ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-
تجب السكني لها عليه في بيت خال
মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াত, ১/৬০৪)
قَوْلُهُ خَالٍ عَنْ أَهْلِهِ إلَخْ) ؛ لِأَنَّهَا تَتَضَرَّرُ بِمُشَارَكَةِ غَيْرِهَا فِيهِ؛؛ لِأَنَّهَا لَا تَأْمَنُ عَلَى مَتَاعِهَا وَيَمْنَعُهَاذَلِكَ مِنْ الْمُعَاشَرَةِ مَعَ زَوْجِهَا وَمِنْ الِاسْتِمْتَاعِ إلَّا أَنْ تَخْتَارَ ذَلِكَ؛ لِأَنَّهَا رَضِيَتْ بِانْتِقَاصِ حَقِّهَا هِدَايَةٌ )
স্ত্রীকে এমন একটি বাসস্থান দান করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব,যা স্বামীর পরিবার থেকে খালি থাকবে,কেননা সে অন্যর উপস্থিতির ধরুণ কষ্ট উপভোগ করবে,এবং তার মাল সামানা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে না।তৃতীয় কারো উপস্থিতি স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক জীবন ও একান্ত সময় অতিবাহিত করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। এ জন্য একটি পৃথক বাসস্থান স্ত্রীর মৌলিক অধিকার।তবে যদি সে তার নিজ অধিকার বিসর্জন দিতে রাজি হয় যায় তাহলে তার জন্য অনুমিত রয়েছে (যদি এক্ষেত্রে গোনাহের কোনো সম্ভাবনা না থাকে)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বউমার উচিৎ সুযোগের সৎ ব্যবহার না করে বরং শশুড় শাশুড়ীকে সাথে নিয়ে শশুড় শাশুড়ী ও স্বামীর পরিবারের লোকজনকে আপন মনে করে তাদের সাথে একত্রে বসবাস করা। যদি পর্দা পুশিদার সমস্যা হয়, তাহলে পৃথক বাসায় থাকতে পারবে। এক্ষেত্রে সম্পর্ক ছিহ্ন হলে এর গোনাহ স্বামীর বা বউমার হবে না। পৃথক বাসায় থাকলেও শশুড় শাশুড়ীর জন্য সর্বদা অন্তরে দরদ রাখতে হবে। এবং মনে রাখতে হবে, আপনার স্বামীর জান্নাত তার মায়ের পায়ের নীচে। এ হিসেবে আপনি স্বামীর হয়ে শশুড় শাশুড়ির খেদমতকে আঞ্জাম দিবেন। এবং স্বামীকে তার মাতাপিতার সাথে উত্তম ব্যবহারের পরামর্শ দিবেন।