আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
আসসালামু আলাইকুম। প্রশ্নকর্তা একজন নারী,অবিবাহিত।বর্তমানে বাবার বাসায় পরিবারের সাথে বসবাস করছেন।পারিবারিক ভাবে আলহামদুলিল্লাহ স্বচ্ছল।পারিবারিক দিক দিয়ে চিন্তা ভাবনা করলে তারা কখনো সাদাকা বা যাকাত গ্রহনের খাতে পড়ে না।

প্রশ্ন টা যিনি করেছেন তার কথা সরাসরি তুলে ধরা হয়েছে।এমতাবস্থায় ওনি কি সাদাকা,যাকাত গ্রহন করতে পারবেন?সাদাকা সাধারণত কেউ দেয় না।দিবেও না।যাকাত তাও মানুষ দেয়।এজন্যই যাকাতের কথা জিজ্ঞেস করেছেন।


১)আমার পরিবার, মা বাবা আলহামদুলিল্লাহ স্বচ্ছল।ওনাদের নিজেদের সংসার খরচ,ওষুধ কেনা বাজার খরচ এসবেই অনেক ব্যয় হয়ে যায়।


২)আমি নিজে শিক্ষিত কিন্তু পর্দা মেইনটেইন এর কারনে জবে যেতে পারি নি।বাসা থেকে আমার কোন হাত খরচ ও নেই।আমার কিছু প্রয়োজন থাকে নিজের।কিছু পড়াশোনার জন্যও আবার চিকিৎসার জন্যও।বিভিন্ন কোর্স করি স্কলারশিপ চেয়ে চেয়ে।সব জায়গায় স্কলারশিপ দেয় না।তখন টাকা পে করতে হয়।আমার ইনকামই নাই। আমি পে টা করব কোথা থেকে।


৩)কুরআন শেখার কিছুদিন আগে একটা কোর্স করেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, স্কলারশিপ এ করেছি।আমি সম্পূর্ন ফি এর ৪/১ ভাগ দিয়েছলাম।বাকীটা তারা আমাকে ছাড় দিয়েছেন।এধরনের অনেক কিছুই।


৪)আমার কিছু প্রয়োজন থাকে।আমি অপ্রয়োজনে খরচ করার মানুৃষ না আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আমার প্রয়োজন যে কিছু আছে,সেগুলোর কি করব?আমার তো দায়িত্ব নেয়ার কেউ নাই।কিছু বলি না তেমন।বললেই বিয়ের খোঁটা শুরু হয়।বিয়ে তো বললেই হয়ে যায় না।


৫)রিসেন্টলি স্কিনের মারাত্মক সমস্যা শুরু হয়েছে। কিন্তু আমার সেসব জিনিস ব্যবহার করতে হবে সেগুলো কেনার সামর্থ্য নাই।দিন দিন স্কিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে এক ডাক্তার দেখে ওষুধ দিয়েছেন।হিসাব করে দেখলাম কিনতেই ২/৩ হাজার টাকা লাগবে।
মানুষ অন্য সমস্যা খুব সিরিয়াস ভাবে দেখে কিন্তু স্কিনের সমস্যা পাত্তাই দেয় না।অথচ আয়নার সামনে দাড়াতে পারি না।মন চায় আয়না ভেঙে ফেলি।দিন দিন খারাপ হচ্ছে স্কিন।
৬)আমি শিক্ষিত একটা মানুষ হয়ে জব না করে ভুল করেই ফেললাম?আমার ১০ টাকা লাগলেও মানুষের কাছে হাত পাততে হবে?আমার দায়িত্ব টা নেয়ার মত কেউনাই।

৭)আমি টিউশনি করি না।মাঝেমধ্যে কোনভাবে হাতে সামান্য কিছু টাকা আসলে সেগুলো দিয়ে টুকটাক প্রয়োজনে খরচ করি।

৮)এমতাবস্থায় আমি কি করব?আমি কি সাদাকা গ্রহন করতে পারব?যাকাত গ্রহন করতে পারব?কোনদিন চিন্তা করি নাই এ প্রশ্ন আমার করতে হবে। কিন্তু কি করব।আমার পরিবারের, মা,বাবার থাকতে পারে।কিন্তু একজন ব্যক্তি হিসেবে আমি তো ফকির তাই না।আমার ও যে কিছু প্রয়োজন আছে কি করব এসব নিয়ে। কত কন্ট্রোল করব।সব তো বাদও দেয়া যায় না।

টিউশনি নাই,করা যদি যেত করতামই।আমার নিয়মিত ৩ হাজার টাকাও যদি থাকত,তাও এদিক সেদিক ঘুরতে হত না।কিন্তু ৩ হাজার টাকা নিয়মিত স্বপ্নের মত।


৯)এখন মনে হয় কি জানেন।পর্দার চিন্তা না করে জব করলেই ভাল হত।অন্তত আজকে ফকির মত জীবন যাপন করতাম না।যাকাত নিতে পারব কিনা এ প্রশ্ন করতে হত না।মেয়েদের জন্য কত নিয়ম কানুন।কিন্তু দায়িত্ব টা কেউ নিবে না।নিজের ইনকাম থাকলে নিজের প্রয়োজনে খরচ অন্তত করা যেত।নিজের চিকিৎসা অন্তত করতে পারতাম।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/71830 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

কে যাকাত খেতে পারবে?

وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.

অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯) 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যে ব্যাক্তি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,সেই ব্যাক্তি শরীয়তের পরিভাষায় ধনী নয়,সে ফকির।
সুতরাং সেই ব্যাক্তি যাকাত সহ অন্যান্য সদকাহ গ্রহন করতে পারবে। 

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যেহেতু নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,সুতরাং প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি যাকাত সহ অন্যান্য সদকাহ গ্রহন করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...