ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
(ক)সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।
(খ)যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা ৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/50
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এখন আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী সাদাস্রাবের বিষয়ের উপর আ'মল করবেন।
(২) প্রথমে লজ্জাস্থানকে কাপড় ইত্যাদি দ্বারা মুছে তারপর পানি ঢেলে ধৌত করে নিলেই হবে।ঢলে ঢলে ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
(৩) পানি ঢালার সাথে সাথে ঢলে ঢলে ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
(৪)সাদাস্রাবের গন্ধ পুরোপুরি না যাওয়া পর্যন্ত পানি ঢালতে হবে এমন হয, বরং প্রথমে কিছু দ্বারা মুছে তারপর তিনবার ধৌত করে নিলেই হবে।
(৫) আপনি যদি কুরআনের কোনো আয়াতের বা আয়াতের অর্ধেক বা এক তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করেন, তাহলে এতেকরে গোনাহ হবে।
(৬)সাদাস্রাবের ছিদ্রপথে টিস্যু বা তুলা দিয়ে রেখে সালাত আদায় করা যাবে যদি সালাতে সাদাস্রাব বের হয় কিন্তু বাইরে না আসে টিস্যুর জন্য,তাহলে এতেকরে অজু বা নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৭)টিস্যুর বাইরের অংশ যদি ভিজে তাহলে, তাহলে অজু চলে যাবে।নামাযে আসলে, নামাযও ফাসিদ হবে।
(৮)পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারলে সেই ক্ষেত্রে রুখসাত থাকবে। তথা নকল সার্টিফিকেটের জন্য ঐব্যক্তির গোনাহ হবে।