আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
813 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (6 points)
১.কাউকে বিদায় দেয়ার সময় ' আল্লাহ হাফেজ' বলা কি সুন্নাত?
তা না হলে সুন্নাত অনুযায়ী কি বলা উচিৎ বা উত্তম?

২. কোনো মহিলার কাপড়ে দুর্গন্ধ থাকলে তা নির্মূলের জন্য কি সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
জবাবঃ-
আমরা জানি, হ্যাপি নিউ ইয়ার, ক্রিসমাস, কিংবা অন্যান্য বিধর্মীয় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানানো হারাম।কিন্তু দেখা যায়, প্রোফেশনাল ক্ষেত্রে দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে, বোর্ড মিটিং এ, প্রেজেন্টেশনে এমনকি ইমেইল চালাচালিতেও আমরা গুড মর্নিং, গুড লাক, ও মাই গড, গুড নাইট প্রভৃতি এমন বিভিন্ন বৈদেশিক শব্দ বব্যবহার করে থাকি।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এসব সম্ভাষণ কি জায়েজ?

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইসলাম পূর্ব জাহিলিয়াতের যুগে সকালবেলা কারো সাথে সাক্ষাৎ হলে সাবাহ খায়র(গুডমর্নিং) এর  সমার্থবোধক শব্দ এবং বিকালে সাক্ষাৎ হলে মাসা খায়র(গুডইভেনিং) এর সমার্থবোধক শব্দ ব্যবহার করত।

কিন্তু ইসলাম মুসলমানদেরকে তৎকালিন উপরোক্ত প্রচলিত শব্দাবলী ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি।যদিও উপরোক্ত শব্দাবলীর নিসবত তারা আল্লাহর দিকেই করত।

ইসলাম মুসলমানদেরকে সর্বক্ষেত্রে সালামেরই শিক্ষা দিয়েছে।

সুতরাং গুডমর্নিং, গুডইভেনিং, গুডনাইট, গুডবাই, টাটা ইত্যাদি শব্দাবলী বিজাতীয় সংস্কৃতি, আজকালকার মুসলমান সমাজে যার অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
এগুলো ব্যবহার করা কখনো জায়েয হবে না।

হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাযি থেকে বর্ণিত, নবীজী সাঃ বলেনঃ-
ﻣﻦ ﺃﺣﺪﺙ ﻓﻲ ﺃﻣﺮﻧﺎ ﻫﺬﺍ ﻣﺎ ﻟﻴﺲ ﻣﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﺭﺩ

যদি কেউ আমাদের মধ্যে কোনো(ধর্মীয়) নতুন জিনিষ সৃষ্টি করে তাহলে সে আমাদের মধ্য থেকে নয়।
সহীহ বুখারী-২৬৯৭;সহীহ মুসলিম-১৭১৮

ইবনে রজব হাম্বলী রহ উক্ত হাদিসের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেন
ﻓﻜﺬﻟﻚ ﻛﻞ ﻋﻤﻞ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻋﻠﻴﻪ ﺃﻣﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ ، ﻓﻬﻮ ﻣﺮﺩﻭﺩ ﻋﻠﻰ ﻋﺎﻣﻠﻪ ، 
প্রত্যেক ঐ আমল যা আল্লাহএবং রাসুলুল্লাহ সাঃএর পদ্ধতির সমর্থিত নয়, তা বর্জিত ও পরিত্যাজ্য।
(জামেউল উলূম ওয়াল হিকাম-১৭৬)

ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( ﺍﻟﻠﺒﺎﺱ / 3512 ) ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﺑﺮﻗﻢ ( 3401
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।
(আবু-দাউদ-৩৫১২)

মুসলমানদের উচিৎ সাক্ষাতের প্রথমে সালাম।
এবং সাক্ষাতের শেষে নিম্নোক্ত দু'আ পড়া।
أستودع اللّٰه دينك و أمانتك و خواتم عملك 
(আসতাওদিউল্লাহা দ্বীনাকা ও আমানাতকা ও খাওয়াতিমা আমলিকা) 
বা উক্ত দু'আর সমার্থবোধক আল্লাহ হাফেয বলা।
এমনকি সালাম ও বলা যাবে।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

ফতোয়ায়ে জামেয়া ৫/৩৫০পৃষ্ঠা৷
ফতোয়ায়ে রহিমিয়া ৬/২৫৬পৃষ্ঠা৷
জামেউল ফতোয়া ৯/২৩৭পৃষ্ঠা৷
কিতাবুল ফতোয়া ৬/১২৫পৃষ্ঠা৷

(২)
জ্বী পারবে, তবে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে যেতে পারবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...