আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (35 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমার অনেকগুলো দাঁতে সমস্যা আছে।সমস্যা ছোটখাটোও না,বড় সমস্যা।দাঁতের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল হওয়ার কারনে আমি সরকারি মেডিকেলে গিয়ে ট্রিটমেন্ট নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানকার অভিজ্ঞ ডাক্তার হচ্ছেন পুরুষ,করলে উনার কাছেই করতে হবে,খরচ কম যা আমার সাধ্যের মধ্যে। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনেক নারী ডাক্তার থাকলেও তাদের কাছে প্রাইভেটলি করাতে হবে এবং সেই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা আমার জন্যে অসম্ভব।আমি অবিবাহিত, কোনো ধরনের জব করিনা, পর্দা মেইনটেইন করে চলি আলহামদুলিল্লাহ। আমার বাসার থেকে থাকা খাওয়া ছাড়া তেমন কোনো সাপোর্ট পাইনা।আমার আব্বুর জন্য এত টাকা দেওয়া কষ্টকর বা কষ্ট করে পারলেও সাপোর্ট পাব না।

আমার দাঁতের ব্যাথা,যন্ত্রণা  বর্তমানে সহ্যের বাইরে,স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে।খাওয়া দাওয়া ঠিকমত করতে পারছি না,এমনকি ঔষধ এ কাজ হবেনা,দ্রুত ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।তা না হলে অসুখ বেড়ে আরও ভয়াবহ হবে,জটিল আকার ধারন করবে,দাঁত অনেকগুলো ফেলেও দিতে হবে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না নিলে।

আমি পুরুষ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে কোনোভাবেই চাইনা,কিন্তু আমি খুবই নিরুপায়, খুবই।আদৌ আমার সামর্থ্য হবে কিনা,বা হলেও ততদিনে আর চিকিৎসার উপযোগী থাকবে কিনা কিছুই জানিনা।

এ অবস্থায় আমি পুরুষ ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে পারব?সরকারি হসপিটাল, খুবই খোলামেলা পরিবেশে চিকিৎসা নিতে হবে।

1 Answer

0 votes
by (681,920 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/7711/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছেঃ  
শরীয়তের মূলনীতি হল, পুরুষ যাবে পুরুষ ডাক্তারের কাছে, মহিলা যাবে মহিলা ডাক্তারের কাছে। যদি পুরুষ ডাক্তার পাওয়া না যায়, তাহলে মহিলা ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারবে। অনুরূপভাবে মহিলার জন্যও যদি মহিলা ডাক্তার না পাওয়া না যায়, তাহলে পুরুষ ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারবে। (সারাখসী, আল-মাবসূত ১০/১৫৬ ; কাসানী,বাদাই ৫/১২২)

হযরত আনাস ইবনু মালিক রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

كان رسول الله ﷺ يغزو بأم سليم ونسوة من الأنصار معه إذا غزا فيسقين الماء ويداوين الجرحى

রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন অভিযানে বের হতেন তখন তিনি উম্মু সুলাইম রাযি. ও কিছু আনসারী মহিলাকে সাথে নিয়ে যেতেন। তাঁরা পানি পরিবেশন করতেন এবং আহতদের চিকিৎসা করতেন। (মুসলিম ১৮১০)

এ হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী রহ. বলেন,

وهذه المداواة لمحارمهن وأزواجهن ، وما كان منها لغيرهم لا يكون فيه مس بشرة إلا في موضع الحاجة

এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, যুদ্ধক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে মেয়েদের বের হওয়া এবং পানি পরিবেশন ও চিকিৎসা প্রভৃতি কাজে তাদেরকে খাটানো জায়িয। তারা মাহরাম ও স্বামীদের চিকিৎসা ও সেবা করবে। অন্যদেরও সাধারণভাবে স্পর্শ করা ছাড়া চিকিৎসা করতে পারবে; তদুপরি জরুরতের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় স্থান স্পর্শ করতেও কোন অসুবিধা নেই। (নববী, শরহু মুসলিম, পৃ ৫১১)

ইবনু হাজার আসকালানী রহ. বলেন,

فيه جواز معالجة المرأة الأجنبية الرجل الأجنبي للضرورة

এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে মহিলার জন্য বেগানা পুরুষের চিকিৎসা করা জায়িয হবে।  (ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী ৬/৮০)

আরো জানুনঃ 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার জন্য সরকারি মেডিকেলে গিয়ে পুরুষ ডাক্তার হতে ট্রিটমেন্ট নিতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজন অতিরিক্ত শরীর অনাবৃত রাখা যাবেনা। 
আর ইস্তেগফার চালিয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...