ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরআনে কারীমে নির্দেশ এসেছে-
ﻭَﻗُﻞْ ﻟِﻠْﻤُﺆْﻣِﻨَﺎﺕِ ﻳَﻐْﻀُﻀْﻦَ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻦَّ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈْﻦَ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺒْﺪِﻳﻦَ ﺯِﻳﻨَﺘَﻬُﻦَّ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﺎ ﻇَﻬَﺮَ ﻣِﻨْﻬَﺎۖ ﻭَﻟْﻴَﻀْﺮِﺑْﻦَ ﺑِﺨُﻤُﺮِﻫِﻦَّ ﻋَﻠَﻰٰ ﺟُﻴُﻮﺑِﻬِﻦَّۖ [ ٢٤ :٣١
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে {সূরা নূর-৩১}
এ আয়াতে স্পষ্টভাষায় সৌন্দর্যকে লুকাতে আদেশ দেয়া হয়েছে। যেটা হল পর্দা করার মূল হাকীকত।
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ :
ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻋَﻮْﺭَﺓ،ٌ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺧَﺮَﺟَﺖْ ﺍﺳْﺘَﺸْﺮَﻓَﻬَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ .
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, নারী জাতি হল আপাদমস্তক সতর। যখনি সে বের হয়, তখনি শয়তান তাকে চমৎকৃত করে তোলে। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১৭৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২০৬৫, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৬৮৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৫৯৮}
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
পরপুরুষের সাথে কথা না হলেও নারীরের জন্য অযথা ঘরের বাহিরে যেতে কুরআন নিষেধ করেছে।বিশেষ করে নারী পুরুষের অবাধ বিচরণক্ষেত্রে নারীরা কখনো যেতে পারবে না। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে উক্ত আকিকা অনুষ্টানে যাওয়া কখনো বৈধ হবে না।
(২)
জন্মদিনের উপলক্ষ্যে আয়োজিত খাবার, কেক কেউ যদি আপনার নিকট পাঠিয়ে দেয়, তাহলে খেতে পারবেন।তবে কারো জন্মদিনের অনুষ্টানে শরীক হওয়া আপনার জন্য জায়েয হবে না।
(৩)
যথাসম্ভব খাবার নষ্ট না করার চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত খাবার পাকানো থেকে বিরত থাকবের।যদি অবশিষ্ট খাবার কাউকে দেয়া সম্ভব না হয়, অন্যদিকে ফ্রিজে রাখলেও নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে, তাহলে উক্ত খাবারকে ফেলে দিতে পারবেন।হ্যা, ফেলে দেওয়ার পূর্বে কোনো প্রাণীকে দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন।