আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
272 views
in ওয়াসওয়াসা by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমার সামি র সাথে ভিবিন্ন জিনিস নিয়ে প্রায় ১বছর আগে অনেক ঝামেলা চলে।ত আমাদের ডিভোর্স হয়ে যায় যায় অবস্থা ছিল।সে আমাকে না বলে প্রবাসে চলে যায় গিয়ে আমাকে সব জায়গা থেকে ব্লক করে দেয় আমার খুজ নেয় না।এভাবে ৪মাস পর হটাত করে সে কি মনে আমার সাথে কথা বলে আবার অফ করে দেয়।মুলত তার পরিবাবার চাইত আমার সাথে যেন তার ডিভোর্স হয়ে যায়।এরপর এভাবে কয়েক্নাস পর পর আমাদের কথা হত আবার ৩/৪ দিন আবার সে কথা বলা অফ করে দিত।তার পরিবার তার সাথে একটি মেয়ের বিয়ের ঠিক করে ফেলে।সে মেয়েটি নাকি সে বিয়ের আগে পছন্দ করত আর সে মেয়ে আমাকে বলেছে যে আমার সামি নাকি তার পরিবারকে বলেছে সে আমাকে নিয়ে সংসার করতে চায় না।মেয়ে সত্তিই বলছে নাকি আমি জানিনা তবে মেয়েটা মাজে মাজে আমার সামিকে কল দিত ত তখন আমার সামি আমাকে কল ধরিয়ে দিত আর বলত দেখ তুমি যেন আমাকে সন্দেহ না করে তাই আমি তুমাকে ও কল দিলে ধরিয়ে দেই। কিন্তু আমার সাথে ঝামেলা হওয়ার পর তার পরিবাব্রর সেই মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করে আর আমার সামিও সেই মেয়েএর  কথা বলেএখন সে মেয়ের সাথে কি আমার সামি বিয়ে  ঠিক করেছে নাকি আমার তারা জানত যে বিয়ের আগে এই মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে এবং সেই মেয়েকে নিয়ে আমার আর আমার শাশুরির ঝামেলা হয় তার সেই  জিদ ধরে  তার পরিবার আমার সাথে জিদ করে বিয়ে ঠিক করছে জানিনা তবে আমার ধারনা আমার সামির সাহস নাই এই কথা তার পরিবারকে বলার যে তার মেয়ে পছন্দ আছে।
১।এভাবে একদিন ৪মাস পর আমার সামি আমাকে কল দিয়ে কথা বলে আর তার পরিবাবারকে মানানোর চেষ্ঠা করে আর আমাকে বলে মন শক্ত করে যেকোন সময় কঠিন সিন্ধান্ত আস্তে পারে মানে পরিবাব্র রাজি না থাকলে আমাকে সে ছেড়ে দিতে পারে।ত একদিন কল দিয়ে বলতাছে সম্পর্ক টিকান সম্ভব না।এই কথা কি সে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিছে তখনই এই নিয়তে বলছে নাকি ডিভোর্স দিয়ে দিবে এই নিয়তে বলছে আমি জানিনা তবে এখানে কি আমার ডিভোর্স  হয়্র গেছে নাকি তার নিয়ত এর উপর নির্ভশীল? আর হলে কয়টা তলাক্ব হবে?
২।এরপর একদিন আমাদের আবার ১/৩ মাস পর পর যখন কথা হত ৩/৪ দিন করে ত একদুন আম্মি অভিমান করে খুব সম্ভনত স্পষ্ট মক্নে নাই এই কথা গুলাই বলেছিলাম কিনা তবে স্পষ্ট মনে আছে গার্ল্ফ্রন্ড বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কিছু একটা বলতাছিলাম আমি সম্ভবত বলেছিলাম।যে মানুষের বয়ফ্রন্ড কত ভালোবাসে তুমি এমন কর তখন সে বলেছিল আমি কি তোমার বয়ফ্রন্ড নাকি যাও ব্রেকাপ।খুব সম্ভবত সে এই নিয়তে বলেছে যে আমি যদি তুমার বফ হই তবে যাও ব্রেকাপ এখন সে এটা এই উদ্দেশ্য বলেছে নাকি মনে নাই তবে বলেছে তা মনে আছে boyfriend and girl friend নিয়েবকথা বলছি তা মনে আছে।এখন আমার মেসেজ এ কি মনে হয় হুজুর যেহেতু বয়ফ্রেন্ড গার্ল্ফেন্ড নিয়া কথা বলতাছিলাম এটা শিউর তাই সে এই কথা এই উদেশ্যই বলছে।আমি তাকে ভয়ে জিগাস করতাছিনা যদি সে আবার ভুল বুজে তলাক্ব এর কথা বলে ফেলে।এখন হুজুর এখানে কি তলাক্ব হয়ে গেছে বা হলেও কয়টা হইছে?বা সে ডিভোর্স দিয়ে দিছে নাকি এমনি মজা করেবলছে জানিনা।
৩।হুজুর যদি তলাক্ব হয় আমার এখন ফাইনাল এক্সাম চলতাছে এখন এসব তাকে বললে ডিভোর্স এর কথা বললে হয়ত আমারও মন খারাপ হয়ে যাবে এবং পরিক্ষা খারাপ।হতে পারে তাই আমি যদি সেচ্ছায় ডিভোর্স হয়ে গেছে কথা গোপন রেখে কথা বলি তবে কি আমি কাফের হয়ে যাব?
৪।যেহেতু সে কেনায়া জ্ঞান য়ার ছিল।না আর ১থেকে দেড় বছর আগের ঘটনা আমার এসব মনে থাকলেও তার যদি স্পষ্ট মনে না থাকে ভা একেবারে মনে না থাকে তবে কি তালাক্ব হবে নাকি হবে নাসামির মনে না থাকাতে?
৫।হুজুর ঝগড়া লেগে এমন অনেক কেনাহা শব্দই সে বলেছে ত আমি তাকে গত কয়দিন আগে তাকে আপনার একটা স্ক্রিনশর্ট দেই যে এসব ডিভোর্স এর নিয়তে বললে ডিভোর্স হয়ে যায়।ত এখন সে এসব দেখে বলে আমি জানি নিয়তি সব সে কখন ডিবোর্স এর নিয়তে এসব বা অন্য কেনায়া শব্দে তলাক্বের নিয়ত ছিল কিনা কিছু বলে নাইত আমি কি ধরে নিব তলাক্ব হয় নাই কুন?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সর্বসম্মতিক্রমে তালাকের জন্য নিজের ইচ্ছা বা দৃঢ় মনোভাব থাকা শর্ত। অর্থাৎ এমন শব্দ উচ্ছারণ করা শর্ত যাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়।যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না। সুতরাং তালাকের অপছন্দকারী ব্যক্তির তালাক শব্দ বলার দ্বারা তালাক হবে না।
অন্তরের প্ররোচিকা বা অন্তরের প্ররোচিকা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা এখানেতো তালাক শব্দের অর্থকে উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না।বরং শিক্ষা বা কাহিনি বর্ণনার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দ উচ্ছারণ করা হয়েছে। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু-৭/৩৬৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে সে এখন পর্যন্ত পরিস্কারভাবে আপনাকে তালাক দেয় নাই। সুতরাং আপনার উপর এখন পর্যন্ত কোনো তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...