অলংকার ব্যবহারের উদ্দেশ্যে মহিলাদের নাক-কান ফোঁড়ানো জায়েয। কিন্তু এটি শরীয়তের কোনো জরুরি হুকুম নয়।
কোনো নারী নাক-কান না ফোঁড়ালে তার কোনো গোনাহ হবে না এবং এ কারণে আখেরাতে তাকে শাস্তিও পেতে হবে না।
উলামায়ে কেরামগন এটাকে জায়েজ বলেছেন।
রাসূল সাঃ এর যুগেই নারীরা কানে নাকে অলংকার পরিধান করতো। আর কানে নাকে অলংকার পরিধান করতে হলে কান নাক ছিদ্র করা জরুরী। যার কোন নিষেধাজ্ঞা রাসূল সাঃ থেকে বর্ণিত হয়নি।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى يَوْمَ الفِطْرِ رَكْعَتَيْنِ لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا، ثُمَّ أَتَى النِّسَاءَ وَمَعَهُ بِلاَلٌ، فَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ، فَجَعَلْنَ يُلْقِينَ تُلْقِي المَرْأَةُ خُرْصَهَا وَسِخَابَهَا
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ঈদুল ফিতরে দুই রাকাত নামায আদাল করেন। এর পূর্বে ও পরে কোন নামায আদায় করেননি। তারপর তিনি মহিলাদের কাছে আসলেন। সাথে ছিল বেলাল রাঃ। তারপর তিনি মহিলাদের দান করতে আদেশ দিলেন। তখন মহিলারা তাদের কানের দুল ও গলার হার দান করতে লাগল। {বুখারী, হাদীস নং-৯৬৪, ৯২১}
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَابِسٍ، سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، سَأَلَهُ رَجُلٌ: شَهِدْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ العِيدَ، أَضْحًى أَوْ فِطْرًا؟ قَالَ: نَعَمْ، وَلَوْلاَ مَكَانِي مِنْهُ مَا شَهِدْتُهُ – يَعْنِي مِنْ صِغَرِهِ – قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى ثُمَّ خَطَبَ، وَلَمْ يَذْكُرْ أَذَانًا وَلاَ إِقَامَةً، ثُمَّ أَتَى النِّسَاءَ فَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ وَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ، فَرَأَيْتُهُنَّ يَهْوِينَ إِلَى آذَانِهِنَّ وَحُلُوقِهِنَّ، يَدْفَعْنَ إِلَى بِلاَلٍ، ثُمَّ ارْتَفَعَ هُوَ وَبِلاَلٌ إِلَى بَيْتِهِ
হযরত আব্দুর রহমান বিন ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। আমি এক ব্যক্তিকে ইবনে আব্বাস রাঃ এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছি যে, আপনি আযহা বা ফিতরের কোন ঈদে রাসূল সাঃ সাথে উপস্থিত ছিলেন? তিনি উত্তরে বললেন, “হ্যাঁ”। অবশ্য তাঁর সাথে আমার এত ঘনিষ্ঠতা না থাকলে স্বল্প বয়সের কারণে আমি তার সাথে উপস্থিত হতে পারতাম না। তিনি আরো বলেন, রাসূল সাঃ বের হলেন। তারপর নামায আদায় করলেন, এরপর খুতবা দিলেন। ইবনে আব্বাস রাঃ আজান ও ইকামতের কথা উল্লেখ করেননি। এরপর তিনি মহিলাদের কাছে এলেন এবং তাদেরকে ওয়াজ ও নসীহত করলেন। তাদেরকে দান সদকাহ করার আদেশ দিলেন। আমি দেখলাম, তারা তাদের কর্ণ ও কণ্ঠের দিকে হাত প্রসারিত করে [কান ও গলায় পরিহিত গয়নাগুলো] বিলাল রাঃ এর অর্পন করছে। এরপর রাসূল সাঃ বিলাল রাঃ এর গৃহে গমণ করলেন। {বুখারী, হাদীস নং-৫২৪৯, ৪৯৫১, ইফাবা-৪৮৬৯}
আরেকটি দীর্ঘ হাদীসের একাংশে এসেছে-
قَالَتِ الحَادِيَةَ عَشْرَةَ: زَوْجِي أَبُو زَرْعٍ، وَمَا أَبُو زَرْعٍ، أَنَاسَ مِنْ حُلِيٍّ أُذُنَيَّ،…… قَالَتْ عَائِشَةُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُنْتُ لَكِ كَأَبِي زَرْعٍ لِأُمِّ زَرْعٍ»
একাদশতম মহিলা বলল, আমার স্বামী আবু যারআ’। তার কথা আমি কী বলবো? সে আমাকে এত অধিক গহনা দিয়েছে যে, আমার কান ভারী হয়ে গেছে। ……….আয়শা রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ আমাকে বললেন, “আবু যারআ’ তার স্ত্রী উম্মে যারআর জন্য যেমন আমিও তোমার প্রতি তেমন। {বুখারী, হাদীস নং-৫১৮৯, ৪৮৯৩}
فى الدر المختار– ولا بأس بثقب أذن البنت والطفل استحسانا ملتقط قلت وهل يجوز الخزام في الأنف لم أره ويكره للذكر والأنثى الكتابة بالقلم المتخذ من الذهب أو الفضة أو من دواة كذلك سراجية
وفى رد المحتار– ( قوله لم أره ) قلت : إن كان مما يتزين النساء به كما هو في بعض البلاد فهو فيها كثقب القرط ا هـ ط وقد نص الشافعية على جوازه (الفتاوى الشامية-9/602
সারমর্মঃ