আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমি এক দ্বীনিবোন একটি মাসয়ালা জানতে চায় তার লেখা কথাগুলা হুবহু তুলে ধরছি হুজুর," একটি বড় পাপের বিষয়ে বড় পেরেশানিতে আছি।আমি আলহামদুলিল্লাহ ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করি, পর্দা করি এবং ফরজে আইন জতটুকু জানা প্রয়োজন একজন মুসলিমাহএর জন্য তা জানি আলহামদুলিল্লাহ। তবুও নফসের খাহেশিয়াত আর শয়তানের ধোকায় পড়ে গোপনে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হই। পরবর্তীতে তওবা করি কিন্তু তাও খারাপ লাগা কাজ করে জীবনে কখনোই এরকম ফিতনায় পরিনি তাই আমি পরবর্তীতে তাকে বিয়ের কথা বলি কিন্তু সে পারিবারিক অসুবিধার কথা বলে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। আমি বুঝতে পারি সে আমার জন্য ভালো কিছু না কিন্তু এই পাপের কারণে আর তার সাথে যেহেতু শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে অন্য কাউকে বিয়ে করতেও অন্তরে খুব ছোট লাগছে নিজেকে মনেহচ্ছে সেই যেহেতু দেখেছে সেই স্বামী থাকুক অন্য কেউ না থাকুক। এখন আমি কি করবো? খালেস দিলে তওবা করছি কান্নাকাটি করে তবুও খচ খচ করছে মনে অন্য কাউকে বিয়েও করতে খারাপ লাগছে। এই অবস্থায় আমি কি করতে পারি,,,কি প্রক্রিয়ায় আমি পরিপূর্ণ ক্ষমা লাভ করে আল্লাহর অসন্তুুষ্টি থেকে বাচতে পারি? আমার জন্য কি সেই ছেলে বিয়ে করা উচিত হবে?"

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/47636/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

একটাই সমাধান,তাকে বিয়ে করে নিবেন। দ্বিতীয় কোনো অপশন আমাদের কাছে নাই। শারিরিক সম্পর্কে জড়ানোর পূর্বে তার চিন্তা করার দরকার ছিল, তিনি কি করছেন?

সুতরাং আল্লাহর কাছে তাওবাহ করতে হবে, পাশাপাশি হারাম সম্পর্ক ত্যাগ করে ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। অন্ততপক্ষে কোর্ট মেরেজ করে বিয়ে করে নিতে পারেন। তখন লোক সমাজে যিনা প্রকাশিত হবে না। বরং গোপন বিয়ে প্রকাশিত হবে। হ্যাঁ, গোপন বিয়েও নিন্দনীয়, তারপরও লোকসমাজে মুখ দেখানো সহজ হয়।

 

আল্লাহ ক্ষমাকারী। নিম্নের হাদীসের প্রতি খেয়াল করুন-

 হযরত আবু-সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,তিনি বলেন,

ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺨﺪﺭﻱ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - : " ﻛﺎﻥ ﻓﻲ ﺑﻨﻲ ﺇﺳﺮﺍﺋﻴﻞ ﺭﺟﻞ ﻗﺘﻞ ﺗﺴﻌﺔ ﻭﺗﺴﻌﻴﻦ ﺇﻧﺴﺎﻧﺎ ، ﺛﻢ ﺧﺮﺝ ﻳﺴﺄﻝ ، ﻓﺄﺗﻰ ﺭﺍﻫﺒﺎ ، ﻓﺴﺄﻟﻪ ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺃﻟﻪ ﺗﻮﺑﺔ ؟ ﻗﺎﻝ : ﻻ ; ﻓﻘﺘﻠﻪ ، ﻭﺟﻌﻞ ﻳﺴﺄﻝ ، ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﺭﺟﻞ : ﺍﺋﺖ ﻗﺮﻳﺔ ﻛﺬﺍ ﻭﻛﺬﺍ ، ﻓﺄﺩﺭﻛﻪ ﺍﻟﻤﻮﺕ ﻓﻨﺎﺀ ﺑﺼﺪﺭﻩ ﻧﺤﻮﻫﺎ ، ﻓﺎﺧﺘﺼﻤﺖ ﻓﻴﻪ ﻣﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ﻭﻣﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﻌﺬﺍﺏ ، ﻓﺄﻭﺣﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺇﻟﻰ ﻫﺬﻩ ﺃﻥ ﺗﻘﺮﺑﻲ ، ﻭﺇﻟﻰ ﻫﺬﻩ ﺃﻥ ﺗﺒﺎﻋﺪﻱ ، ﻓﻘﺎﻝ : ﻗﻴﺴﻮﺍ ﻣﺎ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ ﻓﻮﺟﺪ ﺇﻟﻰ ﻫﺬﻩ ﺃﻗﺮﺏ ﺑﺸﺒﺮ ﻓﻐﻔﺮ ﻟﻪ " ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, বনি ইসরাঈল গোত্রে একজন ব্যক্তি ছিল,যে নিরানব্বই জনকে হত্যা করেছিল।অতঃপর যখন হেদায়তের নিকটবর্তী হল,তখন সে একজন পাদ্রীর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল তার তাওবাহ কি কবুল হবে? ঐ পাদ্রী উত্তরে বলল,না, তোমার তাওবাহ কবুল হবে না। তখন সে ঐ পাদ্রীকেও হত্যা করে ফেলল।অতঃপর সে তার তাওবাহর কবুল হওয়া না হওয়া সম্পর্কে লোকদেরকে জিজ্ঞেস করতে লাগল। তখন এক ব্যক্তি তাকে বলল, তুমি অমুক গ্রামে যাও সেখানে হয়তো কোনো সমাধান পেতে পারেন। সে ঐ গ্রামের দিকেই যেতে লাগল,তার বুক সেই গ্রামের দিকে থাকাবস্থায় রাস্তায় মধ্যখানে সে মূত্যুমূখে পতিত হল।সে সময় জান কবজের ব্যাপারে রহমতের ফিরিস্তা এবং আযাবের ফিরিস্তিাদের মধ্য ঝগড়া বেধে গেলো। তখনই আল্লাহ তা'আলা তার উদ্দিষ্ট ঐ গ্রামকে নিকটবর্তী হওয়ার নির্দেশ প্রদাণ করলেন।এবং ছেড়ে আসা গ্রামকে দূরবর্তী হওয়ার নির্দেশ প্রদাণ করলেন। তারপর আল্লাহ তা'আলা ফিরিস্তাদেরকে জায়গা পরিমাপন করার নির্দেশ দিলেন।জায়গা পরিমাপণ করে দেখা গেল যে, উদ্দিষ্ট গ্রাম ছেড়ে আসা গ্রাম থেকে অর্ধহাত কম। অতঃপর সেই ব্যক্তিকে মাফ করে দেয়া হল। (এবং রহমতের ফিরিস্তা তার জান কবয করল) মিশকাত-২৩২৭

 

তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/5905/

গোনাহের শাস্তি তাওবা সম্পর্কে জানুন- https://www.ifatwa.info/906

যিনা করার পর তাওবা করা সংক্রান্ত- https://ifatwa.info/55741/

যিনা করার শাস্তি সম্পর্কে জানুন - https://ifatwa.info/56457/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
আসসালামু আলাইকুম, আমি তো আমার প্রশ্নের উত্তর পেলাম না

by
জাঝাকাল্লাহু খয়রন হুজুর,,,আমি তাকে আপনার ফতুয়াটি পৌঁছে দিব ইং শা আল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...