ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَصُومُ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَّا أَن بِصَوْم قبله أَو بِصَوْم بعده»
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন জুমার দিন সওম না রাখে। হ্যাঁ, জুমার আগের অথবা পরের দিনসহ সওম রাখতে পারে। (সহীহ বুখারী ১৯৮৫, মুসলিম ১১৪৪, তিরমিযী ৭৪৩, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৯২৪০, সহীহ আত্ তারগীব ১০৪৬, আবূ দাঊদ ২০৯১, ইরওয়া ৯৫৯, সহীহ ইবনু হিববান ৩৬১৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৪৮৮,মিশকাত-২০৫১)
মুল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
نَفْيٌ مَعْنَاهُ نَهْيٌ وَهُوَ لِلتَّنْزِيهِ " إِلَّا أَنْ يَصُومَ قَبْلَهُ " يَوْمٌ أَوْ أَكْثَرُ " أَوْ يَصُومُ بَعْدَهُ " وَلَوْ يَوْمًا، قَالَ ابْنُ الْهُمَامِ: وَلَا بَأْسَ بِصَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ مُنْفَرِدًا عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ وَمُحَمَّدٍ - رَحِمَهُمَا اللَّهُ تَعَالَى -
শুধুমাত্র জুমুআর দিন রোযা রাখা মাকরুহে তানযিহি।এজন্য জুমুআর পূর্বে একদিন বা পরে একদিন রোযা রাখা উচিৎ। ইমাম আবু হানিফা এবং ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে শুধুমাত্র জুমুআর দিন রোযা রাখা যাবে।
মোটকথাঃ- সাপ্তাহের কোনো একদিনকে বিশেষভাবে সম্মান দিয়ে ঐ দিনে রোযা রাখা মাকরুহ।তবে সম্মান দিয়ে নির্দিষ্ট করার নিয়ত না থাকলে, সাপ্তাহের যে কোনো দিন রোযা রাখা যেতে পারে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) নফল রোজা ১ টা রাখা যাবে। যেমন আইয়্যাবে বীজ,সোমবার,বৃহস্পতিবারে রোযা রাখা যাবে।তবে বিশেষ কোনো দিনকে সম্মান দিয়ে রোযা রাখার কোনো নিয়ম নাই।
(২)ফরয কাজা রোজা আদায় করতে হলে সেক্ষেত্রেও ১ টা রাখা যাবে। ২ টা করে মিলিয়ে রাখা জরুরী নয়।
(৩)পূর্বে যেই সকল রোযা ১ টা করে রাখা হয়েছে,সেগুলো কবুল হবে ইনশা'আল্লাহ।
(৪)আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে। কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
102 এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
2187