (589,380 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
https://www.ifatwa.info/83795 নং ফাতাওয়ায় এজাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছি।সম্ভবত ঐ প্রশ্নটি স্বামীর পক্ষ থেকে ছিলো। আর এ প্রশ্নটি স্ত্রীর পক্ষ থেকে।

আপনারা স্বামী স্ত্রীর উচিৎ যে, আপনারা নিজেদের পরিবারের লোকদেরকে দিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করিয়ে নিবেন।
وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِّنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِّنْ أَهْلِهَا إِن يُرِيدَا إِصْلَاحًا يُوَفِّقِ اللَّهُ بَيْنَهُمَا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا
যদি তাদের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার মত পরিস্থিতিরই আশঙ্কা কর, তবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে। তারা উভয়ের মীমাংসা চাইলে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছু অবহিত।(সূরা নিসা-৩৫)

যদি পারিবারিকভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভবপর না হয়, এবং পাত্র তালাকনামা পাঠিয়ে দেয়, এবং স্ত্রী নিশ্চুপ থাকে, তাহলে এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর কারো গোনাহ হবে না। কেননা এখানে ঝগড়া ফাসাদ এমন পর্যায়ে পৌছে গেছে যে, যেকোনো সময় বড় ধরণের অঘটন ঘটে যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...