জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যেহেতু আপনার দাদা জীবিত অবস্থায় আপনার দাদার সম্মতিতে আপনার সেজু কাকা তথা আপনার সৎ বাবাকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, এজন্য আপনার দাদার গোনাহ হবে। কিয়ামতের দিন উনাকে জবাবদিহিতা করতে হবে। তবে আপনার সেজু কাকা আর সম্পদ পাবেন না।কেননা সম্পদের মূল মালিক আপনার দাদার সম্মতিতেই সেটা হয়েছে।
আপনারা দুই বোন,এবং আপনার সৎ বোন,তথা বাবার অন্য স্ত্রীর মেয়ে, এই সর্বমোট আপনারা তিন বোন, আপনারা আপনাদের মৃত বাবার মোট সম্পত্তি থেকে দুই তৃতীয়াংশ পাবেন। এবং আট ভাগের এক ভাগ আটনার সৎ মা পাবেন।আর ছয় ভাগের একভাগ আপনার দাদী এবং অবশিষ্ট সম্পদ আবার আপনার দাদা পেয়ে যাবেন। আপনার সৎ বাবা সেজু কাকার মেয়ে আপনার বাবার সম্পদ থেকে কোনো হিস্যা পাবে না।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আগের ফতোয়া অনুপাতে আপনার দাদা দাদি যত সম্পদ পেয়েছিলো,সেটা সহ আপনার দাদা দাদির সমূদয় সম্পত্তি নয় ভাগ হবে।
আপনার তিন কাকা (যারা জীবিত) প্রত্যেকে দুই ভাগ করে মোট ৬ ভাগ পাবে।
আর আপনার ৩ ফুফু প্রত্যেকে ১ ভাগ করে মোট ৩ ভাগ পাবে।
এক্ষেত্রে আপনার দাদা দাদির সম্পদ হতে আপনারা (নাতী,নাতনিরা) কোনো অংশই পাবেননা।
কেননা শরীয়তের বিধান হলো মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান জীবিত থাকলে নাতী কোনো সম্পদ পাবেনা।
দলিলঃ
সহীহ বুখারীতে হযরত যায়েদ বিন সাবেত রা. এর ফাতওয়া উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বলেন-
ولا يرث ولد الابن مع الابن
অর্থ : ছেলে থাকাবস্থায় (মৃত) ছেলের সন্তানাদি কোন মীরাস পাবে না। (সহীহ বুখারী ২/৯৯৭)
* উত্তরাধিকার বন্টনের ক্ষেত্রে নিকটবর্তী দূরবর্তীর উপর প্রাধান্য পাবে। হাদীস শরীফে আছে :
عن ابن عباس رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : الحقوا الفرائض بأهلها، فما بقي فهو لأولى رجل ذكر.
‘‘যাবিল ফুরুযের (কুরআনে যাদের অংশ নির্ধারিত তাদের) অংশ তাদেরকে দিয়ে দাও। এরপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা সবচেয়ে নিকটবর্তী পুরুষ আত্মীয় পাবে।’’-সহীহ বুখারী ৬৭৩৫
বিস্তারিত জানুনঃ-