আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (11 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
আমি যখন জানতে পারলাম আমার উপর ৪ বছরের যাকাত ফরজ ছিল এবং ২ বছরের কুরবানি ওয়াজিব তখন হিসাব করে প্রায় ৪৮ হাজার টাকার মত একটা এমাউন্ট আমার বের হয় বর্তমান বাজারের।

আমি বিবাহিতা স্বর্ণ আমার নামে হলেও আমি নিজ থেকে সেটা বিক্রি করতে গেলে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে বলে আমি লুকিয়ে কিছু স্বর্ণ বিক্রি করি।

এবং যাকাতের টাকা ৩২ হাজার দিয়ে দিই আলহামদুলিল্লাহ।
বাকি থাকে কোরবানির বাবদের ১৬ হাজার টাকা।

এটা আমি আস্তে আস্তে দিচ্ছি।এটা অনেক টাকা আমার জন্যে।

এমন কাউকেই দিচ্ছি যে এগুলো পাওয়ার যোগ্য।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে।যখন জানতাম না আমার উপর যাকাত ও কোরবানি ওয়াজিব ছিল তখন আমি এক অসহায় কে ঘরের টিনের জন্যে ৪ হাজার টাকা সাদাকাহ করে ছিলাম।আমি কি সেটা এখন কাটাতে পারবো? অই ১৬ হাজার থেকে।

আমার কষ্ট হয়ে যাচ্ছে এগুলো দিতে আড়াই হাজার দিতে পেরেছি।

যাকাত কোরবানি আগের পোস্ট
https://ifatwa.info/79226/

জাযাকাল্লাহু খয়রণ ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরহ

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/48618/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

★কেহ সামর্থবান হওয়া সত্ত্বেও কুরবানী দিতে না পারলে বা না দিলে পরবর্তীতে সেটির কাজা আদায় করতে হবে। 
কুরবানির কাযা আদায়ের ক্ষেত্রে একটা নুন্যতম ১ বৎসর বয়সী বয়সের বকরির মূল্য গরীবদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে। 

সাধরণ সদকার খাতে কুরবানির পশুর মূল্য দিতে হবে। পশুর দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে এক বৎসর বয়সী একটা মধ্যম ধরণের একটা ছাগলের মূল্য ধর্তব্য হবে। 

একটা ছাগলের মূল্য কয়েকজনের মধ্যে বন্টন করা যাবে। আবার কোনো একজন গরীব মিসকিনকেও দেওয়া যাবে। 

حتى مضت أيام النحر تصدق بقيمة شاة تجوز فى الأضحية (بدائع الصنائع-4/203، هندية-5/296)
সারমর্মঃ
কুরবনী যদি না দেয়া হয়,আর এভাবেই কুরবানীর দিন গুলি যদি অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে একটি ছাগলের মূল্য সদকাহ করে দিবে। 

ولو تركت التضحية ومضت ايام النحر تصدق….. بقيمتها غنى شراها اولا لتعلقها بذمته بشرائها اولا، والمراد بالقيمة قيمة شاة تجزئ فيها وتحته فى الشامى قيمة شاة وسط (الدر المختار مع الشامى-9/463-465
সারমর্মঃ
কেহ যদি কুরবানী ছেড়ে দেয়,আর এভাবেই কুরবানীর দিন গুলি যদি অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে একটি মধ্যম মানের  ছাগলের মূল্য সদকাহ করে দিবে। 
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ- 

ولا تجزيه الصدقة الأولى عما يلزمه بعد لأنها قبل سبب الوجوب اهـ (قوله تصدق بها حية) لوقوع اليأس عن التقرب بالإراقة، وإن تصدق بقيمتها أجزأه أيضا لأن الواجب هنا التصدق بعينها وهذا مثله فيما هو المقصود اهـ ذخيرة".
(كتاب الأضحية، ج:6، ص: 320، ط: سعيد)
সারমর্মঃ-
কুরবানীর কাজার ক্ষেত্রে ১ম সদকাহ যথেষ্ট হবেনা,যেক্ষেত্রে কুরবানীর কাজা পরবর্তীতে আবশ্যক হয়েছে,কেননা তাহা আবশ্যক হওয়ার পূর্বেই আদায় করেছে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার পক্ষে যেহেতু এতো টাকা দেয়া অনেকটাই কষ্টকর, তাই এক্ষেত্রে আপনার জন্য মাসয়ালা হলো আপনি যে একজন অসহায়কে টিন ক্রয়ের জন্য চাত হাজার টাকা দিয়েছিলেন,এটি কি সেই কুরবানী আবশ্যক হওয়ার পর কুরবানীর দিন গুলি অতিবাহিত হওয়ার পর দিয়েছিলেন?  
যদি তাই হয়,সেক্ষেত্রে আপনি সেই চার হাজার টাকা ১৬ হাজার থেকে মাইনাস করতে পারবেন।
এবং এক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।

আর যদি কুরবানী আবশ্যক হওয়ার পর কুরবানীর দিন গুলি অতিবাহিত হওয়ার আগে এই সদকাহ করে থাকেন,সেক্ষেত্রে সেই চার হাজার টাকা ১৬ হাজার থেকে মাইনাস করতে পারবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 149 views
...