ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
ifatwa.info/4094 নং ফাতওয়তে উল্লেখ রয়েছে-
অন্তরের নারীর কামনা বাসনাকে লালন করা নিকৃষ্টতম গোনাহ। ইসলামি
শরিয়তে এ ধরনের গুনাহগুলোকেও ব্যভিচার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যদিও এ গোনাহের উপর
যিনার শাস্তি আপতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
قَالَ
أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ
اللَّهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَا، أَدْرَكَ ذَلِكَ لاَ
مَحَالَةَ، فَزِنَا العَيْنِ النَّظَرُ، وَزِنَا اللِّسَانِ المَنْطِقُ،
وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِي، وَالفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ كُلَّهُ
وَيُكَذِّبُهُ»
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ
বনি আদমের উপর যতটুকু যিনা লিখে রেখেছেন সে তা করবেই; এর থেকে কোন
নিস্তার নেই। চোখের যিনা হচ্ছে- দেখা; জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, অন্তর কামনা করে ও উত্তেজিত
হয় এবং যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা বাস্তবায়ন করে না। (সহীহ বুখারী-৬২৪৩)
সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে,হযরত আবু হুরায়রা রাযি
বলেন,
قَالَ
أَبُو هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
«إِنَّ اللهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَا، أَدْرَكَ ذَلِكَ
لَا مَحَالَةَ، فَزِنَا الْعَيْنَيْنِ النَّظَرُ، وَزِنَا اللِّسَانِ النُّطْقُ،
وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِي، وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলিয়াছেন, “দুই চক্ষুর যিনা হচ্ছে-
দেখা, দুই কানের যিনা হচ্ছে- শুনা, জিহ্বার যিনা হচ্ছে-
কথা, হাতের যিনা হচ্ছে- ধরা, পায়ের যিনা হচ্ছে- হাঁটা, অন্তর কামনা-বাসনা করে; আর যৌনাঙ্গ সেটাকে
বাস্তবায়ন করে অথবা করে না।” (সহীহ মুসলিম-২৬৫৭)
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই!
১. না, প্রশ্নোক্ত আপনার ঈমান চলে যাবে না বা ঈমানের কোনো
সমস্যা হবে না। তবে যেভাবে কোনো মহিলার দিকে
কামভাব নিয়ে দৃষ্টি দেয়া হারাম ঠিক সেভাবে অন্তরে কামভাবকে লালন করাও হারাম। সুতরাং
তা পরিহার করা চায়।
আপনার প্রতি আমাদের পরামর্শ থাকবেঃ
আপনি দ্রুত বিবাহের চেষ্টা করুন, বিবাহের আগে
এই মারাত্মক গুনাহ থেকে বাঁচতে রোযা রাখবেন এবং বিবাহের আগ পর্যন্ত রোযা চালিয়ে যাবেন। দ্রুত বিবাহের আমল জানুনঃ- https://ifatwa.info/5258/
আপনি আল্লাহর কাছে দোয়ার পাশাপাশি নিজ অভিভাবকদের মাধ্যমে দ্রুত
বিবাহের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
২. উক্ত কথা যদি নামাজকে অবজ্ঞা বা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মনে করে
বলে থাকেন তাহলে ঈমান চলে যাবে। আর যদি শারিরিক অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে বলে থাকেন
তাহলে ঈমান চলে যাবে না ইনশাআল্লাহ।