ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَكُلُوا
وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ
الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ [٢:١٨٧]
আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার
দেখা যায়। [সূরা বাকারা-১৮৭]
□ যেসব কারণে রোজা
ভেঙ্গে যায়
১. রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার
ভেতর পানি প্রবেশ করলে।
২. পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্যকিছু শরীরে প্রবেশ
করালে।
৩. রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে।
৪. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবেহ সাদেকের পর পানাহার করলে।
৫. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে।
৬. ইচ্ছাকৃত ভাবে মুখ ভরে বমি করলে।
৭. জোরপূর্বক সহবাস করলে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর শুধু কাজা করতে
হবে এবং স্বামীর কাজা-কাফফারা দু’টোই করতে হবে।
৮. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে
ইচ্ছা করে আরও কিছু খেলে।
৯. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে।
১০. নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে।
১১. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের
করে খেয়ে ফেললে।
১২. অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখানে একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, প্রচলিত সাহরী ও ইফতারের
সময়সূচির ক্যালেন্ডারে সতর্কতামূলক কয়েক মিনিট আগ পিছ করা থাকে।
উদাহরণসরূপ:
মনে করুন,
সুবহে সাদিক আরম্ভ হয় (ক্যালেন্ডার অনুযায়ী) ৪ টা বেজে ১৫ মিনিটে
(সতর্কতা মূলক ২/৩ মিনিট পর দেওয়া আছে। তাহলে বাস্তবে সুবহে সাদিক শুরু হতে পারে ৪
টা ১৩/১৪ মিনিটে)। তেমনী ভাবে ক্যালেন্ডারে সতর্কতামূলক সাহরী খাওয়ার শেষ সময় দেওয়া
আছে যে, ৪টা ১০ মিনিটে।
তাহলে বুঝা গেল, সাহরী খাওয়ার শেষ সময় মূলত ৪টা ১২/১৩ মিনিটে। তাই ক্যালেন্ডারে
৪ টা ১০ মিনিট লেখা থাকলেও আপনি ৪ টা ১২/১৩
মিনিটের আগ পর্যন্ত খেতে পারবেন (তবে সতর্কতা মূলক ৪ টা ১০ মিনিটের মধ্যেই
সীমাবদ্ধ থাকা উত্তম হবে)। কিন্তু এর পর খেলে আর রোযা হবে না। তাই আপনি নিজে নিজেই
চিন্তা করে দেখুন আপনি কখন খেয়েছেন।
বিঃদ্রঃ নামাজ-রোজার জন্য আপনার এলাকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের
ক্যালেন্ডার দেখতে পারেন।