আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ,
আমি কোনো মেয়ে দেখলে খারাপ নজর হয়ে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ এর পর থেকে নিজেকে সামলে চলবো।

1.বিষয় হলো, কোনো বোরখা আছে এমন কোনো মহিলা কে দেখলেও শরীর এর খারাপ জায়গাতে নজর চলে যাচ্ছে, এবং উত্তেজিত বোধ হচ্ছে, বোরখা পরা মহিলা কে দেখলে তার শরীর এর কিছু গঠন বোঝা গেলে উত্তেজিত বোধ হচ্ছে, আর মনে হচ্ছে বোরখা পরা মহিলা কে বেশি সুন্দর লাগছে।
এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে??

শায়েখ আমি আল্লাহর বিধান কে কখনো অসম্মান করিনা। আমি বোরখা কে নিয়ে কোনো খারাপ কিছু ভাবিনি, বা খারাপ কিছু মন্তব্য করিনি।

2.  কিছুই করতে ভালো লাগছে না , নামাজ পড়তে ভালো লাগছে না । বললে কি ঈমান চলে যাবে?? কথা না এমনি বলেছে।

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

ifatwa.info/4094 নং ফাতওয়তে উল্লেখ রয়েছে-

অন্তরের নারীর কামনা বাসনাকে লালন করা নিকৃষ্টতম গোনাহ। ইসলামি শরিয়তে এ ধরনের গুনাহগুলোকেও ব্যভিচার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যদিও এ গোনাহের উপর যিনার শাস্তি আপতিত হবে না।

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত

قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَا، أَدْرَكَ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ، فَزِنَا العَيْنِ النَّظَرُ، وَزِنَا اللِّسَانِ المَنْطِقُ، وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِي، وَالفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ كُلَّهُ وَيُكَذِّبُهُ»

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ বনি আদমের উপর যতটুকু যিনা লিখে রেখেছেন সে তা করবেই; এর থেকে কোন নিস্তার নেই। চোখের যিনা হচ্ছে- দেখা; জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, অন্তর কামনা করে ও উত্তেজিত হয় এবং যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা বাস্তবায়ন করে না। (সহীহ বুখারী-৬২৪৩)

 

সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে,হযরত আবু হুরায়রা রাযি বলেন,

قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَا، أَدْرَكَ ذَلِكَ لَا مَحَالَةَ، فَزِنَا الْعَيْنَيْنِ النَّظَرُ، وَزِنَا اللِّسَانِ النُّطْقُ، وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِي، وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ»

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলিয়াছেন, “দুই চক্ষুর যিনা হচ্ছে- দেখা, দুই কানের যিনা হচ্ছে- শুনা, জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, হাতের যিনা হচ্ছে- ধরা, পায়ের যিনা হচ্ছে- হাঁটা, অন্তর কামনা-বাসনা করে; আর যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা করে না।” (সহীহ মুসলিম-২৬৫৭)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

১. না, প্রশ্নোক্ত আপনার ঈমান চলে যাবে না বা ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না।  তবে যেভাবে কোনো মহিলার দিকে কামভাব নিয়ে দৃষ্টি দেয়া হারাম ঠিক সেভাবে অন্তরে কামভাবকে লালন করাও হারাম। সুতরাং তা পরিহার করা চায়।

 

আপনার প্রতি আমাদের পরামর্শ থাকবেঃ

আপনি দ্রুত বিবাহের চেষ্টা করুন, বিবাহের আগে এই মারাত্মক গুনাহ থেকে বাঁচতে রোযা রাখবেন এবং বিবাহের আগ পর্যন্ত রোযা চালিয়ে যাবেন। দ্রুত বিবাহের আমল জানুনঃ- https://ifatwa.info/5258/

আপনি আল্লাহর কাছে দোয়ার পাশাপাশি নিজ অভিভাবকদের মাধ্যমে দ্রুত বিবাহের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

 

২. উক্ত কথা যদি নামাজকে অবজ্ঞা বা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মনে করে বলে থাকেন তাহলে ঈমান চলে যাবে। আর যদি শারিরিক অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে বলে থাকেন তাহলে ঈমান চলে যাবে না ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...