আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)
https://ifatwa.info/83201?state=comment-83210&show=83210#c83210

আমার গত প্রশ্নটি ছিল আমার বান্ধবীর পক্ষ থেকে, সে আবার জানতে চেয়েছে স্বামী সন্তান নিয়ে আলাদা বাসা নিয়ে থাকলে শশুর শাশুড়ী একবারে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলবে । এদিকে ওদের আলাদা বাসায় থাকাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তার হাজবেন্ডের সামর্থ্য আছে আলাদা বাসা নেওয়ার, ওর হাজবেন্ডও আলাদা থাকতে চায়, কিন্তু বাবা মা বলেছে একবারে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলবে ছেলের সাথে, এক্ষেত্রে ওদের কি করণীয়?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-
تجب السكني لها عليه في بيت خال
মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াত, ১/৬০৪)
قَوْلُهُ خَالٍ عَنْ أَهْلِهِ إلَخْ) ؛ لِأَنَّهَا تَتَضَرَّرُ بِمُشَارَكَةِ غَيْرِهَا فِيهِ؛؛ لِأَنَّهَا لَا تَأْمَنُ عَلَى مَتَاعِهَا وَيَمْنَعُهَاذَلِكَ مِنْ الْمُعَاشَرَةِ مَعَ زَوْجِهَا وَمِنْ الِاسْتِمْتَاعِ إلَّا أَنْ تَخْتَارَ ذَلِكَ؛ لِأَنَّهَا رَضِيَتْ بِانْتِقَاصِ حَقِّهَا هِدَايَةٌ )
স্ত্রীকে এমন একটি বাসস্থান দান করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব,যা স্বামীর পরিবার থেকে খালি থাকবে,কেননা সে অন্যর উপস্থিতির ধরুণ কষ্ট উপভোগ করবে,এবং তার মাল সামানা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে না।তৃতীয় কারো উপস্থিতি স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক জীবন ও একান্ত সময় অতিবাহিত করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। এ জন্য একটি পৃথক বাসস্থান স্ত্রীর মৌলিক অধিকার।তবে যদি সে তার নিজ অধিকার বিসর্জন দিতে রাজি হয় যায় তাহলে তার জন্য অনুমিত রয়েছে (যদি এক্ষেত্রে গোনাহের কোনো সম্ভাবনা না থাকে)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বউমার উচিৎ সুযোগের সৎ ব্যবহার না করে বরং শশুড় শাশুড়ীকে সাথে নিয়ে শশুড় শাশুড়ী ও স্বামীর পরিবারের লোকজনকে আপন মনে করে তাদের সাথে একত্রে বসবাস করা। যদি পর্দা পুশিদার সমস্যা হয়, তাহলে পৃথক বাসায় থাকতে পারবে। এক্ষেত্রে সম্পর্ক ছিহ্ন হলে এর গোনাহ স্বামীর বা বউমার হবে না। পৃথক বাসায় থাকলেও শশুড় শাশুড়ীর জন্য সর্বদা অন্তরে দরদ রাখতে হবে। এবং মনে রাখতে হবে, আপনার স্বামীর জান্নাত তার মায়ের পায়ের নীচে। এ হিসেবে আপনি স্বামীর হয়ে শশুড় শাশুড়ির খেদমতকে আঞ্জাম দিবেন। এবং স্বামীকে তার মাতাপিতার সাথে উত্তম ব্যবহারের পরামর্শ দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...