আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এতোগুলা প্রশ্ন করার জন্য।কিন্তু, প্রশ্নগুলো করা জরুরি আমার জন্য। মানসিক শান্তি,ইবাদাতে বিঘ্নতা ঘটাচ্ছে এই বিষয়গুলো।
১.আমার সাদাস্রাবের সমস্যা রয়েছে,তবে আমি মাজুর নই।আমি এতোদিন ভাবতাম যে লজ্জাস্থান ধোয়ার পর প্রায় এক ঘন্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় আমি সাদাস্রাব না বের হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারবো।কিন্তু, আমি একজন ছাড়া আর কাউকেই এমনট বলতে শুনি নি যে,স্রাব পরিষ্কার নিলে অনেকটা সময় নিশ্চিত থাকা যায়।সাদাস্রাব তো একটা কমন বিষয় তাই কম বেশি সবার ই এই বিষয়টা জানা থাকা উচিত।আমার প্রশ্ন হলো,আমি কি আমার এতোদিনের লালন করা ধারণার উপর আমল করা ছেড়ে দিবো?

২.প্রস্রাব শেষে পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করার সময় আমার পেরেশানিতে পড়তে হয় যেহেতু লজ্জাস্থানে সাদাস্রাব থাকে।আমি মনে করি যে,স্রাব হাত দিয়ে না ডলে শুধু পানি ঢেলে দিলে স্রাব পানির সাথে মিশে অনেকটা জায়গায় নাপাকি ছড়িয়ে যাবে।আমার এই ধারণা কি সঠিক?(সাদাস্রাবের ধরন কখনো পিচ্ছিল পানির মত,কখনো সাদা টাইপ,কখনো ঘন।)
৩.পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করার সময় আমি আগে লজ্জাস্থান ডলে নিই তারপর হাত ধুয়ে নি এবং তারপর আবার লজ্জাস্থানে পানি ঢালি।ইদানীং আমার মনে হচ্ছে,ডলার পর যেহেতু পানি ঢালতে লেইট হয় তাই ওই স্থান একটু শুকিয়ে যায় যার জন্য আবার পুনরায় ডলে তারপর পানি ঢালা উচিত।আনুমানিক কতক্ষণ সময় পানি ঢালতে লেইট হলে ওই স্থান আবার ডলে নেওয়ার জরুরত পড়বে?(পানি ঢালার সাথে সাথে ডলা-র বিষয়টা সামধান বা পরামর্শ হিসেবে দিবেন না,শাইখ।)

৪.সাদাস্রাবের গন্ধ পুরোপুরি না যাওয়া পর্যন্ত পানি ঢালতে হবে?যদি ৫-৬ লিটারের মত পানি খরচ করতে হয় এর জন্য তাহলেও?

৫..ধরুন,আমি তিলওয়াত করলাম,আলহাম দুলিল্লাহ হি রব্বিল আলামিল কিংবা অনুরূপ এমন শব্দ যা কোনো শব্দ বলেই বিবেচিত হয় না আরবীতে।যেহেতু শব্দ না তাই কোনো অর্থই দাঁড়ায় না।এমন তিলওয়াত করলে কি নামায বাতিল হবে?

৬.সাদাস্রাবের ছিদ্রপথে টিস্যু বা তুলা দিয়ে রেখে সালাত আদায় করা যাবে যদি সালাতে সাদাস্রাব বের হয় কিন্তু বাইরে না আসে টিস্যুর জন্য? (টিস্যুর বাইরের অংশ ভিজে না যায়)

৭.টিস্যুর বাইরের অংশ যদি ভিজে তাহলে কি হুকুম?

৮.নকল করে পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে তা দিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এইখান থেকে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারলে সেই ক্ষেত্রে রুখসাত থাকবে।পড়াশোনা চালিহে যাওয়া বলতে কি ডিগ্রি /অমার্স/মাস্টার্স বোঝানো হয়েছে? নাকি ১/২ বছর?(ওই কলেজে মাস্টার্স করা অনার্স/ডিগ্রি করা যায়)

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
(ক)সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।

(খ)যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা ৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/50

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এখন আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী সাদাস্রাবের বিষয়ের উপর আ'মল করবেন।

(২) প্রথমে লজ্জাস্থানকে কাপড় ইত্যাদি দ্বারা মুছে তারপর পানি ঢেলে ধৌত করে নিলেই হবে।ঢলে ঢলে ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(৩) পানি ঢালার সাথে সাথে ঢলে ঢলে ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(৪)সাদাস্রাবের গন্ধ পুরোপুরি না যাওয়া পর্যন্ত পানি ঢালতে হবে এমন হয, বরং প্রথমে কিছু দ্বারা মুছে তারপর তিনবার ধৌত করে নিলেই হবে।

(৫) আপনি যদি কুরআনের কোনো আয়াতের বা আয়াতের অর্ধেক বা এক তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করেন, তাহলে এতেকরে গোনাহ হবে।

(৬)সাদাস্রাবের ছিদ্রপথে টিস্যু বা তুলা দিয়ে রেখে সালাত আদায় করা যাবে যদি সালাতে সাদাস্রাব বের হয় কিন্তু বাইরে না আসে টিস্যুর জন্য,তাহলে এতেকরে অজু বা নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।

(৭)টিস্যুর বাইরের অংশ যদি ভিজে তাহলে, তাহলে অজু চলে যাবে।নামাযে আসলে, নামাযও ফাসিদ হবে।

(৮)পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারলে সেই ক্ষেত্রে রুখসাত থাকবে। তথা নকল সার্টিফিকেটের জন্য ঐব্যক্তির গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 159 views
0 votes
1 answer 251 views
...