بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
ইবাদত, নেক কাজ এবং যেকোনো দ্বিনি কাজ করতে গেলে পরখ করতে হবে। দেখতে
হবে যে, নবী
(সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের এ ব্যাপারে কী আমল ছিল? যদি আমলটির প্রমাণ তাদের থেকে পাওয়া
যায় তাহলে তা সুন্নত। এতে সওয়াব হবে এবং কাজটি দ্বিনি কাজ বলে গণ্য হবে। আল্লাহ ও নবীজি
(সা.)-এর সন্তুষ্টির কারণ হবে।
কিন্তু যদি এ কাজের কোনো প্রমাণ নবীজি (সা.)-এর সিরাত-সুন্নতে
না থাকে, সাহাবায়ে
কেরামের আমলেও না থাকে,
তাহলে কাজটি বাহ্যিকভাবে যতই সুন্দর ও চমৎকার হোক, নেক কাজ বলে
মনে হোক, তা
কখনই সুন্নত হবে না,
দ্বিন হবে না; বরং
তা বিদআত ও পথভ্রষ্টতা বলে গণ্য হবে। আল্লাহর রোষানলের কারণ হবে। রাসুলের অসন্তুষ্টির
কারণ হবে।
যেমন ধরুন কেউ মুরগি জবাই করতে চায়। এখন সে যদি ‘বিসমিল্লাহি
আল্লাহু আকবার’ এর পরিবর্তে দরুদ শরিফ পড়ে ছুরি চালায় তাহলে সে মুরগি খাওয়া হালাল হবে
না হারাম হবে? উত্তরে
অবশ্যই বলতে হবে যে,
তা হারাম হবে।
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেই সব দু'আ আপনি ফেইসবুক গ্রপে ইত্যাদিতে দেখেছেন, সেগুলোতে যদি
রেফারেন্স দেয়া থাকে এবং গ্রহণযোগ্য কোন কিতাবের রেফারেন্স দেয়া থাকে, তাহলে তো আ'মল করা যাবে, নতুবা আ'মল করার কোনো
সুযোগ নাই। কুবরা হা/৬৯০৭))